সাত কলেজ প্রসঙ্গে
১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৫ এএম
রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত করা হয়। কোন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা যৌক্তিক বলে মনে করি না। কারণ, প্রতিষ্ঠান কখনো শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে পারে না। শিক্ষার মান উন্নয়ন করে আদর্শ শিক্ষক। যেমনি অধিভুক্তির ফলে শিক্ষকদের মানে কোনো পরিবর্তন হয়নি, শিক্ষকদের নতুন করে ট্রেইন আপ করা হয়নি, আগের শিক্ষকরাই রয়ে গেছেন, ঠিক আগের মতোই। তাহলে শিক্ষার মান উন্নয়নটা কীভাবে হলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক এই সকল প্রতিষ্ঠানগুলো অডিটও করেন না। অধিভুক্তির পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সার্টিফিকেট প্রদা, প্রশ্ন তৈরি করা ছাড়া আর কোনো কাজই করেননি। তাহলে এই অধিভুক্ত দরকার টা কী ছিল? এই সাত কলেজের একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে বলতে পারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই সাত কলেজকে একটি বিজনেস ফ্যাকাল্টি হিসেবে ধরে রেখেছে। কোনো শিক্ষার্থী দুই বারের বেশি একটি বিষয়ে ফরম ফিলাপ করলে তাকে অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়। এটা কি একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর জন্য হয়রানি না? এটাই কি শিক্ষার মান উন্নয়ন? আবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব সময় বলে, আমরা তাদের শিক্ষার্থী না। তাহলে অধিভুক্ত করে রেখেছেন কেন? একজন শিক্ষার্থী ডিপার্টমেন্ট কেন্দ্রিক যেকোনো ত্রুটি বিচ্যুতি ঘটতেই পারে, এটা দেখার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। কিন্তু আমাদের কোনো ত্রুটি নিয়ে প্রশাসনের কাছে গেলে তারা যথেষ্ট অনীহা দেখান। যেহেতু আমাদের সকল তথ্য ঢাবি প্রশাসনের কাছে তাহলে যে কোনো সমস্যা সমাধানে তাদের কাছে আমাদেরকে যেতে হয়। কিন্তু তারা তাদের সুন্দর ব্যবহার দিয়ে আমাদেরকে সহযোগিতা করেন না। ২০২৩ সালে জানুয়ারি মাসে আমার ফরম ফিলাপে একটি বিষয় কোড ভুল হয়। এই বিষয়টি নিয়ে আমি ঢাবির রেজিস্টার ভবনের ৩২২ নাম্বার রুমে যাই। একজনকে বলি স্যার, আমার ফরম ফিলাপের একটি বিষয় কোড ভুল এসেছে তিনি রাগী গলায় ক্রুদ্ধ কণ্ঠে আমাকে বলেন, ভুল হয়েছে নাকি ভুল করেছেন? আমি বলেছি, সরি স্যার, আমি ভুল করেছি। তিনি আমাকে বলেন, ৫ হাত দূরে যান, ১০০ বার বলতে থাকেন আমার ভুল হয়েছে, আমার ভুল হয়েছে। তারপর আমি সমাধান করে দিব। এমন ব্যবহার কি তাদের কাছ থেকে কাম্য ছিল? শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য রাজধানীর এই সাতটি ঐতিহ্যবাহী কলেজকে একটি স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের বিকল্প নেই। আমরা সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা এর পরিবর্তন চাই, আমরা আমাদের অধিকার চাই।
মো. জুবায়ের হোসেন
শিক্ষার্থী, সোহরাওয়ার্দী কলেজ।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
তাদের রাজনীতি করতে দেবে কি-না তা দেশের মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে: জামায়াতে সেক্রেটারি
উত্তরায় হাসপাতালে সন্ত্রাসী হামলাও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা
পাকিস্তানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহত ৩২
আল্লাহকে পেতে হলে রাসুলের পথ অনুসরণ অপরিহার্য: মাওলানা রুহুল আমিন খান
ঢাকাবাসীকে নিরাপদ রাখতে হবে : ডিএমপি কমিশনার
ভোটের মাধ্যমে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ঐক্যবন্ধ থাকতে হবে-লুৎফর রহমান আজাদ
গফরগাঁওয়ের বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুছ ছালামের ইন্তেকাল
আওয়ামী দোসররা মানুষের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে: তানভীর হুদা
ফিলিস্তিনিদের জন্য কোটি টাকার সহায়তা নিয়ে মিশরে পৌঁছেছে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল
১৭টি বছর শ্রমিকদলের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন করেছে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা- কেন্দ্রীয় সভাপতি
বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ
ছয় বছর পর স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি পাকিস্তান
তারেক রহমান ও কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহার না করলে অনশনসহ কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের
টানা তিন সেঞ্চুরিতে তিলাকের বিশ্ব রেকর্ড
সাময়িক বন্ধের পর খুললো যমুনা ফিউচার পার্ক
জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা: জ্বালানি উপদেষ্টা
গৌরনদীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দোকান ঘরে বাস নিহত-১ আহত-৬
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ২ আ'লীগ নেতা গ্রেপ্তার
লাওসে ভেজাল মদপানে ৬ বিদেশির মৃত্যু
না.গঞ্জে ডেঙ্গু পরীক্ষার টেস্ট কিট সংকট কে কেন্দ্র করে টেস্ট বাণিজ্যের অভিযোগ