অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে প্রাদেশিক উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে অর্থায়ন বন্ধের কথা ভাবছে পাকিস্তান সরকার। এর পরিবর্তে আগামী বছরের সরকারিখাতের উন্নয়ন কর্মসূচিতে (পিএসডিপি) পাঁচটি কৌশলগত খাত যেমন, রপ্তানি, শক্তি, তারল্য, ই-পাকিস্তান ও পরিব্শেখাতে নজর দিচ্ছে সরকার। ডন জানিয়েছে, আগামী বছরের উন্নয়ন বাজেট চূড়ান্ত করতে দেশটির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মন্ত্রী আহসান ইকবালের সভাপতিত্বে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিক্রমে সেই উন্নয়ন বাজেট চূড়ান্ত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, পিএসডিপিতে কেবলমাত্র সেই প্রকল্পগুলো অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যেগুলোর একটি কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বাধ্যতামূলক ছাড়া প্রাদেশিক কোনো প্রকল্প পিএসডিপির অংশ হওয়া উচিত নয়। তবে সেগুলোর অর্থায়ন হওয়া উচিত কেন্দ্র ও প্রদেশের অর্ধেক অনুপাতে। অর্থাৎ কেন্দ্র দেবে অর্ধেক, বাকি অর্ধেক দেবে প্রদেশ। ফেডারেল পিএসডিপিতে প্রাদেশিক উন্নয়ন প্রকল্পগুলোকে চিরতরে সীমাবদ্ধ করা উচিত, এই মতামত দিয়ে সেই সভা শেষ হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষয়িষ্ণু কেন্দ্রীয় উন্নয়ন কর্মসূচির হাল সম্পর্কে জানানো হয়। কর্মকর্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, প্রাদেশিক উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যাপারে এখন প্রাদেশিক সরকারগুলোকে দায়িত্ব নেওয়া উচিত। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সেন্ট্রাল ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কিং পার্টি (সিডিডব্লিউপি) শুধু ‘ফাইভ-ই’ বা কৌশলগত সেই পাঁচটি খাতগুলোতে অর্থায়ন করবে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে হিমশিম খাওয়া পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমতে কমতে প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ২০১৪ সালের পর গত ফেব্রুয়ারিতে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামে। বিপুল পরিমাণ বিদেশি ঋণে জর্জরিত পাকিস্তান সংকট সামলাতে আইএমএফের ঋণ পাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে ঋণ দিতে আইএমএফ যে শর্ত জুড়ে দিয়েছে, সেটি পূরণ করতেই হিমশিম খাচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে আবার রাজনৈতিক সংকটও চরমে উঠেছে পাকিস্তানে। একটি মামলার জেরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিটিআই নেতা ইমরান খানকে।