বিনোদনকেন্দ্র হয়ে উঠেছে ফুলবাড়ীর ধরলা সেতু
০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৩ এএম

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ধরলা নদীর ওপর নির্মিত, শেখ হাসিনা ধরলা সেতুটি উদ্বোধনের পর থেকে সব বয়সের মানুষের জন্য বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
প্রকৃতির খোলা হাওয়ার শীতল পরশ পেতে বিভিন্ন উৎসব ও ছুটির দিনে এখানে বিনোদন পিপাসুদের উপচেভরা ভিড় জমে উঠে। ধরলা পাড়ে এসে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছে সব বয়সের নারী ও পুরুষ। এলাকায় তেমন কোন বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় বিকেল হলে সব বয়সের মানুষের মিলন মেলায় পরিনত হয় শেখ হাসিনা ধরলা সেতু এলাকা।
চারিদিকে পানি ও নদীর মাঝে দাঁড়িয়ে বিরাট শেখ হাসিনা ধরলা সেতু। সেতুর ওপর দাঁড়ালে ধরলার শীতল বাতাস মন জুড়িয়ে দেয় । সেতুর ওপর বেড়ানো গল্প গুজব, ফুটপাত ধরে হাটা।
কখনো বা দূরে ভেসে উঠা চড়ে ঘুড়ে বেড়ানো, ছবি তোলা, নৌকায় করে নদীর পানিতে ঘুড়ে বেড়ানো, আর ধরলার চরের বিভিন্ন ফসলের সবুজ সমারোহে বাতাশের দোল খেলানো খেলানো মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যের এক নয়নাভিরাম উপভোগে মানুষের মনকে উৎফুল্ল করে তোলে।
মনোরম পরিবেশে সময় কাটাতে দর্শনার্থীরা পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটির দিনগুলোতে এখানে বেড়াতে আসেন। বিশেষ করে ঈদ ও পূজার ছুটিতে দর্শনাথীর পদভারে মুখরিত হয় সেতু এলাকা।
বেড়াতে আসা মানুষের ধরলার রুচিকর বাতাসে ক্ষুধার উদ্যেগ হলে খাবার চাহিদা মেঠাতে সেতুর দু’পাশে স্থায়ী দোকানের পাশাপাশি অস্থায়ী বিভিন্ন দোকান বসেছে। চটপটি, বাদাম, চানাচুর, আইক্রিম, ফুসকা, ডাল-পুরি, আচার, ঝালমুড়িসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার ও শিশুদের জন্য অস্থায়ী খেলনা সামগ্রী ও মনিহারি সামগ্রীর দোকান গড়ে উঠেছে।
সন্তানসহ ঘুড়ে বেড়ানোর ফাঁকে হরেক রকম খেলনা কিনে দিচ্ছেন অভিভাবকরা।
নদীর বিশাল চরের বালুকারাশি নদীর পানির দোল খাওয়ার দৃশ্য মানুষের মনকে মুগ্ধ করে।
কখনও বা ভ্যান গাড়িতে চড়ে স্থানীয় শিল্পীরা সেতুর এপার থেকে ওপাড়ে ভ্র্যাম্যমান সংগীত পরিবেশন করে দর্শনার্থীকে বাড়তি আনন্দ দিচ্ছেন। শীতল বাতাস আর মনের স্নিগ্ধতা পেতে প্রতিদিনই বিকেল বেলা এলাকাটি দর্শনার্থীতে ভরে উঠে। তবে ঈদ, পুজা ও ছুটির দিনগুলোতে থাকে ওপচেপড়া ভিড়।
এখানে বেড়াতে আসা বড়ভিটা গ্রামের মো. শামীম কবির বুলবুল বলেন, এখানে বেড়াতে এসে খুব ভালো লাগছে। সেতু থেকে ধরলার দু’পাড়ের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে খুবই মনোমুগ্ধকর। তবে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
রোদ বৃষ্টিতে বসার জন্য নদীর দু’পাড়ে গোলঘর নির্মাণ, সৌচাগার, পার্ক ও শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলার ব্যবস্থা করার দাবি জানিছেন অনেকেই।
এসব সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হলে ধরলার এই স্থানটি অনায়াসে গড়ে উঠতে পারে একটি বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে। সরকার কিংবা কোন বেসরকারি সংস্থা এখানে সুদৃষ্টি দিলে এ স্থানে পর্যটকদের অনায়াসে আকর্ষণ করবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেহেনুবমা তারান্নুম বলেন, এই অর্থবছরে বরাদ্দের কোন সুযোগ নেই, আগামী বাজেটে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

তারেক রহমান ঘোষিত ৩১দফা সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঈশ্বরগঞ্জে বিএনপি'র জনসভা

বড়োদের শরীরে পা লাগলে কি করনীয় প্রসঙ্গে?

গ্রেফতারকৃত ক্রীম আপা কেন এত ভাইরাল?

মাগুরায় ছেলের মোটর সাইকেল থেকে পড়ে মায়ের মৃত্যু

চাঁদাবাজদের আর ক্ষমতায় আনা যাবে না : মুফতি ফয়জুল করীম

কিডনির পাথর অপসারণ বিষয়ে ডা. রফিকের আধুনিক চিকিৎসার প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন
জিম্বাবুয়েকে হালকাভাবে নিতে নারাজ শান্ত

পাঁচ লাখ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে ব্যাংকিং খাতে: গর্ভনর

নোয়াখালীতে "প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট"* এর গণ মিছিল সম্মেলন

ভারতে হনুমান জয়ন্তীতে মসজিদে লাউডস্পিকার নিষিদ্ধ

ময়মনসিংহে ভালুকের শরীলে পচন আওয়ামী লীগ নেতার চিড়িয়াখানা সিলগালা

আলোর পথে যাত্রার আহ্বান থাকবে পয়লা বৈশাখে: ছায়ানট

ইসরাইলির গণহত্যার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে সারাদেশ

লক্ষ্মীপুরে কুপিয়ে জখমের ছয়দিন পর যুবকের মৃত্যু

রাজবাড়ীতে যুবদল নেতার হাতে লাঞ্ছিত নির্বাচন কর্মকর্তা ফোন ভাংচুর

রেল হাসপাতালে চিকিৎসা পাবেন সাধারণ মানুষও : উপদেষ্টা ফাওজুল

কালীগঞ্জে অপরাধীকে সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

তারাকান্দায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে হকার উচ্ছেদে প্রশাসনের অভিযান

আমার স্ত্রীর অবস্থা ভালো : মির্জা ফখরুল

লবণের মূল্য কমে যাওয়ায় চাষিরা হতাশ, মাঠেই গর্তে ফেলে রাখছে লবণ