গায়িকা রুকসানার রহস্যজনক মৃত্যু!

Daily Inqilab বিনোদন ডেস্ক

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৮ পিএম | আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৮ পিএম

ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন ওড়িশার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী রুকসানা বানু। গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ভুবনেশ্বরের এআইআইএমএস হাসপাতালে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় তার। তবে এখনো রুকসানা বানুর মৃত্যুর কারণ জানায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাই রুকসানার মৃত্যু নিয়ে রহস্য ক্রমাগত ঘনীভূত হচ্ছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ২৭ বছর।

 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রুকসানা ‘স্ক্রাব টাইফাস’ নামক রোগে ভুগছিলেন। ‘স্ক্রাব টাইফাস’ হল ব্যাকটেরিয়া ঘটিত একটি রোগ। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ফলে এটি হয়। বর্তমানে পুলিশ ও মেডিকেল টিম রুকসানা বানুর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করছে। তবে রুকসানার পরিবারের পক্ষ থেকে বিষ প্রয়োগের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে এমনটা দাবি করা হয়েছে।

 

রুকসানার মা এবং বোন শিল্পীর নাম প্রকাশ না করেই অভিযোগ করেছেন যে পশ্চিম ওড়িশার একজন প্রতিদ্বন্দ্বী গায়ক তার উপর বিষ প্রয়োগ করেছেন। সেই গায়ক রুকসানার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। এর আগে নাকি রুকসানাকে তিনি হুমকিও দেন বলে অভিযোগ।

 

এ ব্যাপারে রুকসানার বোন রুবি বানু বলেন, ১৫ দিন আগে একটি মিউজিক ভিডিওর শুটিংয়ের সময় জুস পান করেছিলেন রুকসানা। তারপর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর গত ২৭ আগস্ট ভবানিপাটনার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে।

 

রুবি বানু আরও বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসার পর রুকসানাকে বোলাঙ্গিরের ভিমা ভোই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় এরপর বারগড়ের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেও অবস্থার অবনতি হয় এবং পরবর্তীতে তাকে ভুবনেশ্বরের এআইআইএমএস হাসপাতালে নেওয়া হয়।

 


বিভাগ : বিনোদন


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

সেদিন প্রাণ নিয়ে ফিরেছিলাম, নয়তো আজ শহিদের তালিকায় থাকতাম
মেঘনা আলমকে ‘নিরাপত্তা হেফাজতে’ নেওয়া হলো কেন, জানালো ডিএমপি
সিডি জোনের বিরুদ্ধে মালিকানা জালিয়াতির অভিযোগ তুললেন সোহাগ
বিশেষ ক্ষমতা আইনে কারাগারে অভিনেত্রী মেঘনা আলম
'মঙ্গল শোভাযাত্রা' নাম পাল্টে নতুন নাম 'বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা'
আরও
X

আরও পড়ুন

লক্ষ্মীপুরে কুপিয়ে জখমের ছয়দিন পর যুবকের মৃত্যু

লক্ষ্মীপুরে কুপিয়ে জখমের ছয়দিন পর যুবকের মৃত্যু

রাজবাড়ীতে যুবদল নেতার হাতে লাঞ্ছিত নির্বাচন কর্মকর্তা ফোন ভাংচুর

রাজবাড়ীতে যুবদল নেতার হাতে লাঞ্ছিত নির্বাচন কর্মকর্তা ফোন ভাংচুর

রেল হাসপাতালে চিকিৎসা পাবেন সাধারণ মানুষও  : উপদেষ্টা ফাওজুল

রেল হাসপাতালে চিকিৎসা পাবেন সাধারণ মানুষও : উপদেষ্টা ফাওজুল

কালীগঞ্জে অপরাধীকে সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

কালীগঞ্জে অপরাধীকে সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

তারাকান্দায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে হকার উচ্ছেদে প্রশাসনের অভিযান

তারাকান্দায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে হকার উচ্ছেদে প্রশাসনের অভিযান

আমার স্ত্রীর অবস্থা ভালো : মির্জা ফখরুল

আমার স্ত্রীর অবস্থা ভালো : মির্জা ফখরুল

লবণের মূল্য কমে যাওয়ায় চাষিরা হতাশ, মাঠেই গর্তে ফেলে রাখছে লবণ

লবণের মূল্য কমে যাওয়ায় চাষিরা হতাশ, মাঠেই গর্তে ফেলে রাখছে লবণ

চাঁদার জন্য বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগে যুবদল নেতা গ্রেফতার

চাঁদার জন্য বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগে যুবদল নেতা গ্রেফতার

ফিলিস্তিনে বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ সফল করুন : খেলাফত আন্দোলন

ফিলিস্তিনে বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ সফল করুন : খেলাফত আন্দোলন

গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ নিয়ে জরুরি নির্দেশনা

গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ নিয়ে জরুরি নির্দেশনা

উৎসবের নামে মুসলিমদের শিরকের পথে ঠেলে দিচ্ছে সরকার

উৎসবের নামে মুসলিমদের শিরকের পথে ঠেলে দিচ্ছে সরকার

ভারি বৃষ্টিপাতে ভারত ও নেপালে শতাধিক মৃত্যু

ভারি বৃষ্টিপাতে ভারত ও নেপালে শতাধিক মৃত্যু

দেখা মিললো ওবায়দুল কাদেরের

দেখা মিললো ওবায়দুল কাদেরের

৪ হাজার টাকার ইনজেকশন, ৩৪ হাজারে বিক্রি

৪ হাজার টাকার ইনজেকশন, ৩৪ হাজারে বিক্রি

ফিলিস্তিনিদের স্বার্থের সকল কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকবো : জিএম কাদের

ফিলিস্তিনিদের স্বার্থের সকল কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকবো : জিএম কাদের

বাণিজ্য যুদ্ধ তীব্র হওয়ার সাথে সাথে মার্কিন শেয়ারের দাম কমেছে

বাণিজ্য যুদ্ধ তীব্র হওয়ার সাথে সাথে মার্কিন শেয়ারের দাম কমেছে

কারা হেফাজতে মৃত্যুর শিকার ছাত্রদল নেতা মিলনের পরিবারের খোঁজ নিলেন তারেক রহমান

কারা হেফাজতে মৃত্যুর শিকার ছাত্রদল নেতা মিলনের পরিবারের খোঁজ নিলেন তারেক রহমান

ফিলিস্তিনে গণহত্যায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জে বিক্ষোভ - মিছিল সমাবেশ

ফিলিস্তিনে গণহত্যায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জে বিক্ষোভ - মিছিল সমাবেশ

ঢাবি ক্যাম্পাসজুড়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন ছাত্র শিবিরের

ঢাবি ক্যাম্পাসজুড়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন ছাত্র শিবিরের

রাবিতে ভর্তি পরীক্ষার দামামা, ‘বি’ ইউনিটে প্রতি আসনে লড়বে ৭৬ জন!

রাবিতে ভর্তি পরীক্ষার দামামা, ‘বি’ ইউনিটে প্রতি আসনে লড়বে ৭৬ জন!