ড্রোন, উপগ্রহের রমরমার যুগেও কেন নজরদারিতে বেলুন ব্যবহার?
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:৪১ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৫১ পিএম
যুগটা প্রযুক্তির। অন্য সব ক্ষেত্রের মতো প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়েছে। এই সময়ে দাঁড়িয়ে উপগ্রহ বা ড্রোনের সাহায্যেই চালানো হয় নজরকারি। কিন্তু গত সপ্তাহ তিনেক ধরে চীন, রাশিয়া কিংবা আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশগুলি নিজেদের মধ্যে তর্কে জড়িয়েছে বেলুনকে কেন্দ্র করে! যা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই উঠছে প্রশ্ন। কেন প্রযুক্তির এই বাড়বাড়ন্তের মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্র, চীনের মতো দেশগুলি বেলুনের সাহায্যে নজরদারি চালাতে চাইছে?
এর কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে প্রথমেই যে দিকটি উঠে আসবে তা হল এর উচ্চতা। সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে বেলুনকে যুদ্ধের সময় ব্যবহার করার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। আসলে মাটি থেকে ২৪ হাজার থেকে ৩৭ হাজার মিটার উচ্চতায় ওড়ানো যায় বেলুনকে। অত উঁচুতে থাকায় চট করে সেটার দিকে নজর পড়া বেশ কঠিন। ফলে নির্বিঘ্নে গুপ্তচরবৃত্তি চালাতে গেলে বেলুন নিঃসন্দেহে একটা খুব ভাল ‘চয়েস’ আজও।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই মার্কিন সেনা এ ধরনের অনেক উঁচু দিয়ে ওড়া বেলুনের ব্যবহার শুরু করে। ‘প্রোজেক্ট জেনেটিক্স’ নামে পরিচিত ছিল সেই নজরদারি। ঠান্ডা যুদ্ধের সময়ে রাশিয়ার উপরে নজর রাখতে বেলুনেই ভরসা করত সেযুগের মার্কিন প্রশাসন। এছাড়াও খরচও একটা বড় ব্যাপার। একটা উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা, সেটার দেখভাল করা প্রভূত ব্যয়সাধ্য। সেদিক থেকে দেখলে বেলুন অনেক সস্তা। এর নির্মাণ খরচ যেমন অল্প, তেমনই একে নিয়ন্ত্রণ করতেও বিশেষ খরচ নেই।
আর ড্রোনের বিষয়ে বলা যায়, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এর গুরুত্ব যতই বাড়ুক মাটি থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ হাজার মিটারের বেশি উঁচুতে একে ওড়ানো যায় না। অন্যদিকে বেলুনকে সর্বোচ্চ ৩৭ মিটার উচ্চতায় ওড়ানো যায়। তাই অন্য সব দিক দিয়ে যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক, বেলুন কিন্তু এই দিকগুলিতে দশ গোল দিচ্ছে উপগ্রহ ও ড্রোনকে। সূত্র: টাইমস নাউ।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
হাজারীবাগে ব্যবসায়ীকে গুলি করে ৭০ ভরি স্বর্ণ ছিনতাইয়ের অভিযোগ
ঢাকায় শীত কেমন থাকবে জানাল আবহাওয়া অফিস
সমকামী বিয়ের বৈধতা দিচ্ছে থাইল্যান্ড
জাহাঙ্গীর গেট থেকে আসা যানবাহন বিজয় সরণি মোড় হয়ে ডানে যেতে পারবে না
জেনিনে ইসরাইলি হামলায় বেসামরিক নাগরিক নিহত: কাতারের তীব্র নিন্দা
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিশ্বব্যাংকের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের হুমকির জবাব দিল রাশিয়া
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের আদেশে সাময়িক স্থগিতাদেশ
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীকে সহযোগীতার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরাইলি হামলায় নিহত ২ ফিলিস্তিনি, পশ্চিম তীরে নতুন অভিযান
ঘণকুয়াশায় আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি সার্ভিস বন্ধ
চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ কোর্ট চত্বরে সাবেক পিপি বেলাল হোসেন হামলার শিকার, আইনজীবী সমিতির নিন্দা
ফেনীতে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত
ডেনমার্ক সরকারের আইএফইউ কর্তৃক একেএস খান ফার্মাসিউটিক্যালসে ১২.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ
রাশিয়ার জনগণকে ভালোবাসেন ট্রাম্প!
বিমানবন্দরে রাতভর তল্লাশিতে মেলেনি কিছুই : শাহজালালে ফের বোমা হামলার হুমকি বার্তা
বিপুল কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে সংবাদমাধ্যমগুলো
ইএফডি মেশিনের আগে সব ব্যবসায়ীদের ভ্যাটের আওতায় আনুন
বিএনপিতে চাঁদাবাজ অত্যাচারী ও দখলবাজের কোনো জায়গা নেই : আমান উল্লাহ আমান
নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইসলাম-ই কার্যকর পন্থা শীর্ষক জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত