রাষ্ট্র গঠনে যা করা জরুরি
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম
গত ৫ আগস্ট এদেশের মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা ফ্যাসিবাদ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে। একটানা ৩৬ দিন তারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। এই ৩৬ দিনে হাজারের উপর ছাত্র-জনতা প্রাণ হারিয়েছে আওয়ামী হায়েনার বুলেটের আঘাতে। শত শত মানুষ আর চোখে দেখতে পাবে না। হাজার হাজার মানুষকে বুলেটের আঘাত আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। বিগত প্রায় ১৬ বছর ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার বেশ কয়েকটি গণহত্যা চালিয়েছে। ৫৭ জন সেনা অফিসার হত্যার মাধ্যমে তাদের গণহত্যার মিশন শুরু। এরপর হেফাজত ছাড়াও রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ছোট বড় অনেক গণহত্যা চালিয়েছে, আয়না ঘর বানিয়ে ঘৃণ্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।
বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে সচেতন নাগরিক হিসেবে অনেকেরই ভাবনার শেষ নেই। একটি সাম্য ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করতে হলে আমাদের সবাইকে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইটা শুরু করতে হবে পরিবার থেকে। আমাদের চেতনাকেও বৈষম্য বিরোধী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এখানে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে আমাদের কিছু ভাবনা তুলে ধরছি:
বাংলাদেশ থেকে সকল স্তরে বৈষম্য উৎপাটন করতে হলে আমাদেরকে সর্ব প্রথম শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কার আনতে হবে। একই দেশের নাগরিক হয়েও ভিন্ন ভিন্ন ধারার শিক্ষাব্যবস্থার কারণে আমাদের সন্তানরা একে অপরকে ঘৃণা করা শিখছে। একে অপরকে অপছন্দ করা থেকে বৈষম্য করার মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। শুধু বৈষম্য করার মানসিকতাই সৃষ্টি হচ্ছে না, বরং বৈষম্য করাটাকেই প্রত্যেক ঘরানার লোক সঠিক বলে মনে করছে। এই ধরনের মানসিকতা একটা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য কঠিন অন্তরায়। বৈষম্যের এই বীজ বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে না উপড়াতে পারলে আমরা কখনোই একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠন করতে পারব না। একজন শিক্ষার্থীর মন-মগজে ছোট্ট বেলা থেকে আলাদা আলাদা চেতনার যে বিষ ঢুকানো হচ্ছে তা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এ কাজটি সহজ না হলেও অসম্ভব নয়।
বাংলাদেশের সকল শিক্ষা ব্যবস্থাকে অনেকেই একই ধারায় নিয়ে আসার কথা বলেন। আসলে এই মুহূর্তেই সকল ধারাকে একই ধারায় নিয়ে আসা হয়ত বাস্তব সম্মত নয়। তবে কওমি, আলিয়া ও জেনারেল ধারায় কমন যে সাবজেক্টগুলো পড়ানো হয় তাকে চমৎকারভাবে ঢেলে সাজানো যায়। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমরা নি¤েœর প্রস্তাবনার আলোকে ঢেলে সাজাতে পারি:
১. প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত জেনারেল, আলিয়া ও কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা কমন সাবজেক্ট হিসেবে কুরআন, আরবি, ইসলাম শিক্ষা, বাংলা, গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান, আইসিটি ও কম্পিউটার, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় ইত্যাদি পড়তে পারে।
২. এই কারিকুলাম রচিত হবে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠির চেতনার আলোকে। বাংলা, গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান ইত্যাদি বইয়ের প্রচ্ছদ, ভেতরের কন্টেন্টগুলো অবশ্যই মার্জিত হতে হবে। কোনো ধরনের অশ্লীলতা, বিজাতীয় সংস্কৃতির চর্চা পাঠ্য বইয়ে হতে পারবে না। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনতার ঈমান ও আমলের সাথে সাংঘর্ষিক এমন কোনো উপাদান পাঠ্য বইয়ে থাকতে পারবে না।
৩. জেনারেল ধারার প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি ক্লাসে কুরআন, আরবি ও ইসলামী শিক্ষা নামে ৩০০ মার্কের ৩টি সাবজেক্ট মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক থাকবে।
৪. সংখ্যালঘু অন্য ধর্মের শিক্ষার্থীদের জন্য কুরআন ও ইসলামী শিক্ষার পরিবর্তে তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ এবং নৈতিক শিক্ষা নামের সাবজেক্ট পড়ানো হবে।
৫. কমন সাবজেক্টের বাইরে কওমি ও আলিয়া ধারার মাদরাসাগুলো হাদিস, তাফসির, আরবি দুই পত্র, ফিকহ, সিরাহ, বালাগাত-মানতেক ইত্যাদি সাবজেক্টসমূহের জন্য যুগোপযোগী সিলেবাস তৈরি এবং সে অনুযায়ী পাঠ্যবই প্রস্তুত করা এবং তা যোগ্য শিক্ষক দিয়ে পাঠদানের ব্যবস্থা করা।
বাংলাদেশের সংবিধান পুরোপুরি পরিবর্তন করা জরুরি। একটি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঐ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের চিন্তা-চেতনা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে যে ধরনের সংবিধান রচনা হওয়া প্রয়োজন ছিল সেই ধরনের সংবিধান বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৩ বছরেও রচনা করা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার নিজেদের ইচ্ছামতো সংবিধান সংশোধন করে মুজিব পরিবারের নিরাপত্তা বিধান ও আওয়ামী ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার যত ধারা যুক্ত করার তা করেছে। বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান কোনোভাবেই বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে না। আমাদেরকে এমন সংবিধান রচনা করতে হবে যে সংবিধান বাংলাদেশের সকল মানুষের অধিকার সমুন্নত করবে। দেশপ্রেম, জাতীয়তা, গণতন্ত্র, শিক্ষা, ধর্মচর্চা, সাম্য, সামাজিক সুবিচার ইত্যাদি যেন গণ মানুষ যেভাবে চায় সেভাবে হয়। সংবিধান রচনার সময় বিপ্লবী ছাত্র-জনতার চেতনা ও দাবিগুলোও সামনে রাখতে হবে। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি সেই স্বাধীন দেশের নতুন সংবিধান বিপ্লবী জনতার আশা আকাক্সক্ষাকে বাস্তবে রূপ দেবে, এটাই স্বাভাবিক।
বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার বিচার বিভাগকেও চরমভাবে ধ্বংস করে গেছে। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হচ্ছে বিচার বিভাগ; যেখানে গিয়ে আইনের আশ্রয় নিয়ে হলেও মানুষেরা তাদের ন্যূনতম মানবিক অধিকার রক্ষায় লড়াই করে যাবেন। বিচার বিভাগের কাজই হচ্ছে মাজলুমের পাশে দাঁড়িয়ে জালেমের জুলুমকে স্তব্ধ করে দেয়া। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আওয়ামী সরকার বিচার বিভাগ দিয়ে শত শত মানুষকে জেলে পুরেছে, শত শত মানুষকে অন্যায়ভাবে খুন করেছে। বিচার বিভাগকে স্বতন্ত্র স্বত্ত্বা হিসেবে দাঁড় করাতে হবে। বিচার বিভাগ যেন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে মাজলুম মানুষের পক্ষে দাঁড়াতে পারে সেই বন্দোবস্ত করতে হবে। বিচার বিভাগ তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে কিনা সেটা দেখভালো করার জন্য দেশের একটি কমিশন থাকতে পারে।
দেশের শান্তি শৃংখলা, নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে পুলিশের ভূমিকা অপরিহার্য। বিগত আওয়ামী সরকার সবচাইতে বেশি কলুষিত করেছে পুলিশ বিভাগকে। নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে পুলিশকে সকল অপরাধের লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছিল। আওয়ামী সরকারকে জোর করে ক্ষমতায় রাখতে গিয়ে একেকজন পুলিশ অফিসার দানবে পরিণত হয়েছিল। জনগণের যেকোনো প্রতিবাদকে তারা বুলেট দিয়ে প্রতিহত করেছে। শত শত নিরপরাধ মানুষকে ধরে নিয়ে গুম-খুন করেছে পুলিশ। যখন তখন যে কাউকে সাদা পোশাকে পুলিশ তুলে নিয়ে যেতো। আওয়ামী আমলে একেকজন পুলিশ হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। আওয়ামী আমলে পুলিশ যে দানবীয় আচরণ করেছে তার প্রতিফলও পেয়েছে। বাংলাদেশকে সুন্দরভাবে গড়তে হলে পুলিশ প্রশাসনের আমূল সংস্কার আনতে হবে। ক্ষমতায় যে সরকারই থাকুক না কেন পুলিশ যেন স্বাধীনভাবে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারে। জনগণকে মেরে সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার কাজে যেন তারা ব্যবহৃত না হয়। পুলিশের অস্ত্র চোর-ডাকাতের পেছনে খরচ হতে পারে কিন্তু কখনোই সাধারণ নিরপরাধ মানুষের পেছনে খরচ হতে পারবে না। পুলিশ কাউকে বিনা ওয়ারেন্টে ধরতে পারবে না। গুম-খুনের কোনো কালচার থাকতে পারবে না। জনগণের জান-মাল রক্ষাই হবে তার আসল কাজ।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি হলো, যে ভোটাধিকারের জন্য আমরা স্বাধীন দেশ পেয়ে গেলাম, সেই স্বাধীন রাষ্ট্রের ৫৩ বছর পার হয়ে গেলেও মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আরো বড় ট্রাজেডি হলো, যেই আওয়ামী লীগ ১৯৭০ সালে ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করলো সেই আওয়ামী লীগের হাতেই এদেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কবর রচিত হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল গঠন করে সকল দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন আর তার কন্যা শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের লেবাসে ওই একই বাকশাল এদেশে বিগত ১৬ বছরে কায়েম করেছিলেন। একেকবার একেক কৌশলে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিলেন। এজন্য তারা রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে দলদাসে পরিণত করেছিলেন।
আমরা মানুষের ভোটাধিকার চাই। সঠিক ভোটের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীরা যেন বিজয়ী হতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচনী বিধিমালা এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে অশিক্ষিত, চোর, গুন্ডা, দুর্নীতিবাজ মেম্বার, চেয়ারম্যান, মেয়র, এমপি না হতে পারে। ভোট প্রয়োগ ব্যবস্থাপনাকে টেকসই ও আধুনিক করতে হবে।
যেখানে জবাবদিহি নেই সেখানে দুর্নীতি বাসা বাঁধবে এটাই স্বাভাবিক। বিগত সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকেও জুলুমের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন দিয়ে দুর্নীতি দমন করেনি, তারা করেছে বিরোধী দমন। আওয়ামী প্রশাসনের বিভিন্ন দায়িত্বশীল, নেতাকর্মী, ব্যবসায়ীরা যে পরিমাণ দুর্নীতি করেছে তা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। শুধু এস আলম এক লাখ কোটি টাকা চুরি করে বিদেশে পাচার করেছে। শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ লাখ লাখ কোটি ডলার পাচার করেছে। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাসহ আওয়ামী লীগের প্রায় সব নেতাকর্মী কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে।
নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। দুর্নীতি দমন কমিশনকে প্রকৃত অর্থেই স্বাধীন ও ক্ষমতাধিকারী করতে হবে। কমিশন চাইলে যেন যে কারো দুর্নীতির তদন্ত করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। কমিশনে যেন সকল নাগরিক যে কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করতে পারে। সরকার প্রধানের বিরুদ্ধেও যেন অভিযোগ দেয়া যায় সেই ব্যবস্থা থাকতে হবে।
একটা দেশের অর্থনীতি হলো শরীরে রক্তের মতো। যে শরীরে রক্ত নেই সেই শরীর নিস্তেজ হয়ে যায়। বাংলাদেশে বিগত প্রায় ১৬ বছরে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হয়েছে এক কথায় তা নজিরবিহীন। ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা লাখ লাখ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন। দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি ডলার পাচার হয়েছে। শেখ হাসিনার পিয়ন পর্যন্ত শত শত কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য স্থিতিশীল অর্থনীতির বিকল্প নেই। দেশের সকল নাগরিক যেন সুস্থভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য যেন দুই একটি মাফিয়া চক্রের কাছে বন্দি না হয়। কেউ যেন মনোপলি ব্যবসা না করতে পারে। দেশের বাজার ব্যবস্থাপনার সুন্দর মনিটরিং ব্যবস্থা থাকতে হবে। কেউ যেন কৃত্রিম সংকট তৈরি না করতে পারে। ব্যাংকগুলোকে স্বাধীনভাবে বিজনেস করার সুযোগ করে দিতে হবে। ব্যাংকগুলো থেকে যে লাখ লাখ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে সে টাকা উদ্ধার করতে হবে।
আমরা এমন রাষ্ট্র চাই যেখানে সুশাসন নিশ্চিত হবে। বাংলাদেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বৈষম্য। প্রত্যেক সেক্টরে এমন এমন আইন ও বিধান করা হয়েছে, যাতে শুধুমাত্র গুটিকয়েক সরকারী কর্মচারী সুযোগ-সুবিধাগুলো পায়। সরকারি প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এমন ভাব নেয় যেন তারাই দেশের সবকিছু অন্যরা সবাই ভৃত্য। সচিবদের হাতে জিম্মি পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থা। তারা সরকারকে নয়-ছয় বুঝিয়ে তাদের সকল স্বার্থ লুটে নিতে পারলেও সাধারণ জনগণের স্বার্থ কখনো নিশ্চিত হয়নি। বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের জন্য সুশাসন ও দলীয় প্রভাবমুক্ত প্রশাসন গড়ে তুলতে হবে। দেশের সকল নাগরিকের কমন কিছু অধিকার থাকতে হবে, যা হবে সম্মানজনক। দেশের প্রতিটি নাগরিক যেন সকল জায়গায় নিজেদেরকে ধন্য মনে করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। রাষ্ট্রের সকল কর্মকর্তাকে দেশ ও জনগণের সেবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে নাগরিক হিসেবে আমাদের ভাবনা অনেক। দেশের প্রায় প্রতিটি সেক্টর নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে। যেসব জায়গায় দুর্নীতি করার সুযোগ বেশি সেইসব জায়গায় আগে হাত দিতে হবে। ভূমি মন্ত্রণালয়, রেল, সড়ক, বিআরটিসি, পাসপোর্ট, কর্ম কমিশনসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে আশু সংস্কার জরুরি।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা
সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াত আমীরের কুশল বিনিময়
সিঙ্গেল সিটের দাবিতে গভীর রাতেও হলের বাইরে ছাত্রীরা
ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার অতিক্রম করলো
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন অ্যার্টনি জেনারেল পাম বন্ডি
‘আ.লীগকে রাজনীতিতে সুযোগ দেওয়া মানে শহীদদের সঙ্গে গাদ্দারি করা’
বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস
শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া
ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল
‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’
প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের