আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন হওয়া চাই
০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০২ এএম
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
এই বাক্যটি দুটি আয়াতের উপসংহার মাত্র। যদি এই দুটি আয়াতের ভাষ্য সামনে আনি তাহলে বুঝতে পারব যে, আল্লাহ তাআলা জলবায়ু, সৌর বিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, নৃতত্ত্ব, ভূগোল, প্রাণিবিদ্যা, ইতিহাস প্রভৃতি বিষয় নিয়ে গভীর অনুধ্যানের জন্য উৎসাহিত করেছেন, নির্দেশ দিয়েছেন। শেষে শর্ত দিয়েছেন, যারা প্রকৃত জ্ঞানী তারা আল্লাহকে ভয় করে চলে। তাতে যে মূলনীতিটি বেরিয়ে আসে তাহলো, প্রকৃত আলেম বা জ্ঞানী বলতে তাদেরই বুঝায় যাদের মধ্যে সৃষ্টিতত্ত্বের বৈচিত্র্য সম্পর্কে জ্ঞান থাকার সাথে সাথে আল্লাহর ভয় থাকে তথা ইসলামী অনুশাসন অনুযায়ী তারা জীবন পরিচালনা করে। আমরা এখানে আয়াতের সাবলিল অর্থ উদ্ধৃত করতে চাই।
‘তুমি কি দেখ না, আল্লাহ আকাশ হতে বৃষ্টিপাত করেন এবং আমি তা দ্বারা বিচিত্রবর্ণের ফলমূল উদগত করি (উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিষয়ক), আর পাহাড়ের মধ্যে আছে বিচিত্র বর্ণের পথ শুভ্র, লাল, নিকষ কালো (ভূতত্ত্ব, খনিজ ও ভূগোল বিষয়ক), এভাবে রঙবেরঙের মানুষ (নৃতত্ত্ব) জন্তু ও গবাদি পশু (প্রাণিবিদ্যা)। আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে যারা জ্ঞানী তারাই আল্লাহকে ভয় করে। আল্লাহ পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।’ -সূরা ফাাতির, আয়াত-২৭, ২৮ ।
আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে দিবস ও রাত্রির পরিবর্তনে নিদর্শনাবলি রয়েছে বোধশক্তি সম্পন্ন লোকের জন্য; যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহর স্মরণ করে এবং আকাশ মন্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টি সম্বন্ধে চিন্তা করে ও বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি এগুলো নিরর্থক সৃষ্টি করোনি, তুমি পবিত্র, তুমি আমাদেরকে আগুনের শাস্তি হতে রক্ষা কর। -সূরা আলে ইমরান-১৯০, ১৯১।
উদ্ধৃত এই কয়টি আয়াতের মতো আরো অনেক আয়াত আছে, যেগুলো আল্লাহর নির্দেশ এবং তা নিয়ে চিন্তা গবেষণা পড়াশুনা করার নির্দেশ এসেছে। হাদীস শরীফে এসেছে, তোমরা তোমাদের সন্তানদের সেবাহা তথা সাঁতারবিদ্যা নৌবাহিনী সংক্রান্ত), রেমায়া তথা তীর বল্লম ছোঁড়ার বিদ্যা, বিমান ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কিত) এবং অশ্ব চালনাবিদ্যা (পদাতিক) শিক্ষা দাও।
এখানে জলে-স্থলে অন্তরীক্ষে যুদ্ধ করার আত্মরক্ষার বিদ্যা শিক্ষা দানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কী বুঝা গেল? বুঝতে পারলাম যে, জেনারেল শিক্ষায় প্রচলিত সব সাবজেক্টই ইসলামী শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এগুলো আলমে খিলকত বা সৃষ্টিজগত সম্পর্কিত। আর কুরআন হাদিসের ইলম হলো আলমে আমর বা আদেশজগত সম্পর্কিত। ইসলাম কমপ্লিট কোড অব লাইফ। কাজেই, মুসলিম সমাজ ও ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনা এবং জাতীয় অস্তিত্ব ও শৌর্যবীর্য প্রদর্শনের জন্য যত রকমের বিদ্যান, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, স্থপতি, সমরবিদ, বিজ্ঞানী দরকার সবগুলোই ফরজে কেফায়ার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে।
জেনারেল শিক্ষা ব্যবস্থার ইসলামায়ন
এখন প্রশ্ন আসতে পারে, প্রচলিত জেনারেল শিক্ষার বিদ্যমান কাঠামোতে এই চিন্তাধারা কীভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব। একেবারেই সহজ। শেষ স্তর থেকে ধরি, বুঝতে সহজ হবে। বর্তমানে ১০ বছর মাধ্যমিক, ২ বছর উচ্চ মাধ্যমিকের পর ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে প্রবেশ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের সাথে সাথে সব ছাত্রের জন্য দুইটি বিষয়ে পড়ালেখা মেন্ডেটরি, বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ বাংলা ও ইংরেজি। এগুলোকে বলা হয় ফাউন্ডেশন কোর্স। ভাষা জ্ঞানে দক্ষতার জন্য এগুলোর প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। আমাদের প্রস্তাব আরেকটি ফাউন্ডেশন কোর্স চালু করতে হবে ধর্মতত্ত্বের উপর। নিজ দেশের মানুষের ধর্মাচার, কৃষ্টি কালচার, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে জানার জন্য এর প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। ফাউন্ডেশন কোর্স ১০০ নং ইসলামিক স্টাডিজ বা অন্যধর্মের ছাত্রছাত্রীদের জন্য তাদের ধর্মতত্ত্ব অন্তর্ভুক্ত হলেই কি সব হয়ে গেল? না! একটু বাকী আছে। অনার্স ফাইনালে গিয়ে মনে করুন ৫০টি কোর্সে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে হবে। আমাদের প্রস্তাব এর মধ্যে ৫ বা ১০টি কোর্স নিজের ধর্ম, কৃষ্টি কালচার সম্পর্কিত যুক্ত করতে হবে।
এবার কেউ আরো সুনির্দিষ্টভাবে প্রশ্ন করতে পারেন, ইসলামী ডাক্তার, ইসলামী স্থপতি, ইসলামী ইঞ্জিনিয়ার প্রভৃতি কীভাবে হতে পারে। সংক্ষেপে বলব: ফাউন্ডেশন কোর্র্সের ইসলামিক স্টাডিজ তো আছেই। ডাক্তারির জন্য মনে করলাম, ৫০টি কোর্সে পরীক্ষা দিতে হবে। এর সাথে ৫/১০টি ধর্মীয় কোর্স সংযুক্ত করুন। যেমন, কুরআনে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক নিদের্শনা। হাদীসে স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও চিকিৎসার গুরুত্ব। নবীজির চিকিৎসা ‘তিব্বুন্নবী’ নামে একটা কিতাব তো আছেই। যুগে যুগে মুসলিম চিকিৎসাবিদদের অবদান, ধর্মীয় আচার আচরণ ও আদেশ নিষেধ পরিপালনের স্বাস্থ্যগত উপকার ইত্যাদি আলাদা আলাদা কোর্স হিসেবে সিলেবাসভুক্ত হতে পাারে।
যারা সাইন্স নিয়ে লেখাপড়া করছেন তারা ভিন্ন ভিন্ন শাখাভেদে কুরআন ও হাদীসে কী কী উপাদান আছে সেগুলো এবং বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষের মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান, বর্তমান বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা মুসলিম বিজ্ঞানীদের নিদর্শনসমূহ, ইসলামী স্থাপত্য শিল্প, ক্যালিগ্রাফি ইত্যাদি এবং সংগীতবিদ্যায় আমীর খসরুসহ মুসলিম মনীষীদের অবদান বিষয়ে পাঁচ সাতটি করে কোর্স পড়ালেই প্রত্যেক বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আল্লাহর ভয়, পরকালের ভয়, অন্যায়ের প্রতি ঘৃণা এবং মানব সেবার মাধ্যমে ইহকালীন সুখ ও মুক্তির উপায় খুঁজে বের করার চেতনা জাগ্রত হবে।
সমরবিদ্যার ক্ষেত্রে কুরআন হাদিসে বর্ণিত ইসলামের যুদ্ধনীতি, ইসলামের ইতিহাসে যুদ্ধ-বিগ্রহের দৃষ্টান্ত ও বীরত্বগাথা, দেশজয় ও এর নেপথ্য কারণ, বিশ্ব সভ্যতায় মুসলিম বিজয়ীদের অবদান প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এখন উচ্চ মাধ্যমিক বা কলেজ লেভেলের কথা বলি। কলেজে লেবেলের তিনটি বিভাগে মানবিক, ব্যবসা ও বিজ্ঞানে ইসলামিয়াত মূল সাব্জেক্ট হিসেবে চালু ছিল। কিন্তু ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে খুব গোপনে বাণিজ্য ও বিজ্ঞান শাখা থেকে ইসলামিয়াত তুলে নেয়। কেবল মানবিকে অনেকগুলো ঐচ্ছিক বিষয়ের মধ্যে অন্যতম হিসাবে ইসলামিয়াত রাখে। কাজেই আগের মত এখানে বাংলা ইংরেজির ন্যায় ১০০ নম্বরের ধর্মতত্ত্ব বাধ্যতামূলক করতে হবে। তারপর উচ্চ মাধ্যমিকের প্রধান তিনটি শাখা মানবিক, ব্যবসা ও বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীদের জন্য কোর্স হিসেবে সংশ্লিষ্ট ধর্মতাত্ত্বিক বিষয়গুলো কোর্স আকারে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। হাইস্কুল স্তরে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত আগের সিলেবাসে ১০০ নম্বরের পরীক্ষার যে বাধ্যবাধকতা আছে তা বহাল থাকলেই চলবে। তবে এর পরীক্ষা পদ্ধতি ও পাঠ্যসূচি বিন্যাসে মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের বয়স ও ধারণ ক্ষমতার বিবেচনায় রেখে ইসলামী বিষয়াদি আরবী ভাষাজ্ঞান, শরীয়ার বিধি বিধান, কুরআন হাদিসের বাণী, মুসলিম মনীষীদের জীবনী, ইতিহাস ঐতিহ্য, ধর্মীয় রীতিনীতির অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য ও তাৎপর্য ও উপযোগিতা প্রভৃতি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, ধর্মীয় বিষয়ের ক্লাসকে দায়সারা অবস্থা থেকে তুলে মৌলিক গুরুত্বের স্থানে নিয়ে আসতে হবে। শিক্ষার সাথে দীক্ষার বা বাস্তব অনুশীলনের ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
প্রাইমারি শিক্ষার ব্যাপারে বলব, একেবারে প্রথম স্তরে থেকে হাতে কলমে লেখার অনুশীলন, আরবী অক্ষর জ্ঞান, দোয়া দরুদ, পাক-নাপাক, হালাল-হারাম, ন্যায়-অন্যায়ের চেতনা জাগ্রত করার জন্য শিশুমনের দিকে দৃষ্টি করে সিলেবাস সাজাতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রচলিত নূরানী পদ্ধতির শিক্ষা পাঠ্যসূচির সাথে সংযুক্ত করা যাবে।
শুরুতে যেমন বলেছি, এসব বিষয় একেবারে সহজ, তবে এর কর্মকৌশল নির্ণয়ে বেশ জটিলতা আছে, যার ছক আমার মত কোনো ব্যক্তি বিশেষের মাধ্যমে তৈরি করা সম্ভব নয়। এর জন্য সামষ্টিক উদ্যোগ আয়োজন থাকতে হবে। তবে শিক্ষকের যতœ ও এর যৌক্তিকতার প্রতি কর্তৃপক্ষের আস্থা থাকলে কাঙ্খিত ফল অবশ্যই লাভ করা যাবে। আশা করা যায়, এ ব্যবস্থায় আমাদের ছাত্রছাত্রীরা বা আগামী প্রজন্ম যোগ্য, ধার্মিক ও সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে।
স্বতন্ত্র মাদরাসা শিক্ষার গুরুত্ব
আরেকটি মৌলিক প্রশ্ন হলো, এমনটি হলে মাদরাসা শিক্ষা কি জেনারেল শিক্ষার সাথে একীভূত হয়ে যাবে বা হওয়া উচিত? কিংবা একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার মধ্যে কি সমাধান আছে? না, মোটেও নয়, কারণ, মাদরাসা শিক্ষা একটি বিশেষায়িত শিক্ষা ব্যবস্থা। এর উদ্দেশ্য লক্ষ্য ও অস্তিত্বের দর্শন হলো, কুরআন হাদীসের সরাসারি জ্ঞান ও যুগজিজ্ঞাসার প্রেক্ষিতে ইসলামের সৌন্দর্য ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের উপযুক্ত বিশেষজ্ঞ তৈরি। এ ধরনের বিশেষজ্ঞ হওয়ার জন্য প্রধান শর্ত শিক্ষার সাথে দীক্ষা থাকতে হবে। তালীমের সাথে তাযকিয়া থাকা জরুরি। যারা ইসলামী ও আরবি জ্ঞানে অভিজ্ঞ পারদর্শী তারা যতক্ষণ বাস্তব জীবনে ইসলামের পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসারী না হবেন ততক্ষণ মুসলিম সমাজ তাদেরকে ইমাম-আলেম বা ধর্মীয় নেতা হিসেবে বরণ করবে না। অন্য কথায়, রাসুল (সা.) এর নায়েব হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হলে ইলম এবং সঙ্গে আমল থাকতে হবে। জেনারেল শিক্ষায় সেই ব্যবস্থা নেই, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এরাবিক ইসলামিক স্টাডিজে পুঁথিগত বিদ্যা থাকলেও আমলের চর্চা নেই, ফলে ইসলামিক স্টাডিজ বা এ্যারাবিক পড়ে স্কলার হতে পারলেও আলেম হতে পারবে না। এরূপ ইসলামিক স্কলার তো খ্রিস্টান ও ইহুদিদের মাঝেও আছে। কাজেই, জেনারেল লাইনে যেমন সমরবিদ বা ডাক্তার তৈরির জন্য মেডিক্যাল বা ক্যাডেট কলেজের মতো আলাদা প্রতিষ্ঠান ও ব্যবস্থাপনা আছে তেমনি ইসলামী বিষয়ে ইলমদার আমলদার জ্ঞানী তৈরির জন্য আলাদা প্রতিষ্ঠান মাদরাসা এবং একদম শুরু থেকে আলাদা সিলেবাস ও চর্চা থাকতে হবে। (সমাপ্ত)
লেখক: পরিচালক, বায়তুশ শরফ ইসলামী গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস
শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া
ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল
‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’
প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের
প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া
মুসলিম চিকিৎসক
শীর্ষে দিল্লি
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান
মানসিক সুস্থতায় কর্মবিরতি