জনস্বাস্থ্য রক্ষায় শব্দদূষণ বন্ধ করুন
০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
শব্দদূষণ একধরনের মারাত্মক পরিবেশদূষণ। আমাদের সঠিক অনুধাবনের অভাবে দিন দিন এই দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। অনেক পরিবেশবাদী বাংলাদেশের শব্দদূষণের বর্তমান পর্যায়কে ‘শব্দ-সন্ত্রাস’ নামে অভিহিত করেছেন। ‘শব্দ–সন্ত্রাস’ আমাদের মাথাব্যথার কারণ। বর্তমানে ঢাকা শহরের শব্দদূষণ যে পর্যায়ে অবস্থান করছে তা খুবই আশংকাজনক। সেটা সমস্যা মনে হলেও আমাদের অসচেতনতার কারণে আমরা প্রায়শ বলে থাকি এটার নিরসন সম্ভব নয়। কিন্তু এ সমস্যাগুলো মানুষেরই তৈরি। আমরা একটু সচেতনতা অবলম্বন করলেই এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বাড়িতে, অফিসে, রাস্তাঘাটে এমনকি বিনোদনের সময়ও আমরা বিভিন্নভাবে শব্দদূষণের শিকার হচ্ছি। বিশ্বব্যাপী মানুষ পরিবেশ দূষণ রোধে সোচ্চার। বাংলাদেশেও বর্তমানে পরিবেশ দূষণ রোধের বিষয়টি একটি আলোচিত বিষয়। অনেক ব্যক্তি, বেসরকারি সংগঠন, পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি তথা পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করছে। প্রচার মাধ্যমগুলোকে এ ব্যাপারে আরো এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমান সময়ে বায়ুদূষণ-পানিদূষণ রোধ এবং বনায়নের বিষয়গুলো আলোচিত হলেও শব্দদূষণ সম্পর্কে আলোচনা বা চিন্তাভাবনার গন্ডি একেবারেই সীমিত। শব্দদূষণের কারণেও মারাত্মক রকমের স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে সে সম্পর্কে জনসাধারণের মাঝে সুস্পষ্ট ধারনা নেই। বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংগঠন এ নিয়ে কিছু কাজ করলেও তা সমস্যার তুলনায় খুবই সামান্য। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক আইনও যথাযথভাবে পালিত হচ্ছে না।
বাংলাদেশে শব্দ দূষণের কারণে অনেক মানুষের শ্রবণশক্তি হ্রাস পেয়েছে বলে উঠে আসে সাম্প্রতিক এক জরিপে। আর বাংলাদেশে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালায় স্পষ্ট বলা আছে কোন এলাকায়, দিনের কোন সময়ে, কি ধরনের শব্দ দূষণ করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। শব্দ দূষণকে বলা হয় নীরব ঘাতক। আর বিশেষ করে ঢাকা শহরে শব্দ দূষণের বহু উৎস রয়েছে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। গাড়ির হর্ন, নির্মাণকাজ, মাইকের ব্যবহার, শিল্পকারখানা কোন ক্ষেত্রেই শব্দ দূষণ বিষয়ে যেসব নিয়ম রয়েছে তা মানা হচ্ছে না।
> শব্দের মাত্রা যেমন হতে হবেঃ-
বিধিমালা অনুযায়ী আবাসিক এলাকায় রাত নটা থেকে ভোর ছটা পর্যন্ত শব্দের মাত্রা ৪৫ ডেসিবেল এবং দিনের অন্য সময়ে ৫৫ ডেসিবেল অতিক্রম করতে পারবে না। বাণিজ্যিক এলাকায় তা যথাক্রমে ৬০ ও ৭০ ডেসিবেল। হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালতের আশপাশে ১০০ মিটার পর্যন্ত নীরব এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে রাতে ৪০ ও দিনে ৫০ ডেসিবেল শব্দ মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া আছে।
> দিনে রাতে নির্মাণকাজ
ঢাকা শহরে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রায়শই দেখা যায় দিন নেই রাত নেই পাইলিং-এর কাজ, ইট ভাঙার যন্ত্র, সিমেন্ট মিক্সারের যথেচ্ছ ব্যাবহার হচ্ছে। বাংলাদেশে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের অধীনে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা রয়েছে। তাতে বলা আছে সন্ধ্যা সাতটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত নির্মাণকাজের এসব যন্ত্র চালানো যাবে না। আবাসিক এলাকার শেষ সীমানা থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে নির্মাণ কাজের জন্য ইট বা পাথর ভাঙার মেশিন ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু ঢাকা শহরে আবাসিক এলাকার শেষ সীমানা বলে কিছু আসলে নেই।
অন্তত বড় শহরগুলোতে অভিজ্ঞতা হল মধ্যরাত এমনকি সারা রাত জুড়ে নির্মাণকাজ চলে। কারো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে কিনা, শিশুদের পড়াশুনার ক্ষতি, অসুস্থ ও বয়স্ক ব্যক্তিদের কষ্ট কোন কিছুই অসময়ে নির্মাণ কাজ থামাতে পারে না।
আবদ্ধ কোন স্থানে শব্দ করলে শব্দ যাতে বাইরে না যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। যদিও ভবনে কোন ধরনের নতুন কাজ, ড্রিল মেশিনের, অফিসের ডেকোরেশনে নিয়মিতই ভঙ্গ হচ্ছে এই নিয়ম।
> শাস্তির যেসব বিধান রয়েছে ঃ আইন ভঙ্গ করলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা শব্দের উৎস যন্ত্রপাতি জব্দ করতে পারবেন। বিধিমালায় যেসব উল্লেখ করা রয়েছে তা পালনে ব্যর্থতাকে অপরাধ হিসেবে ধরা হবে। শব্দ দূষণে দোষী হিসেবে প্রমাণিত হলে প্রথম অপরাধের জন্য একমাসের কারাদন্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা দু ধরনের দুটিই প্রদান করার বিধান রয়েছে।
> দূষণের মাত্রা ব্যাপক ঃ শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ২০০৬ সালে করা হয় ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা’। এতে রাজধানীতে শব্দের গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা সময় ও এলাকাভেদে আলাদা করে দেওয়া আছে। নীরব এলাকায় রাতে সর্বোচ্চ মাত্রা ৪০ ডেসিবল আর দিনে ৫০। আবাসিক এলাকায় রাতে ৪৫ ও দিনে সর্বোচ্চ ৫৫ ডেসিবল শব্দ করা যাবে। মিশ্র এলাকায় যথাক্রমে ৫০ ও ৬০ ডেসিবল, বাণিজ্যিক এলাকায় ৬০ ও ৭০ ডেসিবল শব্দ গ্রহণযোগ্য। শিল্প এলাকায় তা রাতে ৭০ এবং দিনে সর্বোচ্চ ৭৫ ডেসিবল শব্দ করা যাবে।
শব্দ দূষণের বিভিন্ন উৎস ঃ
শিল্প উৎসের মধ্যে আছে টেক্সটাইল মিল, ইঞ্জিনিয়ারিং প্ল্যান্ট, প্রিন্টিং প্রেস ও ধাতু শিল্প। বেশিরভাগ শিল্পে ভারি মেশিন ব্যবহার করা হয়, যা খুব উচ্চ মাত্রার শব্দ তৈরি করে।
অটোমোবাইল বিপ্লব, শহুরে অঞ্চলে পরিবেশ বা শব্দ দূষণের একটি বড় উৎস হয়ে উঠেছে। বর্তমানে বাস, ট্রেন ও ট্রাকের মতো যানবাহনের সংখ্যা বাড়ায় যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে। যানজটের কারণে বেশি মাত্রায় হর্ণের ব্যবহার হয়, ফলে অসহনীয় শব্দ ছোট-বড় সবারই কানের ক্ষতি করছে ও মস্তিষ্কে খারাপ প্রভাব ফেলছে।
এছাড়া জনসভা, ধর্মঘট, নির্বাচন, ধর্মীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ ইভেন্টগুলোর মতো পাবলিক ফাংশনগুলোতে অনেক জোরে মাইকিং বা স্পিকার চালানো হয়। ফলে শব্দদূষণের সৃষ্টি হয়।
ভারী ধরনের যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ব্যবহার করে কিছু খামারে ৯০-৯৮ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দের মাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এই সরঞ্জামগুলোর মধ্যে আছে থ্র্যাশার, নলকূপ, ট্রাক্টর, ড্রিলার, চালিত টিলার ও হারভেস্টার।
এছাড়া সামরিক সরঞ্জাম যেমন- আর্টিলারি ট্যাংক, রকেট উৎক্ষেপণ, সামরিক বিমানের মহড়া, বিস্ফোরণ ও শুটিং অনুশীলন মারাত্মক শব্দদূষণকারী।
এমনকি নির্মাণ কাজ, ওয়ার্কশপ ও অটোমোবাইল মেরামত শব্দদূষণ সৃষ্টি করে। এ ধরনের কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলো প্রচুর শব্দ উৎপন্ন করে, যা শ্রবণ ক্ষমতার ক্ষতি করে।
গৃহস্থালীর কার্যক্রমেও কিন্তু শব্দদূষণের সৃষ্টি হয়। যেমন- দরজা জোরে ধাক্কা দেওয়া, বাচ্চাদের খেলার আওয়াজ, আসবাবপত্র নড়াচড়া, বাচ্চাদের কান্না, উচ্চস্বরে তর্ক করা ইত্যাদি। এছাড়া প্রেসার কুকার, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, ওয়াশিং মেশিন, সেলাই মেশিন, মিক্স-গ্রাইন্ডার, ডেজার্ট কুলার, এক্সস্ট ফ্যান ও এয়ার-কন্ডিশনারগুলির মতো গৃহস্থালির সরঞ্জামগুলো সমানভাবে প্রচুর শব্দ তৈরি করে।
এমনকি অফিস সরঞ্জাম যেমন- প্রিন্টার, ফটোকপিয়ার ও টাইপরাইটার শব্দ দূষণে অবদান রাখে।
> শব্দ দূষণ প্রতিরোধে করণীয় ঃ পরিবহন সেক্টরের শব্দ নিয়ন্ত্রণ, সঠিক নগর পরিকল্পনা-জোনিং কোডের ব্যবহার, রাস্তার শব্দ নিয়ন্ত্রণ, শব্দ-হ্রাসকারী স্থাপত্য নকশা ও বিমানের শব্দ কমানো হলো কিছু শব্দ প্রশমন ব্যবস্থা। এগুলো বাস্তবাযনের জন্য নির্দিষ্ট সংস্থার ব্যবস্থা নিতে হবে।
ইয়ারপ্লাগ ব্যবহার ঃ শব্দদূষণ কমানোর জন্য একটি সাশ্রয়ী টিপস হল ইয়াপ্লাগ পরা। আশপাশের পরিবেশ থেকে শব্দের পরিমাণ কমাতে এগুলো কাজের জায়গায় ও ঘুমানোর সময় পরিধান করতে পারেন। এটি ব্যবহারে স্বাস্থ্যকর ঘুম ও কানের পর্দার ক্ষতি প্রতিরোধ হবে।
সাউন্ডপ্রুফিং ঃ যেসব শিল্প কারখানা তাদের যন্ত্রপাতি থেকে প্রচুর শব্দ উৎপন্ন করে, তারা উচ্চ শব্দের ফ্রিকোয়েন্সি কমাতে শব্দরোধী উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি বাড়িতেও সাউন্ডপ্রুফিং উপকরণগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে ডবল-পেন উইন্ডো শব্দদূষণ প্রতিরোধে দারুণ কার্যকরী।
জানালা বন্ধ রাখুন ঃ আপনার বাড়ির আশপাশে রাস্তা, যানজট কিংবা অতিরিক্ত গাড়ি চলাচল করলে জানালা বন্ধ রাখুন। ডবল-পেন উইন্ডো বা ডোর হলে আরও বেশি উপকৃত হবেন।
শব্দ প্রতিরোধী হেডফোন ঃ শিল্প ও নির্মাণ শ্রমিকদের শব্দদূষণের ক্ষতি কমাতে বাধ্যতামূলক হেডফোন ব্যবহারের ব্যবস্থা করা উচিত কর্তৃপক্ষের। এ ধরণের হেডফোন অবাঞ্ছিত শব্দ ফিল্টার করে ও কানে পৌঁছাতে বাঁধা দেয়।
গাছ লাগান ঃ কম্পন ও শক্তিশালী শব্দ তরঙ্গ কমানোর একটি সহজ উপায় হলো বাড়ি বা অফিসের চারপাশে গাছ লাগানো। এক্ষেত্রে শব্দদূষণ একটু হলেও কমবে ও আপনার শারীরিক ক্ষতি কমাবে।
> হর্নের শব্দে স্বাস্থ্য সমস্যাঃ-
শব্দ দূষণ শরীরের যেসব ক্ষতি করে- লম্বা সময় অতিরিক্ত শব্দের মধ্যে থাকার কারণে হাইপারটেনশন, আলসার, হৃদরোগ, মাথাব্যথা, স্মরণশক্তি হ্রাস, স্নায়ুর সমস্যা ও মানসিক চাপ তৈরি হতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কান। অতিরিক্ত শব্দের মধ্যে দীর্ঘ দিন কাটালে শ্রবণ শক্তি ধীরে ধীরে কমে যাওয়া এমনকি বধির হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর অতিরিক্ত শব্দের কারণে কানের নার্ভ ও রিসেপ্টর সেলগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে মানুষ ধীরে ধীরে শ্রবণ শক্তি হারাতে থাকে। কত ডেসিবল শব্দে আপনি কতটুকু সময় কাটাচ্ছেন তার উপর বিষয়টি নির্ভও করে। ১২০ ডেসিবেল শব্দ সাথে সাথেই কান নষ্ট করে দিতে পারে। প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে ৮৫ ডেসিবেল শব্দ যদি কোন ব্যক্তির কানে প্রবেশ করে তাহলে তাহলে ধীরে ধীরে শ্রবণশক্তি নষ্ট হবে। মানুষ সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ ডেসিবেল শব্দে কথা বলে। ৭০ ডেসিবেল পর্যন্ত মানুষের কান গ্রহণ করতে পারে। ৮০›র উপরে গেলেই ক্ষতি শুরু হয়। বছর কয়েক আগে পরিবেশ অধিদফতরের করা এক জরিপে উঠে এসেছে যে মাত্রাতিরিক্ত শব্দের কারণে ইতোমধ্যেই দেশের প্রায় ১২ শতাংশ মানুষের শ্রবণশক্তি হ্রাস পেয়েছে। সম্প্রতি ‘ফ্রন্টিয়ারস ২০২২: নয়েজ, বেজেস অ্যান্ড মিসম্যাচেস’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে ইউএনইপি। তাতে বিশ্বের ৬১ শহরের শব্দ দূষণের মাত্রা তুলে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ঢাকায় শব্দের সর্বোচ্চ তীব্রতা ১১৯ ডেসিবল এবং রাজশাহীতে এর মাত্রা ১০৩ ডেসিবল পাওয়া গেছে। বিপরীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৯৯৯ সালের গাইডলাইন বলছে, আবাসিক এলাকার জন্য শব্দের গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ৫৫ ডেসিবল, বাণিজ্যিক এলাকার জন্য ৭০ ডেসিবল। ২০১৮ সালের সর্বশেষ হালনাগাদ গাইডলাইনে আবাসিক এলাকায় এই মাত্রা সর্বোচ্চ ৫৩ ডেসিবলের মধ্যে সীমিত রাখার সুপারিশ করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত এই মাত্রা বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, ঢাকা ও রাজশাহীতে শব্দের তীব্রতা এই নির্ধারিত মাত্রার দ্বিগুণেরও বেশি।
পরিশেষে বলতে চাই, শব্দ দূষণরোধে যানবাহনের হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার বন্ধ ও বিভিন্ন উৎস থেকে উৎপন্ন হওয়া শব্দ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আর শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কাজ করতে আগ্রহী, আশা করি তারাও এ প্রতিবেদন থেকে লাভবান হবেন। আমি মনে করি জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের ঐক্যবদ্ধ কর্ম প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে প্রাপ্ত দিক নির্দেশনা শব্দদূষণকে নিয়ন্ত্রণের পর্যায়ে নিয়ে যেতে সহায়ক হবে। এছাড়া হাজারও উপায় রয়েছে যা আমাদের সবুজ পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষমতা রাখে। এখন শুধু প্রয়োজন পৃথিবী বাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টা। আসুন, আমরা মিলেমিশে একটি সজীব সুন্দর বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলি, পরবর্তী প্রজন্মকে সুন্দর ভুবন উপহার দেয়ার লক্ষ্যে।
মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
সংগঠক, কলাম লেখক ও গবেষক
প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।
ইমেইল : [email protected]
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র বৈঠক, হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে আলোচনা থাকবে
রামু সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত
এক সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল ৬ কোটি ১০ লাখ ডলার
প্রবাসীদের যে জন্য সুখবর দিলো মালয়েশিয়া
জাবি শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন, ফটকে তালা, মশাল মিছিল
মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থাকবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
"নতুন সিনেমা নিয়ে ফিরছেন গ্লোবাল তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি"
ড. ইউনূসকে নিয়ে খালেদা জিয়ার পুরোনো যে বক্তব্য ভাইরাল
নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইসলামী আন্দোলনের শুভ কামনা
আলোচনায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার ‘টুস করে ফেলে দেয়ার’ হুমকি
দীর্ঘ ১৫ বছর সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে পারেনি: খোকন
'ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে অভিনেতা তারিক আনাম খানের নাটক'
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ