কোর কমান্ডার হাউসে হামলার প্রধান সন্দেহভাজন খাদিজা গ্রেপ্তার
২৪ মে ২০২৩, ০৫:৪৮ পিএম | আপডেট: ২৪ মে ২০২৩, ০৫:৪৮ পিএম
লাহোরে কোর কমান্ডার হাউসে হামলার প্রধান সন্দেহভাজন খাদিজা শাহকে হেফাজতে নিয়েছে পাঞ্জাব পুলিশ। এর আগে তার স্বামী ও পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তবুও তিনি আত্মসমর্পণ করেননি। যদিও তিনি বারবার আত্মসমর্পণের আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছিলেন। অবশেষে মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করে পাঞ্জাব পুলিশ। -জিও টিভি
খবরে জানানো হয়, গত ৯ মে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর কোর কমান্ডারের বাড়িতে হামলা চালায় তার সমর্থকরা। আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন খান। কিন্তু তার সমর্থকরা এর প্রতিবাদে দেশব্যাপী দাঙ্গা ও সহিংসতা সৃষ্টি করে। তাদের অন্যতম প্রধান টার্গেট হয়ে ওঠে সামরিক বাহিনী। এরই অংশ হিসেবে লাহোরে কোর কমান্ডারের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি ১৬ মিনিটেরও বেশি দীর্ঘ অডিও বার্তায় খাদিজা শাহ স্বীকার করেছেন যে তিনি একজন পিটিআই সমর্থক এবং লাহোর কর্পস কমান্ডার হাউসের বাইরে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। তবে মানুষকে সহিংসতায় প্ররোচিত করা সহ কোনও অন্যায় কাজ করার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।
খাদিজা শাহ ড. সালমান শাহের মেয়ে। সালমান শাহ ছিলেন সাবেক পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের ফাইন্যান্স টিমের সদস্য। এছাড়া তিনি উসমান বুজদার সরকারের সময় পাঞ্জাব সরকারের উপদেষ্টা হিসাবেও কাজ করেছিলেন। আবার সম্পর্কে তিনি সাবেক সেনাপ্রধানের নাতনিও হন।
পাঞ্জাবের অন্তর্র্বতীকালীন মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নকভি গত সপ্তাহে ঘোষণা করেন, ৯ই মে সামরিক স্থাপনায় হামলায় জড়িত নারীদেরও যে কোনও মূল্যে গ্রেপ্তার করা হবে। সেনাবাহিনী এবং ফেডারেল সরকারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে সামরিক স্থাপনায় হামলার সাথে জড়িত সমস্ত দুর্বৃত্তদের পাকিস্তান সেনা আইন এবং অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে বিচার করা হবে। হামলার পর এরইমধ্যে হাজার হাজার পিটিআই কর্মীকে সারা দেশ থেকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে আছেন পিটিআই’র শীর্ষ নেতারাও।
রোববার প্রকাশিত তার ভয়েস নোটে খাদিজা শাহ বলেছিলেন যে, তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে চলেছেন। এসময় তিনি তার ভুল স্বীকার করেন। তিনি মেনে নেন যে, তিনি রাগ ও আবেগের বশবর্তী হয়ে সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ‘অনুপযুক্ত’ টুইট করেছিলেন। কিন্তু এখন সেগুলি মুছে ফেলা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছি। আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, গত পাঁচ দিন আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। কর্তৃপক্ষ মধ্যরাতে আমার বাড়িতে ঢুকে আমার স্বামী ও বাবাকে অপহরণ করে। তারা আমাদের সন্তানদের সামনে আমার স্বামীকে মারধর করেছে। আমার গৃহকর্মীরাও নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
পিটিআইর এই সমর্থক বলেছেন যে, তিনি কোনো আইন বা দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করেননি। তিনি গত এক বছরে পিটিআই-এর অনেক বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন বলে জানান। এছাড়া তিনি একজন দ্বৈত নাগরিক বলেও জানান খাদিজা। দূতাবাস থেকেও সাহায্য পাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বড়দিনে ভারতকে ‘দুঃসংবাদ’ শোনালো অস্ট্রেলিয়া
প্রেমিকের মৃত্যুর খবরে প্রাণ দিলেন প্রেমিকা
ব্রাজিলে সেতু ধস: নিহত ৪, নিখোঁজ ১০
যুদ্ধকালীন ইউক্রেনের ডাকটিকিট, সাহসিকতার ভাষায় দেশপ্রেম ও প্রতিবাদের প্রতীক
বিচ্ছেদ হতে না হতেই আবারও একসাথে তারকা জুটি বেন-লোপেজ
হাইতির হাসপাতালে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত তিনজন
ছাত্রদলের কমিটি : ঢাকা কলেজের সামনে ৭টি ককটেল বিস্ফোরণ
আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিমান হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ১৫
গুম হন কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খালেদ হাসান
বিদেশি ভুল তথ্য ঠেকানোর মার্কিন সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ
চাঁদপুরে জাহাজে সেভেন মার্ডারের ঘটনায় মামলা
গাজায় বড়দিনে শান্তির জন্য প্রার্থনা, নিহতের সংখ্যা ছাড়লো ৪৫ হাজার
স্ত্রী-সন্তানসহ শাহরিয়ার আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মোজাম্বিকে বাংলাদেশিদের ৩শ' ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লুটপাট ও ভাঙচুর
অতিসত্বর নির্বাচন হওয়ার দরকার : আমীর খসরু
দুর্নীতিগ্রস্ত লুটেরা মাফিয়াদল যাতে বাংলাদেশে আর ফেরত না আসতে পারে : মেজর হাফিজ
বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিচ্ছে সরকার
ক্যাডার বর্হিভূত রাখার সুপারিশ প্রত্যাখ্যান শিক্ষা ক্যাডারের
শেখ হাসিনাসহ ৬৩ জনের নামে মামলা
অভিযানের খবরে পালাল শ্রাবণধারা কারখানার পরিচালক-ম্যানেজার