ঘুম নেই কোটচাঁদপুরের দর্জিপাড়া কারিগরদের
২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৭ এএম | আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৭ এএম

ঘুম নেই ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে দর্জিপাড়ার কারিগরদের। ঈদে নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। নতুন অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে অনেক দোকানি।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, সরগমর কোটচাঁদপুর পৌর শহরসহ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের দর্জি দোকান। কাপড় কাটার টেবিল, সেলাই মেশিনের খটখট শব্দ, আর সুই-সুতার কাজে ব্যস্ত কারিগরা। পাঞ্জাবি, কুর্তা, শাড়ি, লেহেঙ্গা, গাউন সব ধরনের পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এক্সপ্রেস সার্ভিসের জন্য অনেকে বাড়তি টাকা দিয়ে দ্রুত পোশাক বানিয়ে নিচ্ছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কাপড় কাটা, সেলাই ও কারুকাজ। ১০ রমজানের পর থেকে দর্জিরা পুরোপুরি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
বিশেষ করে ১০-১৪ রমজানের মধ্যে অধিকাংশ দোকান অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দোকানিরা। এখন কাজের চাপ অনেক বেশি। দর্জিরা দিনে ১৫-১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করছে। পৌর শহরের হাজী সুপার মার্কেটের কালাম ফিটিং এন্ড কাটিং টেইলার্সের মালিক কামাল হোসেন জানান, এখানকার দর্জিদের আলাদা খ্যাতি রয়েছে।
আশপাশে ৩-৪টি ইউনিয়নের মানুষ এ বাজারে চলাচলের কারণে এখানে পোশাক তৈরি করাতে আসেন। পোস্ট অফিস মোড়ের মডেল স্কুলের সামনের আক্কাস নামে এক দর্জি বলেন, ঈদের আগে ঘুমানোরও সময় নেই। সবাই চায় তাদের পোশাক সময় মতো হাতে পেতে, তাই দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। চাঁদরাত পর্যন্ত তাদের ব্যস্ততা থাকবে। এরপর কিছুটা স্বস্তি মিলবে। তবে তাদের পরিশ্রমের ফল হাজারো মানুষের ঈদের আনন্দে ফুটে উঠবে। মেইন বাজারে নিউ ফ্যাশান দর্জি দোকানের মালিক কবির হোসেন বলেন, বাচ্চাদের ও বড়দের সব ধরনের পোশাক তৈরি করছি। ঈদের মৌসুম ভালোই যাচ্ছে। গতবারের তুলনায় এবার কাজের চাপ বেশি। শবে বরাতের পর থেকে দোকানে অর্ডারের লাইন লেগে গেছে। কলেজ বাস স্ট্যান্ডের আলামিন টেইলার্সের মালিক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এবার অনেক কাজের চাপ। এরই মধ্যে অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছি। এবার বিশেষ করে থ্রিপিস, শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি ও হিজাবের চাপ বেশি।
তিনি আরোও বলেন, প্রতিটি থ্রিপিস বানাতে আমরা নিচ্ছি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। এছাড়া শার্ট ৩৫০, প্যান্ট ৪০০ ও পাঞ্জাবি ৫০০ টাকা। আলাদা ডিজাইনের বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে। তবে খরচ আগের মতোই আছে। আসাননগর কুল্লগাছা এলাকার তাইজুল ইসলাম বলেন, ঈদে ছেলে ও ভাইজির জন্য জামা বানাতে এসেছি। এখন এসে শুনি অর্ডার নেওয়া বন্ধ। পাশের এক দোকানি পরিচিত ছিলেন, তিনি নিলেন, কিন্তু মুজুরি বেশি টাকা ধরলেন। ৩টি থ্রিপিস বানাতে মজুরি নিয়েছেন ১৩শ’ টাকা। গত বছরও এ মজুরি ছিল ৯শ’ টাকা। একই কথা বলছেন বকশিপুর গ্রাম থেকে আসা তানিয়া বেগম। তিনি বলেন, এবার দর্জিরা অনেক আগে থেকে অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। আমরা নিম্নআয়ের মানুষ যার কারণে একটু বিপাকে পড়েছি। আগে থেকে অর্ডার দিলে একটু ভালো হতো কম খরচে পাওয়া যেত। বেশি হলেও তৈরি করতে হবে বাচ্চাদের আনন্দ বলে কথা।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

সিলেটে যে কারনে ‘চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল’ স্থাপনে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি

সুন্দরগঞ্জে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন

এবার ‘বাস মিস’ নয়, নতুন সম্ভাবনায় জোর বাংলাদেশ-পাকিস্তানের

গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির হঠকারী সিদ্ধান্তে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে : জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ

মতলবে ২ পরীক্ষার্থী বহিস্কার

ওয়াকফ আইন কার্যকর পিছিয়ে দিলো ভারত সরকার

রাজশাহীতে বিশেষ অভিযানে দুইজনসহ আটক ১৭

তুচ্ছ ঘটনায় ছোট ভাইয়ের নির্মম আঘাতে বড় ভাইয়ের মৃত্যু !

একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বলল বাংলাদেশ

উইন্ডিজের কাছে হেরে অপেক্ষা বাড়ল বাংলাদেশের

বাগমারার বার শিক্ষককে অব্যাহতি ও পাঁচ শিক্ষার্থী বহিস্কার

সংস্কার কেন ভোটাধিকার আর গণতন্ত্রের বিকল্প হবে: প্রশ্ন রিজভীর

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের নিয়ে আপত্তিকর ব্যানার উদ্বেগ-নিন্দা সিইউজে'র

রাত পোহালেই কর্মী সম্মেলন: লাকসাম জুড়ে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ

দেশের যেসব অঞ্চলে তীব্র ঝড়ের আভাস দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর

চারুকলায় এবং ভাস্কর মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ একইসূত্রে গাঁথা :ইউট্যাব

সিলেটে জিম্বাবুয়ে দলের অনুশীলনে বৃষ্টির বাগড়া, বাংলাদেশ দলও ঘাম ঝরালো মাঠে

মসজিদে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় আশুলিয়ায় সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন

২৭ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

র্যাবের মামলার আসামি পুলিশের শুভাকাঙ্খি হয়ে ধরা ছোঁয়ার বাইরে : ফজলু