ঢাকা   শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মুসলমানরাই জ্ঞান-বিজ্ঞানে বিশ্বকে আলোকিত করেছিল

Daily Inqilab ইলিয়াজ হোসেন রানা

২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৫ এএম

(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
মুসলমানেরা শুধু জ্যোতির্বিজ্ঞানচর্চা করেননি। উচ্চতর গণিতের প্রত্যেক শাখায় তাদের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে সমর্থন হন। কথিত আছে, গ্রিকরা বীজগণিতের উদ্ভাবক, কিন্তু ওলসনার মন্তব্য করেন যে, তাদের মধ্য ‘গবলেট খেলায়’ আনন্দদানের কাজে বীজগণিত সীমিত ছিল। মুসলমানেরা একে উচ্চতর লক্ষ্যে নিয়োজিত করেছিলেন। শুধু বীজগণিত, জ্যামিতি ও গণিত নয়, আলোকবিদ্যা ও মেকানিক্স ও মুসলমানদের হাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছিল। তারা খ-গোলীয় ত্রিকোণমিতির উদ্ভাবন করেছিলেন; তারাই সর্বপ্রথম বীজগণিত জ্যামিতির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেছিলেন, আর ত্রিকোণমিতির গণনার ক্ষেত্রে বৃত্তচাপের জায়গা সাইনে পরিবর্তন করেছিলেন। ইবনে হাওকাল, মাকরিজি, আল-ইশতাখরী, আল মাসুদি, আল বেরুনি, আল কুমি, আল ইদারিসী, ইবনুল ওয়ারদি ও আবুল ফেদার গ্রন্থসমূহ প্রমাণ করে জ্ঞানের প্রতিটি ক্ষেত্রে মুসলমানদের অবদান। যখন ইউরোপের খ্রিস্টান জাহান দৃঢ়ভাবে পৃথিবীর সমতলত্বে বিশ্বাস করতো এবং যে নির্বোধ এর বিপরীতে চিন্তা করত তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরে ফেলা হতো, তখন মুসলমানেরা গ্লোবের সাহায্যে ভূগোল শিক্ষা দিতেন।

বিজ্ঞান হিসেবে রসায়ন নিঃসন্দেহে মুসলমানদের উদ্ভাবন। আবু মুসা জাবির ইবনে হাইয়ান আধুনিক রসায়নের জনক। তাঁর ‘আস-সুন্দুক আল হিকমাত’ গ্রন্থে নাইট্রিক অ্যাসিড, তাপে চূর্ণকরণ, কেলাসন, দ্রবণ, ঊর্ধ্বপাতন ও লঘুকরণ প্রক্রিয়া নির্ভুল ব্যাখ্যা করেন। সে যুগে রসায়ন শাস্ত্রের আরেক দিকপাল আবুবক্কর আল রাজি। তাঁর ‘কিতাবুল আসরার’ চতুর্দশ শতাব্দী পর্যন্ত রসায়নের উৎস হিসেবে পরিগণিত হয়। তার ‘হাউই’ চিকিৎসা বিদ্যার দুর্গ বলে খ্যাত।

চিকিৎসাবিজ্ঞানের আল রাজি, আলী ইবনে আব্বাস, ইবনে সিনা, আল বুকাসিস, ইবনে রুসদ ও আল বেসার হলেন উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। আল বুকাসিস প্রথম শ্রেণির শাল্যচিকিৎসকও ছিলেন। তিনি ধাত্রীবিদ্যা সবচেয়ে জটিল অস্ত্রোপচার করতেন। ইবনে সিনা একজন দার্শনিক, গাণিতিক, জ্যোর্তিবিজ্ঞান, কবি ও চিকিৎসক হিসেবে তিনি দুইটি মহাদেশের উপর তাঁর প্রভাব বিস্তার করেন। তিনি প্রাচ্যের এরিস্টটল হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় যোগ্য। ইবনে সিনার ‘আল-কানুন’ গ্রন্থটিকে চিকিৎসাশাস্ত্রের বিশ্বকোষ বলা হয়। এই বইটিতে যক্ষাসহ ৭৬০টি ঔষধ স¤পর্কে আলোচনা আছে। আল রাজির ‘আল-হাউই’ গ্রন্থে গুটি বসন্ত, হাম, যকৃত পিত্তথলির পাথর, চক্ষু, নাক, কান এবং হৃদপি-ের চিকিৎসা স¤পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

ভূগোল চর্চায় আল-খাওয়ারিজমি তাঁর বিখ্যাত ‘সুরাত আল আরদ’ গ্রন্থটি রচনা করেন, যা চতুর্দশ শতাব্দি পর্যন্ত ইসলামী বিশ্বে ভূগোল শাস্ত্র অধ্যায়ন ও মৌলিক গ্রন্থ প্রণয়নে অনেককে উদ্বুদ্ধ করে। ভেষজ উৎপাদনের অধ্যয়ন যা আলেকজান্দ্রিয় চিন্তাগোষ্ঠীর ডায়াস কুরাইশের ধারণাকে উদ্দীপিত করেছিল, তা বৈজ্ঞানিক আকারে আরবদেরই সৃষ্টি। তারা রসায়নের ফার্মাসির উদ্ভাবন করেছিলেন এবং আজ যে সব প্রতিষ্ঠানকে চিকিৎসালয় বলা হয় তার প্রথম প্রতিষ্ঠাতা আরবরাই। স্থাপত্যে মুসলমানদের শ্রেষ্ঠত্ব সর্বজনবিদিত। কেননা প্রাচ্যে ও প্রতীচ্যে আরবজাতির স্থাপত্যের যে গৌরবময় নিদর্শন রয়েছে তা এখনও আধুনিক বিশ্বের বিস্ময়।

ঐতিহাসিক গবেষণার ক্ষেত্রে মুসলিম জাতি প্রাচীন বা আধুনিক কোনো জাতির চেয়ে পিছপা ছিল না। ইবনে ইসহাক, ইবনে খালদুন, বালাজুুরি, হামাদিনী, জাবির আত-তাবারী, মাকরিজী এবং আল-মাসুদী অসংখ্য মূল্যবান ইতিহাসসমৃদ্ধ গ্রন্থাবলী লিপিবদ্ধ করেন, যা ঐতিহাসিক মনোভঙ্গির বিশিষ্ট অগ্রগতির নির্দেশক। এভাবে জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চার এমন কোনো শাখা প্রশাখা নেই যে আরব মুসলমানদের হাত ছিল না। আর এসব সম্ভব হয়েছিল একখানি গ্রন্থের (আল-কুরআন) জন্য, যার সাহায্যে আরবগণ মহান আলেকজান্ডারের চেয়ে বিশালতার, রোমের চেয়ে ব্যাপকতর রাজ্য অধিকারভুক্ত করেছিল, যা তারা ১০ বছরে স¤পাদন করেছিল, রোমের তা করতে ১০০ বছর লেগেছিল। কেবল এই গ্রন্থের সাহায্যেই সমগ্র সেমেটিক জাতির মধ্যে তারাই নৃপতি হিসেবে ইউরোপে এসেছিল যখন ফিনিশীয়গণ বাণিক হিসেবে, ঈহুদীগণ উদ্বাস্তু বা বন্দি হিসেবে এসেছিল; তারা ইউরোপে এসেছিল এসব উদ্বাস্তুদের সাথে মানবজাতির নিকট আলোকবর্তিকা তুলে ধরতে- যখন দশদিক অন্ধকারে আচ্ছন্ন ছিল তখন তারাই হেলেনীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানকে মৃত অবস্থা থেকে পুনরুজ্জীবিত করেছিল। প্রাচ্যের মতো প্রতীচ্যকের দর্শন, চিকিৎসা-বিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে শিক্ষা দিয়েছিল এবং আধুনিক বিজ্ঞানের ধাত্রীপনা করেছিল। গ্রানাডার পতনকালে সেই উজ্জ্বল দিনগুলির জন্য চিরকাল কাঁদতে মুসলমানদেরকে বিলম্বিত উত্তরসূরি বানিয়ে গিয়েছিল।

মুসলমানদের জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চায় যে সাফল্য ধরা দিয়েছিল তা সম্ভবত নবী মুহাম্মদ (সা.) এর জন্য। জাহেলিয়াতের যুগে আরবরা বর্বরতা ও অজ্ঞতার গহীনে ডুবেছিল, তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে বর্তমানের বা ভবিষ্যতের কোনো আশা না করে আরবগণ বিশ্ববাসীকে সমুন্নত করতে, সকলকে সভ্য ও সংস্কৃতবান করতে এগিয়ে গেলেন। নির্যাতিত, অবহেলিত মানবতা নবজীবন লাভ করলো। যখন ইউরোপের জাতিসমূহ ক্ষীয়মান সাম্রাজ্য বিপর্যস্ত করে অজ্ঞানতা ও নিষ্ঠুরতার অন্ধকারের মধ্যে দিশেহারা হয়ে চলেছিল, সেই সময়ে মুসলমানেরা এক মহান সভ্যতা গড়ে তুলেছিলেন। ইউরোপে শতাব্দীর পর শতাব্দী যখন নৈতিক ও বুদ্ধিভিত্তিক উৎসন্নতা চলছিল, তখন ইসলাম প্রগতির সারথ্য করেছিল। সিজারের সাম্রাজ্যের উপর খ্রিষ্টধর্ম নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিন্তু তা পৃথিবীর জাতিসমূহের পুনরুজ্জীবিত করতে পারেনি। খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতক থেকে দ্বাদশ শতক পর্যন্ত যে নৈরাশ্যের অন্ধকার ইউরোপকে গ্রাস করেছিল তা আরও গভীরতর হয়েছিল। হিং¯্র ধর্মান্ধতার যুগে যাজকতন্ত্র যে পথ দিয়ে জ্ঞান, মানবতা বা সভ্যতা প্রবেশ করতে পারতো সে পথ রূদ্ধ করে দিয়েছিলো। যদিও ঈর্ষাবশতঃ এই ধর্মান্ধ দেশে ইসলামী সংস্কৃতির হিতকর প্রভাব অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিল তথাপি যথা সময়ে খ্রিস্টান জগতে সর্বত্র অনুভূত হয়েছিল। একসময়ে বাগদাদ, দামেস্কো, কর্ডোভা, গ্রানাডা, মালাগার স্কুলসমূহের মাধ্যমে মুসলমানেরা বিশ্বকে দর্শনের শান্ত পাঠ এবং কঠোর বিজ্ঞানের ব্যবহার শিক্ষা দান করেছিল।

পুরোহিত সম্প্রদায় হাজার হাজার নির্দোষ ব্যক্তিদেরকে চিন্তার ব্যতিক্রমের জন্য আগুনে পুড়িয়ে মারার পথ প্রশস্ত করেছিল, খ্রিস্টান ইউরোপ মন্ত্রের সাহায্যে ভূত ছাড়াতো এবং ছিন্নকন্থা ও অস্থির পূজা করতো, তখন বিদ্যার্জন মুসলিম নৃপতিদের অধীনে সমৃদ্ধি লাভ করেছিল এবং অভূতপূর্ব সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতিনিধিবৃন্দ সভ্যতার অগ্রগতির কাজে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছিলেন এবং মুহাম্মদ (সা.) যে স্বাধীন চিন্তা ও স্বাধীন জিজ্ঞাসার জন্ম দিয়েছিলেন ও পবিত্রতা প্রতিপন্ন করেছিলেন তাঁরা তার বিকাশে প্রাণপণ সাহায্য করেছিলেন। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানসমূহের চর্চা-একটি জাতির বুদ্ধিবৃত্তিক স্বাধীনতার মহান নির্দেশক, মুসলমানদের মধ্যে এটি জনপ্রিয় পেশায় পরিণত হয়েছিল। তখনকার যুগে পৃথিবীতে এমন কোনো জাতি ছিল না যে মুসলিম প-িতদের সাথে জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতিযোগিতা করতে পারে। ঐ সময় ইউরোপের অবস্থা এমন ছিল যে, যদি কেউ জ্ঞান অর্জন করতেন, তবে তাকে মুসলমান মনে করা হতো, কেননা মুসলমানরাই তখন এমন জাতি যারা জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চা করতো। জধমবৎ নধপড়হ কে মুসলমান বলে কটাক্ষ করা হতো কেননা তিনি বিজ্ঞানচর্চা করতেন এবং এই কারণে তাকে ১৪ বছরের কারাদ- দেন। ইউরোপে নবজাগরণ শুরু হয়েছিল চতুর্দশ শতাব্দী থেকে আর তা সম্ভব হয়েছিল মুসলিম সভ্যতার এবং উন্নতমানের ভাবধারার সাথে পরিচিত হওয়ার ফলে। মুসলিম স্বর্ণযুগকে প্রাচ্য রেনেসাঁর পূর্ণ প্রতীক বলা হয়। একমাত্র মুসলিম প-িতদের প্রচেষ্টার ফলেই ইউরোপের যেসব জাতি মধ্যযুগীয় অন্ধকারে অতল তলে নিমজ্জিত ছিল, তারা হারিয়ে যাওয়া গ্রিক বিজ্ঞান ও দর্শনের সাথে পুনরায় পরিচিত হওয়ার সুযোগ পায়। (সমাপ্ত)

লেখক: প্রভাষক, সরকারি ইস্পাহানী ডিগ্রি কলেজ, কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা।

 


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

মানসিক সুস্থতায় কর্মবিরতি
মুনতাহার মর্মান্তিক মৃত্যু এবং কিছু কথা
ট্রাম্পের বিজয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার কি কোনো লাভ হবে?
ব্যাটারিচালিত রিকশা-অটোচালকদের তাণ্ডব রুখতে হবে
স্মৃতির দর্পণে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী
আরও

আরও পড়ুন

আদানির দুর্নীতি : এবার ভারতেই বির্তকের মুখে মোদি সরকার

আদানির দুর্নীতি : এবার ভারতেই বির্তকের মুখে মোদি সরকার

প্রেসিডেন্টর সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রেসিডেন্টর সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

নিজ্জর হত্যায় মোদীর সংশ্লিষ্টতার দাবি কানাডার সংবাদমাধ্যমের ,‘হাস্যকর’ দাবি ভারতের

নিজ্জর হত্যায় মোদীর সংশ্লিষ্টতার দাবি কানাডার সংবাদমাধ্যমের ,‘হাস্যকর’ দাবি ভারতের

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে গুলি, নিহত ৪২

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে গুলি, নিহত ৪২

এক সপ্তাহে রিজার্ভ বাড়ল ৬ কোটি ১০ লাখ ডলার

এক সপ্তাহে রিজার্ভ বাড়ল ৬ কোটি ১০ লাখ ডলার

ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক সংঘাতে পরিণত হচ্ছে : পুতিন

ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক সংঘাতে পরিণত হচ্ছে : পুতিন

মুরগি-সবজিতে কিছুটা স্বস্তি, আলু এখনো চড়া

মুরগি-সবজিতে কিছুটা স্বস্তি, আলু এখনো চড়া

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন শ্রম প্রতিনিধি দল ঢাকা আসছে আজ

মার্কিন শ্রম প্রতিনিধি দল ঢাকা আসছে আজ

পার্থে শুরুতেই চাপে ভারত

পার্থে শুরুতেই চাপে ভারত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াত আমীরের কুশল বিনিময়

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াত আমীরের কুশল বিনিময়

সিঙ্গেল সিটের দাবিতে গভীর রাতেও হলের বাইরে ছাত্রীরা

সিঙ্গেল সিটের দাবিতে গভীর রাতেও হলের বাইরে ছাত্রীরা

ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার অতিক্রম করলো

ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার অতিক্রম করলো

ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন অ্যার্টনি জেনারেল পাম বন্ডি

ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন অ্যার্টনি জেনারেল পাম বন্ডি

‘আ.লীগকে রাজনীতিতে সুযোগ দেওয়া মানে শহীদদের সঙ্গে গাদ্দারি করা’

‘আ.লীগকে রাজনীতিতে সুযোগ দেওয়া মানে শহীদদের সঙ্গে গাদ্দারি করা’

বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার

কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার

প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ

প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ

বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত

বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত