খানাখন্দে ভরপুর সুন্দরগঞ্জের রাস্তা জনগণের চরম ভোগান্তি

০৮ জুলাই ২০২৩, ০৮:৫৭ পিএম | আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৩, ১২:০৬ এএম

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে রাস্তা খানা-খন্দে ভরে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জনগণ। আগামি দুই মাসের মধ্যে রাস্তার কাজ শুরু হতে পারে বলে জানালেন কতৃপক্ষ।

জানা গেছে, উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চাচিয়া মীরগঞ্জ-গংগারহাট ভায়া আশরাফিয়া দাখিল মাদরাসা ৩১১৮ মিটার দৈর্ঘ্য রাস্তা এবং মীরগঞ্জ মাঝিপাড়া হতে ইমামগঞ্জ বাজার ভায়া তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদ ৩৬০৯ মিটার দৈর্ঘ্য রাস্তার বেহাল দশা বিরাজ করছে। রাস্তা দুইটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিবেচনায় ২০০৬/০৭ সালে গংগারহাট রাস্তার কিছু অংশ এবং মাঝিপাড়া হতে ইমামগঞ্জ বাজার রাস্তা পাকাকরণ করা হয়।
এরপর যথাসময়ে সংস্কার না করায় খানা-খন্দে ভরে বর্তমানে রাস্তার করুণ দশা বিরাজ করছে। বিশেষ করে মাঝিপাড়া-ইমামগঞ্জ রাস্তাটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

একটু বৃষ্টি হলেই খানা-খন্দে পানিতে ভরে যায়। হাট পানি ভেদ করে চলাচল করতে হয়। সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরের মীরগঞ্জ বাজার হতে ইমামগঞ্জ বাজার ওয়াপদা বাঁধ পর্যন্ত রাস্তার ওপর নির্ভরশীল হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

ইমামগঞ্জ সরকারি বালক ও বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইমাম ফাজিল মাদ্রাসা, পুটিমারী সরকারি প্রাথমিক ও পুটিমারী উচ্চ বিদ্যালয়, পূর্ব ঘগোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মীরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক ও মীরগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র, কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক এলাকার সরকারি চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার লোকজনের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এই রাস্তাটি। এছাড়া ইমামগঞ্জ বাজার হয়ে পার্শ¦বর্তী কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলা, রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার লোকজনের যোগাযোগের অবলম্বন এ রাস্তাটি। বাস, ট্রাক, অটোবাইক, টেম্পু, ট্রাক্টর, অটোভ্যান, অটোরিকশা প্রতিনিয়ত চলাচল করলেও রাস্তা খারাপ হওয়ায় যানবাহন চলাচল কমে গেছে।

ফলে যানবাহনের ওপর নির্ভরশীল লোকজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। বিশেষ করে ইমামগঞ্জ বাজার রোডে চৈতন্য বাজার ও কালিরপাট বাজারকে ঘিরে গড়ে উঠেছে শত শত দোকানপাট।

প্রতিদিন বেচা-কেনার জন্য হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। খানা-খন্দে ভরে যাওয়ায় প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটে অসংখ্য লোক আহত হচ্ছে।

রাস্তা প্রশস্তকরণসহ পাকাকরণের কার্যাদেশ পেয়ে গত বছরের প্রথম দিকে কাজ শুরু করেছিল পায়রা সেল এন্টারপ্রাইজ নামে মাগুড়ার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু অল্প দিনের মাথায় অজ্ঞাত কারণে কাজ না করেই চলে যান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী শামসুল আরেফিন খাঁন এ প্রতিনিধিকে বলেন, নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।

এলজিইডি বিভাগের গাইবান্ধা নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম মুঠোফোনে এ প্রতিনিধিকে বলেন, গত বছর এক ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছিল। তিনি কাজ শুরু করেছিলেন কিন্তু কাজ না করে চলে যাওয়ায় তার কার্যাদেশ বাতিল করে নতুন করে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। আগামি দুই মাসের মধ্যে রাস্তার কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিভাগ : অভ্যন্তরীণ