মহিলাদের জন্য ১২টি হৃদবান্ধব পরামর্শ
২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৯ এএম | আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৯ এএম
মহিলারা বিশেষ হৃদরোগ ঝুঁকিতে থাকলেও পুরুষেরা বেশি হৃদরোগ ঝুঁকিতে থাকেন। হৃদরোগ নারীদের এক নম্বর শত্রু নয়, বরং নারী অপেক্ষা পুরুষ ১০ গুণ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তবে নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি স্তন ক্যান্সার ঝুঁকিতে রয়েছে সারা বিশ্বে। প্রতি তিনজন নারীর মধ্যে একজন নারী হৃদরোগে মারা যায়। আবার ক্যান্সার, শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা ও দুর্ঘটনায়ও মহিলারা অধিক মারা যাচ্ছে। এসব মন্তব্য আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের।
হৃদরোগ বিভিন্ন প্রকার। বিভিন্ন প্রকার হৃদরোগে আক্রান্ত হয় নারী-পুরুষ। এসবের মধ্যে করোনারি আর্টারি রোগ প্রধান। এ রোগের জন্য হার্ট অ্যাটাক ও অন্যান্য হৃদরোগে মারা যায়। এগুলোর মধ্যে হার্ট ফেইল স্ট্রোকও রয়েছে। আজকাল পুরুষের চেয়ে মেয়েরা বেশি হৃদরোগে মারা যাচ্ছে প্রতি বছর। বেশির ভাগ নারীদের উচ্চ রক্তচাপ দেখা যায় ৫৫ বছর বয়সে। এ কারণে তারা হার্ট ফেইল করে এবং স্ট্রোকে মারা যাচ্ছে। এ সত্ত্বেও নারীদের ধারণা হৃদরোগ পুরুষের হয় এবং এই ধারণার জন্য তারা হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ আছে কি না পরীক্ষা করায় না। তারা হৃদরোগের অতি সাধারণ লক্ষণ সম্পর্কেও উদাসীন। ফলে তারা হার্ট অ্যাটাকে মারা যাচ্ছে। আজকের আলোচ্য বিষয় নারী-পুরুষ উভয় কিভাবে হৃদরোগ এড়িয়ে চলতে পারে জীবনযাপনে পরিবর্তন এনে। চিকিৎসকেরা বহু বছর গবেষণা ও জরিপ করে হৃদরোগ সম্পর্কে যেসব তথ্য ও পরামর্শ দিয়েছেন তা পুরুষের ওপর ভিত্তি করে। পুরুষ হৃদরোগ সম্পর্কে বেশি সচেতন বিধায় তারা চিকিৎসকের যোগাযোগ রাখে। কিন্তু নারীরা হৃদরোগ সম্পর্কে উদাসীন বিধায় তারা বেশি হার্ট অ্যাটাক, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়। মেনোপজের আগে উচ্চমাত্রার এস্ট্রোজেন মহিলাদের সুরক্ষা দিতে পারে। এ জন্য কোলেস্টেরল মাত্রা হ্রাস করতে হবে। বিশেষ করে এলডিএল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। রক্তচাপ কমাতে হবে। নারীদের ভুলে গেলে চলবে না যে, পুরুষের মতো নারীদেরও বয়সের সাথে সাথে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। কারণ, বয়সের সাথে সাথে নারীদের ওজন বাড়ে মধ্য বয়সে। তখন রক্তচাপও বাড়তে থাকে। বয়স ৫০-এর ওপরে গেলেই বেশির ভাগ নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। এক কথায় বলা যায়, নারী ও পুরুষের হৃদরোগ ঝুঁকি সমান। চলুন তাহলে জেনে নেই ১২টি হৃদবান্ধব পরামর্শ-
১. ধূমপান বর্জন করুন- ধূমপান আপনার স্বাস্থ্যের সর্বপ্রকার ক্ষতিসাধন করে। যুবক ও মধ্যবয়সী মহিলাদের দুই-তৃতীয়াংশ ধূমপানের জন্য হার্ট অ্যাটাক হয়। ধূমপায়ীরা সব সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে থাকে। যারা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খায় তারাও হৃদরোগের ঝুঁকিতে থাকে। যত শিগগির ধূমপান বর্জন করবেন তত চিন্তামুক্ত থাকবেন। কাজেই ধূমপান ত্যাগ করুন।
২. নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করান এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন- এ কথা সবার জানা যে, উচ্চ রক্তচাপ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের জন্য দায়ী। আজকাল রক্তচাপ পরীক্ষার হরেক রকম যন্ত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। বাজার থেকে একটি কিনে এনে সহজে ঘরে বসে রক্তচাপ পরীক্ষা করা যায়। এ ছাড়া শহরে প্রায় প্রত্যেক ফার্মেসিতে রক্তচাপ মাপের ব্যবস্থা আছে। মহিলাদের নিয়মিত ব্যায়াম, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে ওষুধ খেতে হবে। খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও ব্যায়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট সহায়ক।
৩. আপনার কোলেস্টেরল মাত্রা পরীক্ষা করান এবং নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখুন- আমাদের রক্তে দুই প্রকার কোলেস্টেরল রয়েছে- এলডিএল ও এইচডিএল। এই এলডিএল-এর মাত্রা ১৩০-এর নিচে রাখতে হবে এবং এইচডিএল-এর মাত্রা ৪০-এর মধ্যে রাখা দরকার। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এলডিএল মাত্রা ১০০ বা তার নিচে রাখা শ্রেয়। তবে এইচডিএল মাত্রা নারীদের জন্য ৫০ হওয়া শ্রেয়। খাদ্য ও ব্যায়াম এ দুটো মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সর্বমোট কোলেস্টেরল মাত্রা ২০০। যাদের এইডিএল মাত্রা বেশি এবং এলডিএল মাত্রা ১৩০-এর কম, তারা মোটামুটি নিরাপদ। ট্রাইগ্লিসারাইড চর্বির মাত্রা ১৫০-এর নিচে থাকতে হবে। শারীরিক বা দৈহিক পরিশ্রমে এইচডিএল মাত্রা বাড়ে এবং চর্বিজাতীয় খাদ্য বর্জনে এলডিএল কমে।
৪. রক্তের শর্করা বা চিনির মাত্রা পরীক্ষা করে দেখুন। যদি উচ্চমাত্রা হয় তবে কমানোর ব্যবস্থা নিন- যেসব মহিলা মোটাসোটা তাদের বেশির ভাগ ডায়াবেটিক রোগী, তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি। এমনকি যেসব মহিলার সুগার স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বেশি তারা ডায়াবেটিস পূর্ব অবস্থায় রয়েছেন। তারা করোনারি আর্টারি রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন। কাজেই সতর্ক হওয়া উচিত। তাদের খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও ওজন হ্রাস করতে হবে। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম অত্যাবশ্যক। সাথে চিসিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ওষুধ খেতে হবে।
৫. হৃদবান্ধব খাওয়া দাওয়া করুন- শাকসবজি, ফলমূল, শিম, বরবটি, আটা ও দুগ্ধজাত খাবার খান। যদি শাকসবজি না খান, তৈলাক্ত মাছ যেমন ইলিশ, পাঙ্গাশ জাতীয় মাছ খান। মুরগি বা পাখির গোশত খান। গরু, খাসি, ভেড়া বা মহিষের গোশত বর্জন করুন। মুরগির চামড়া, কলিজা, মাথা ও গিলা খাবেন না। কোনো প্রকার কোলা বা অ্যালকোহল পান থেকে বিরত থাকুন। মিষ্টিজাতীয় খাদ্য যেমন সন্দেশ, রসগোল্লা, চমচম ইত্যাদি খাবেন না। ময়দা ও পস্তুদানাও বাদ। মোটামুটি এসব মেনে চললে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যাবে।
৬. লবণ কম খান- লবণ রক্তচাপ বাড়ায়। তাই কাঁচা লবণ বর্জন করুন। প্রতিদিন বিভিন্ন রান্নায় এক চা চামচের তিন ভাগের দুই ভাগ ব্যবহার করুন। বয়স ৫০ হলেই দৈনিক ১৫০ মিলিগ্রামের বেশি লবণ খাওয়া চলবে না। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি রোগীদের জন্য লবণ অত্যন্ত ক্ষতিকর। রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে লবণ বেশি ব্যবহার করা হয়। ফাস্টফুডেও অধিক লবণ ব্যবহৃত হয়।
৭. কর্মঠ বা পরিশ্রমী হন- বিত্তবান লোকেরা নিজ হাতে কাজ করাকে অসম্মানজনক মনে করে বাড়িতে একাধিক কাজের লোক রাখেন, যারা সংসারের সব কাজ করে। আর তারা বাড়িতে শুয়ে বসে দিনাতিপাত করেন। ফলে এসব পরিবারের মহিলারা বেশির ভাগ অধিক ওজনবিশিষ্ট ডায়াবেটিক ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী। মনে রাখবেন, নিজের কাজ নিজে করায় কোনো অসম্মান নেই। নিজের পোশাক পরিচ্ছদ নিজে ধুয়ে নিন। ঘর মোছেন, রান্নার জন্য কোটাকুটি, বাটনা বাটা নিজে করুন। বাজারসওদা করতে যান। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করুন। স্কুল কাছে হলে শিশুকে স্কুলে দিয়ে আসুন ও নিয়ে আসুন পায়ে হেঁটে।
৮. ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন- মহিলাদের প্রধান সমস্যা এটি। অলস জীবন যাপন করে নিজের ওজন বাড়ান। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের শিকার হন। কেউ কেউ সন্তান জন্মদানে অক্ষম হন। যাদের ওজন বেশি তাদের প্রায় সবাই ডায়াবেটিক রোগী, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের শিকার। এ থেকে বাঁচতে হলে ওজন কমান। নিয়ন্ত্রণ করুন। আর এটা করতে হলে জিহ্বা সংযত করুন। খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মিত ব্যায়াম করুন। বয়স ৫০ এর ঊর্ধ্বে হলেও ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অকালমৃত্যুও হতে পারে। কাজেই খেয়ে খেয়ে শুয়ে বসে বা গাড়িতে ঘুরে ওজন বাড়াবেন না। লোক হাসাবেন না।
৯. কোনো পানাহারে আসক্ত হবেন না- ছেলে বা মেয়েকে স্কুলে ঢুকিয়ে নিজে কোনো ফাস্টফুডের দোকানে ঢুকে পিৎজা, বার্গার, গ্রিল ইত্যাদি বন্ধু বান্ধবীকে নিয়ে মজা করে খেয়ে দুই কেজি ওজন বাড়িয়ে বাড়ি ফিরবেন না। আবার খাওয়ার পর মজা করে কোক ফানটা, পেপসি জাতীয় পানীয় পান করে দেহে চর্বি বাড়াবেন না। মদ, অ্যালকোহল ইত্যাদি পান করবেন না। পরিবর্তে লেবুর শরবত পান করুন।
১০. হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের জন্য হরমোন নেবেন না- এক সময় এস্ট্রোজেন ও এজেস্টিন একত্রে হরমোন থেরাপি নিতেন মহিলারা হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করতে। কিন্তু গবেষণা বলছে এভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই হরমোন থেরাপি নিলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। স্ট্রোক, রক্ত জমাটবদ্ধ হওয়া এবং স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলারা সতর্ক হয়ে হরমোন থেরাপি নেবেন। আর যদি হরমোন থেরাপি যদি অত্যাবশ্যক হয় তবে সর্বনিম্ন মাত্রায় নেয়া উচিত।
১১. হতাশা, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা চিকিৎসা করান- দীর্ঘদিন হতাশায় ভুগলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনিবার্য হয়ে পড়ে। তাই এর চিকিৎসা জরুরি। উদ্বেগ উৎকণ্ঠা সাইকোথেরাপি দিয়ে চিকিৎসা সম্ভব। ওষুধেও নিরাময় হয়। নিয়মিত ব্যায়াম করলেও উদ্বেগ উৎকণ্ঠামুক্ত হওয়া যায়।
১২. আপনার পারিবারিক ইতিহাস জানুন- আপনার বাবা মা বা ভাইবোনেরা যদি ৫০ বছরের আগে হৃদরোগে বা স্ট্রোকে বা হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়ে থাকেন, আপনাকে ৫০ বছরের আগেই সতর্ক হতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। সর্বপ্রকার চর্বিজাতীয় খাদ্য বর্জন করুন। নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করান এবং ব্যবস্থা নিন। রুটিন বাঁধা জীবন যাপন করুন। শাকসবজি ও মাছ বেশি বেশি খান। জীবজন্তুর মাংস ছেড়ে মুরগি, পাখির গোশত ও মাছ খান। ডায়াবেটিস পরীক্ষা করান। কোলেস্টেরল মাত্রা দেখুন। মিষ্টান্ন দ্রব্য, লবণ ও চর্বিজাতীয় খাবারকে না বলুন। তাই পরিমিত ও নিয়মিত আহার, শারীরিক ব্যায়াম, বিশ্রাম, নিদ্রা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সুস্বাস্থ্যের পূর্বশর্ত।
মো: লোকমান হেকিম
গবেষক ও কলামিস্ট, মোবা: ০১৭১৬২৭০১২০
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আইপিএল নিলামে নাম না তোলার ব্যাখ্যা দিলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার
‘চিকিৎসা নিতে করাচি যান, ভারতে নয়’, বাংলাদেশিদের ভিসা বাতিলের দাবি শুভেন্দুর
বৃষ্টির কবলে দ. আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট
ইসকন দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে - বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন
আওয়ামী নেতাদের নির্দেশে চট্রগ্রামে নৈরাজ্য সৃষ্টির ব্যর্থ চেষ্টা
সাত কলেজ অনার্স প্রথম বর্ষের কালকের পরীক্ষা স্থগিত
নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদলের ১২ নেতাকর্মীর পদত্যাগ কমিটি বাতিলের দাবি
মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে মহা জট, ফড়নবিশকে জরুরি তলব দিল্লিতে
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান ফখরুল ইসলামের
আইনজীবী সাইফুল হত্যাকারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বহিষ্কার
আইনজীবী হত্যার অবিলম্বে বিচার চাই -ইসলামী আন্দোলন ঢাকা জেলা দক্ষিণ
ফ্যাসিবাদের দোসর উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন’কে নিষিদ্ধ করা হোক আলহাজ হাফিজ সাব্বির আহমদ
ভারতের প্রেসক্রিপশনে ইসকন বাংলাদেশে অশান্তি করছে: হাসনাত
ডোমিনোজ পিৎজা এখন মহাখালীতে
বিএনপি জনগণের দল, 'ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দিন' অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া
ইসকন ভারতের হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নে দাঙ্গা লাগানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত দেশব্যাপী তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড়
ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু
ইসকনের মিথ্যাচার ও ভারতীয় মিডিয়ার সিন্ডিকেট নিউজ
ঋণগ্রহীতা মারা যাওয়ার পর পাওনাদার তার পাওনা মাফ করে দেওয়া প্রসঙ্গে।
সংস্কারের প্রাসঙ্গিকতা