হতাহতদের সাহায্যার্থে একটি হটলাইন চালু করা যেতে পারে
২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম
জুলাই গণঅভ্যুত্থান এদেশের ইতিহাসে শুধু নয়, আধুনিক বিশ্বের ইতিহাসেও একটি অনন্য নজির হয়ে থাকবে। দেশের তিন দিক ঘিরে থাকা বৃহৎ প্রতিবেশীর অন্যায় ও অন্ধ সমর্থন নিয়ে জাতির ঘাড়ে সিন্দাবাদের দেওয়ের মতো চেপে বসা এক ফ্যাসিস্ট স্বৈরশাসককে যেভাবে এদেশের অকুতোভয় ছাত্র-জনতা এক অপ্রতিরোধ্য গণ-আন্দোলনে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে, তা শুধু এদেশ কেন, বিশ্বের যেকোন দেশের, যেকোন অঞ্চলের মুক্তিকামী মানুষের জন্য যুগ যুগ ধরে প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। এ আন্দোলনে এদেশের শহরে নগরে যে অভূতপূর্ব গণজাগরণ তৈরি হয়েছিল তা দেশের সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল সারা বিশ্বে।
এমন এক সময় এই পরিবর্তন আসে, যখন এদেশের মুক্তিকামী মানুষ চারিদিকে অন্ধকার দেখছিল, হাবুডুবু খাচ্ছিল হতাশার সাগরে। পতিত স্বৈরাচার ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪-এ বিভিন্ন কূটকৌশলে একের পর এক ভূয়া নির্বাচন করে টানা সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার সুবাদে দেশের সর্বস্তরে দলীয়করণের মাধ্যমে যে পরিবেশ তৈরি করে তাতে অনেকেই ধরেই নিয়েছিল, তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরানোর আর কোন পথ খালি নেই, তার ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নামধারী ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর সমান্তরালে পুলিশ, প্রশাসন ও বিচার বিভাগ মানুষের কন্ঠ রোধের সকল আয়োজনে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছিল। দেশের সিংহভাগ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার একমাত্র ধ্যানজ্ঞান হয়ে উঠেছিল তাঁর সার্বক্ষণিক গুণকীর্তন ও চাটুকারিতাÑ যেখানে জনগণের চাওয়া-পাওয়ার স্থান ছিল নেহাতই নগণ্য। যেকোন দুর্যোগে এ দেশের মানুষ সেনাবাহিনীর উপর তাদের ভরসা রেখে এসেছে। সেখানেও, বিশেষ করে শীর্ষ পর্যায়ে, তাঁর একান্ত অনুগত ব্যক্তিদের বসিয়ে রাখা হয়েছিল।
সাম্প্রতিক ইতিহাসে এদেশের মানুষের অনেক সামরিক-বেসামরিক স্বৈরশাসকের মুখোমুখি হবার দুর্ভাগ্য হয়েছে। স্বাধীনতা পূর্বকালে আয়ুব খানের দশকব্যাপী সামরিক-আধাসামরিক শাসন তারা দেখেছে। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবকে তারা দেখতে পেয়েছে সব দল বিলুপ্ত করে বাকশাল নামে একদলীয় শাসন কায়েম করে জননেতা থেকে একনায়কে পরিণত হতে। তারা দেখেছে আশির দশকে জেনারেল এরশাদকে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো একটি নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে নানা কৌশলে টানা ৯ বছর দোর্দ- প্রতাপে সামরিক-আধাসামরিক শাসন চালাতে। সর্বশেষ তারা দেখল ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত তাদের উপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা শেখ হাসিনার টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনকাল, যা এদেশের স্বৈরশাসনের ইতিহাসে অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। সামগ্রিক বিশ্লেষণে মনে হতে পারে, এদেশের মানুষের সামনে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে আবির্ভূত হয় ৭২-৭৫ মেয়াদে শেখ মুজিবের শাসনকাল এবং ২০০৯-২৪ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় মেয়াদে শেখ হাসিনার দুঃশাসন। শেখ মুজিব যখন সব দল বিলুপ্ত করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেন, তখন তাঁর অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহচর তাজউদ্দীন আহমেদ তাঁকে এই বলে সতর্ক করতে বাধ্য হয়েছিলেন যে, তিনি নিয়মতান্ত্রিক পথে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরানোর সব পথ বন্ধ করে দিলেন। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনাও নির্বাচন অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বিলোপ, গুম-খুনের মাধ্যমে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম এবং সর্বত্র দলীয়করণের মাধ্যমে সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র ও পেশীশক্তিকে ক্ষমতার নিয়ামকে পরিণত করে এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন, যেখানে নিয়মতান্ত্রিক পথে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরানোর সব পথ রূদ্ধ হয়ে গিয়েছিল।
তবে, আশার ব্যাপার ছিল, গণতন্ত্রের প্রতি এদেশের মানুষের যে কমিটমেন্ট সেটাকে তিনি নিঃশেষ করতে পারেননি। অন্ততঃ কাগজে-কলমে হলেও দেশ একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিচালিত হচ্ছিল। ৫ বছর অন্তর নির্বাচন নামক নাটক তাঁকে মঞ্চস্থ করতে হচ্ছিল। মানুষ প্রত্যেক বার এ আশায় বুক বাঁধত, এবার বুঝি তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে সক্ষম হবে। পাশাপাশি, তারা বরাবর এই প্রত্যাশা করে আসছিল যে, গণতন্ত্রের এই লড়াইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিচালিত পশ্চিমা ক্ষমতার বলয়সমূহ তাদের পাশে দাঁড়াবে। দুর্ভাগ্যবশত, পশ্চিমাদের কাছে যেটুকু সহযোগিতা এক্ষেত্রে তারা পেয়েছে তা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় নেহায়েত অপ্রতুল। যেকোন কারণেই হোক, শেখ হাসিনার স্বৈরসরকারকে সরাতে তারা পর্যাপ্ত চাপ প্রয়োগে অনীহা দেখিয়েছে। ২০২৪ -এর নির্বাচনের বছর দুয়েক আগে থেকে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ সহ সামগ্রিক কর্মতৎপরতা থেকে মনে হচ্ছিল, এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি ডিসাইসিভ রোল প্লে করবে। কিন্তু, শেষমেশ দেখা গেল, তারা ভারতীয় চাপে নতি স্বীকার করে শেখ হাসিনাকে এবারেও একটি ডামি নির্বাচন করে বৈতরণী পার হতে মৌন সমর্থন যুগিয় গেছে।
সব মিলিয়ে এদেশের মানুষ বুঝে গিয়েছিল, তাদের ভাগ্য তাদেরকেই নির্ধারণ করতে হবে। কিন্তু, কিভাবে? রাজনৈতিক দলগুলো তখন অলরেডি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে টানা লড়াই চালিয়ে ক্লান্ত প্রায়। কোথাও কোন আলো দেখা যাচ্ছিল না। এই সময়ে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল, এর প্রতিবাদে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকার ট্যাগ দিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্যকরণ এবং পরবর্তীতে প্রথমে ছাত্রলীগ ও পরে পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে পেশীশক্তির জোরে আন্দোলন দমানোর প্রচেষ্টা ছাত্র-জনতার দীর্ঘদিনের ধূমায়িত রোষকে অগ্নিস্ফুলিঙ্গে পরিণত করতে বারুদের ভূমিকা পালন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছিল এই আন্দোলনের ভ্যানগার্ড। প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের বর্বরোচিত হামলা, পরে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরস্ত্র শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে ক্লোজ ডিসটেন্স থেকে পুলিশের গুলি করে হত্যা এবং প্রায় একই সময়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় সারাদেশে প্রায় অর্ধডজন হত্যাকা- আন্দোলনকে তুঙ্গে নিয়ে যায়। সারাদেশে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ত বটেই, তাদের সাথে সাধারণ মানুষও প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। দেশের সকল রাজপথ ছাত্র-জনতার দখলে চলে যায়। এক পর্যায়ে কোটা সংস্কারের দাবি পরিণত হয় ফ্যাসিস্ট স্বৈরশাসকের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে। সারাদেশে আন্দোলন এমন এক অপ্রতিরোধ্য রূপ নিল যে, স্বৈরশাসকের বিদায় কেবল সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াল।
জুলাই অভ্যুত্থানে সবচেয়ে বড় ট্রাজেডিটা তখনও মঞ্চস্থ হওয়া বাকি ছিল। যেকোন মূল্যে ক্ষমতায় টিকে থাকতে বেপরোয়া স্বৈরশাসক নির্বিচার হত্যাকা- চালিয়ে এই আন্দোলন দমনের পথ বেছে নেয়। যথেচ্ছ ধরপাকড়ের পাশাপাশি ছাত্র-জনতার উপর লেলিয়ে দেয়া হয় পুলিশ, বিজিবি ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী বাহিনীকে। অবাধ তথ্যপ্রবাহ রোধে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়ে এবং কার্ফ্যু জারি করে ছাত্রজনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে রাজপথকে অসংখ্য শহীদের রক্তে রঞ্জিত করা হয়, আহত হয় হাজার হাজার ছাত্রজনতা। আন্দোলনকারীদের দমাতে নামানো হয় সেনাবাহিনী।
কিন্তু, স্বৈরশাসকের হিসেবে একটি জায়গায় ভুল হয়ে গিয়েছিল। আন্দোলনের পুরোভাগে এমন কিছু আত্মোসর্গীকৃত কর্মী নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার জন্য তৈরি হয়ে ছিল, যারা পুলিশ-বিজিবি-সন্ত্রাসীদের গুলিবৃষ্টি উপেক্ষা করে এই আন্দোলনকে সামনে এগিয়ে নেয়ার শপথে ছিল অটল, অবিচল। এ দেশ, এ বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে দেখল, কিছু জানবাজ নিরস্ত্র মানুষের আত্মত্যাগ কিভাবে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত একটি বাহিনীর মনোবলকে চুরমার করে দিতে পারে। এই বিষয়টিই অসহায় আর্তনাদের মতো ফুটে উঠেছিল এক পুলিশ কর্মকর্তার কথায়, তিনি যখন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বলছিলেন, ‘গুলি করে করে লাশ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়।’ এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা ভালো হবে: আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে সেনাবাহিনী ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগে অস্বীকৃতি জানিয়ে প্রকারান্তরে তাদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়, যা স্বৈরশাসকের পতনকে ত্বরান্বিত করে। এভাবে আরও একবার সেনাবাহিনী দেশের ক্রান্তিলগ্নে দেশপ্রেমের স্বাক্ষর রাখল।
শেষাবধি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিজমের পতন ঘটলেও এই বিজয় অর্জনে অনেক রক্ত ঝরাতে হয়েছে। অনেক চড়া মূল্য দিতে হয়েছে এই লড়াইয়ে। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সূত্রে দেড় সহস্রাধিক ছাত্র-জনতার শাহাদতের এবং ২০ হাজারের অধিক আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। যারা শহীদ হয়েছেন তাদের অনেকেই ছিলেন নিজ পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। অনেকেই ছিলেন তাঁদের জন্য ভবিষ্যতের একমাত্র আশার আলো। আজ তাঁদের সামনে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। আর যারা আহত হয়েছেন, তাঁদের কারও হাত কেটে ফেলতে হয়েছে, কারও পা কেটে ফেলতে হয়েছে। অনেকের চোখ গুলি লেগে অন্ধ হয়ে গেছে। কারও কারও দেহে অনেকগুলো গুলি বিদ্ধ হয়েছে, যার কিছু বের করা গেছে, কিছু এখনও বের করা যায়নি। কারওবা শরীরের একটি অংশ অবশ হয়ে গেছে। এদের সকলের চিকিৎসা দরকার, কারও কারও ক্ষেত্রে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর প্রয়োজন হতে পারে। এজন্যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন। কেউ কেউ চিকিৎসা করতে গিয়ে তার সহায়-সম্বল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে বলে খবর আসছে।
এই আন্দোলনে যখন ডাক এসেছে তখন এদেশের যে তরুণেরা কোন কিছুর পরোয়া না করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, বন্দুকের গুলির সামনে অবলীলায় বুক পেতে দিয়েছিল, তাঁদের কেবল একটাই চাওয়া ছিল, ফ্যাসিস্ট শক্তির হাত থেকে প্রিয় মাতৃভূমি মুক্ত হোক। আল্লাহর অশেষ কৃপা, তাঁদের বিপুল ত্যাগের বিনিময়ে সে লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। যে পরিবর্তন এসেছে, যে সরকার গঠিত হয়েছে, সেটা তাঁদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আছে। তাঁরা কোন বিনিময়ের আশায় তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেননি। কিন্তু, আমাদের তো দায় তৈরি হয়েছে, তাঁরা চিরকালের জন্য আমাদেরকে এক অপূরণীয় ঋণের জালে আবদ্ধ করে ফেলেছেন। এখন শুধবার পালা, যদিও এ ঋণ কখনও শোধ হবার নয়। আমরা জানি, সরকার সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের সাহায্যার্থে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। কিন্তু, এখনও যখন শুনি আহত-নিহতদের তালিকাই সমাপ্ত করা যায়নি, যখন বিভিন্ন জায়গা থেকে আহতদের গোঙানির শব্দ ভেসে আসে, তাদের অনেকের যথাযথ চিকিৎসা নিতে না পারার খবর মিডিয়ায়-সোশ্যাল মিডিয়ায় চাওর হতে দেখা যায়, তখন এ সমাজের প্রতিটি হৃদয়বান মানুষের অন্তরাত্মা কেঁদে উঠে।
আমরা চাই, তাদের ব্যাপারে সরকার এবং আন্দোলনের নেতারা আরও সংগঠিত উদ্যোগ গ্রহণ করুক। প্রত্যেকটি কেস তার প্রয়োজন ও মেরিট অনুসারে এড্রেস করা হোক। এটার জন্য একটি সার্বক্ষণিক হটলাইন চালু করা যেতে পারে, যেন যারা শহীদ হয়েছেন এবং যারা আহত অবস্থায় কাতরাচ্ছেন, প্রয়োজন মনে করলে তাদের পক্ষ থেকে কেউ স্ব-উদ্যোগে তাদের সমস্যাদি এবং কী ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন তা সহজে অবহিত করতে পারেন। এতে আহতদের প্রয়োজন সঠিকভাবে চিহ্নিত করা সহজ ও সম্ভবপর হবে, শহীদ ভাইদের রেখে যাওয়া আত্মীয়-স্বজনদের প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দেয়ার যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা যাবে।
লেখক: অধ্যাপক ও সাবেক বিভাগীয় সভাপতি, ফার্মেসী বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
লাঞ্চের আগেই ৪ উইকেট নেই ভারতের
মাইলফলকের টেস্ট স্মরণীয় করে রাখতে চান মিরাজ
আজারবাইজানে কপ-২৯ সম্মেলনে ঠাকুরগাঁওয়ের ইএসডিওর সাইড ইভেন্ট অনুষ্ঠিত
বেতন পেয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করল বেক্সিমকোর শ্রমিকেরা
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪৭
ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য মনোনীত দুই সদস্যের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ
ট্রাম্প ব্যবসায়ী, আমরাও একজন ব্যবসায়ী পার্টনার চাই : টাইম ম্যাগাজিনকে ড. ইউনূস
আদানির দুর্নীতি : এবার ভারতেই বির্তকের মুখে মোদি সরকার
প্রেসিডেন্টর সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
নিজ্জর হত্যায় মোদীর সংশ্লিষ্টতার দাবি কানাডার সংবাদমাধ্যমের ,‘হাস্যকর’ দাবি ভারতের
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে গুলি, নিহত ৪২
এক সপ্তাহে রিজার্ভ বাড়ল ৬ কোটি ১০ লাখ ডলার
ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক সংঘাতে পরিণত হচ্ছে : পুতিন
মুরগি-সবজিতে কিছুটা স্বস্তি, আলু এখনো চড়া
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন শ্রম প্রতিনিধি দল ঢাকা আসছে আজ
পার্থে শুরুতেই চাপে ভারত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা
সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াত আমীরের কুশল বিনিময়
সিঙ্গেল সিটের দাবিতে গভীর রাতেও হলের বাইরে ছাত্রীরা