মারা গেলেন চে গুয়েভারাকে বন্দি করা বলিভিয়ার সেই জেনারেল
০৮ মে ২০২৩, ০৯:৫০ পিএম | আপডেট: ০৯ মে ২০২৩, ১২:০৪ এএম
কিউবার বিপ্লবী আর্নেস্তো ‘চে’ গুয়েভারাকে বন্দি করা বলিভিয়ার সেই জেনারেল মারা গেছেন। তার নাম জেনারেল গ্যারি প্রাডো সালমন। গুয়েভারাকে বন্দি করে জাতীয় বীরে পরিণত হওয়া সাবেক এই জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। সোমবার (৮ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিউবার বিপ্লবী আর্নেস্তো ‘চে’ গুয়েভারাকে বন্দি করে জাতীয় বীরে পরিণত হওয়া জেনারেল গ্যারি প্রাডো সালমন ৮৪ বছর বয়সে মারা গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের সহায়তায় ১৯৬৭ সালে প্রাডো সালমন বলিভিয়ায় এক সামরিক অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আর ওই অভিযানেই চে গুয়েভারার সংগঠিত কমিউনিস্ট বিদ্রোহকে পরাজিত করা হয়েছিল। বিবিসি বলছে, তখন বলিভিয়ায় ডানপন্থি সামরিক সরকার ক্ষমতায় ছিল। আর তাই আর্জেন্টিনা বংশোদ্ভূত গুয়েভারাকে গ্রেপ্তারের একদিন পরই একজন সেনা কর্মকর্তা তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন।
মূলত ষাটের দশকের সেই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে শীতল যুদ্ধ সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠেছিল এবং চে গুয়েভারার কার্যকলাপসহ লাতিন আমেরিকায় কমিউনিস্ট প্রভাব নিয়ে সেসময় অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ছিল ওয়াশিংটন। সংবাদমাধ্যম বলছে, ১৯৫৯ সালের বিপ্লবের বিজয়ের পর কিউবা ত্যাগ করেছিলেন চে গুয়েভারা। মূলত অন্যান্য দেশে গেরিলা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। গুয়েভারা কিউবার কমিউনিস্ট নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর প্রধান সহযোগী ছিলেন এবং বিশ্বব্যাপী কমিউনিস্টদের জন্য তিনি পরবর্তী সময়ে নায়ক হয়ে ওঠেন।
এদিকে জেনারেল প্রাডোর ছেলে তার বাবাকে ‘একজন অসাধারণ ব্যক্তি’ হিসাবে অভিহিত করেছেন। তিনি ‘প্রেম, সততা এবং সাহসের উত্তরাধিকার’ রেখে গেছেন বলেও জানান তিনি। এছাড়া চে গুয়েভারাকে গুলি করে হত্যা করা মারিও টেরান নামের সেই বলিভিয়ান অফিসারও গত বছর মারা যান। বিবিসি বলছে, গুয়েভারার গেরিলা গোষ্ঠীকে পরাজিত করার মাধ্যমে বলিভিয়ার সামরিক শাসনকে রক্ষা করার জন্য জেনারেল প্রাডোকে জাতীয় নায়ক বানানো হয়েছিল। অভিযানের সময় তিনি প্রত্যন্ত জঙ্গল অঞ্চলে মার্কিন-প্রশিক্ষিত বলিভিয়ান রেঞ্জার্সের নেতৃত্ব দেন। অভিযানের আগে চে গুয়েভারার গ্রুপে সদস্য সংখ্যা প্রায় ১২০ থাকলেও পরে তা হ্রাস পেয়ে মাত্র ২২ জনে নেমে আসে।
অবশ্য একটি বুলেট দুর্ঘটনাক্রমে মেরুদণ্ডে আঘাত করার পর ১৯৮১ সাল থেকে জেনারেল প্রাডো হুইলচেয়ার ব্যবহার করতেন। নিজের ১৯৬৭ সালের বিজয় সম্পর্কে একটি বই লিখেছিলেন এই সেনা কর্মকর্তা, যার নাম হাউ আই ক্যাপচারড চে। তার ছেলের মতে, ‘তার কাছে চেকে বন্দি করা তার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল না - বরং, সশস্ত্র বাহিনীকে একটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে অবদান রাখাই ছিল তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ যা সংবিধান ও আইনকে সম্মান করবে’।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক
জমকালো আয়োজনে পালিত হলো বান্দরবান সেনাবাহিনীর ৬৯ ব্রিগেডের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ
বিহারীরা কেমন আছে
ব্রাহ্মণপাড়ায় ধর্ষণের শিকার হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী যুবতীর সন্তান প্রসব! আতংকে ভুক্তভোগী পরিবার