তালেবানের সময়ে আফগানিস্তানে মাদক ব্যবসা বেড়েছে
০২ জুন ২০২৩, ১১:৪১ পিএম | আপডেট: ০২ জুন ২০২৩, ১১:৪১ পিএম
কৃষকদের আফিম ও ইফেড্রা চাষের সুযোগ দিয়ে তালেবানের সঙ্গে ঘণিষ্ঠ সম্পর্ক ধরে রাখছে আফগানিস্তানের মাদক কারবারি সংগঠনগুলো। তাদের কেউ আবার ‘জিহাদী গোষ্ঠী রাষ্ট্রকে’ জিইয়ে রাখতে আর্থিক সহায়তাও করছে বলে খামা প্রেস জানিয়েছে।
মাদক চোরাচালান আফগানিস্তানে অর্থ উপার্জনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস ছিল। আফগান ডায়স্পোরা নেটওয়ার্কে হামিদ পাকিন লিখেছেন, মাদক তৈরিতে রাসায়নিক পেতে পাকিস্তানি সোর্সগুলো কাজে লাগায় কারবারিরা। তারা সরবরাহ করা মাদকের চালানোর জন্য অর্থ পরিশোধ করতে না পারলে বিভ্নি জাতিগোষ্ঠীর ব্যক্তিদের জিম্মি করে। আবার অর্থ পরিশোধের পরিবর্তে সন্ত্রাসী দলগুলো নিরাপত্তা সেবা দিয়ে থাকে।
১৯৭৯ সালে যখন পাকিস্তানের ইন্টারসার্ভিস ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টরেট মাদক চোরাচালান থেকে অর্থ পেতে জিহাদি গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দেয়, সেসময় হেরোইন উৎপাদন বেড়ে গিয়েছিল।
খামা প্রেস লিখেছে, জেনারেল মুহম্মদ জিয়া-উল-হকের সময় হেরোইন ডিলারদের জন্য সরকারি সুরক্ষার একটি বাস্তুতন্ত্র গড়ে তোলা হয়েছিল। সরকারি কর্মকর্তারা ওই ব্যবসা থেকে লাভ করে এবং সরকারের মধ্যে হেরোইন সিন্ডিকেটের উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক প্রভাব তৈরি হয়। পরর্ব্তীতে মাদক কারবারিদের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ হয়েছিল প্রথম তালেবান শাসনের সময়। মাদক কারবারি সংগঠনগুলো নিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ কার্যকর হয়েছিল। সেসময় পপি চাষ করতে না চাওয়া কৃষকদের হুমকি দেওয়ার মতো চরম পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়। এরপর চোরালানের রুট ইরান ও পূর্ব তুরস্ক হয়ে ইউরোপ পর্যন্ত চলে যায়। সেইসঙ্গে মধ্য এশিয়া হয়ে রাশিয়া পর্যন্ত চলে যায় মাদক চোরাচালানের পথ।
আফগানিস্তান ২০১৭ সালে থেকে ক্রিস্টাল মেথের একটি উল্লেখযোগ্য সরবরাহকারী দেশ হয়ে উঠে, যখন মাদক পাচারকারীরা বুঝতে পারে যে, দেশীয় ইফেড্রা ভেষজ এফিড্রিন তৈরি করতে পারে, যা মেথ উৎপাদনের একটি মূল উপাদান।
তালেবান দ্বিতীয়বারের ক্ষমতায় এসে পপি চাষ, ব্যবহার এবং চোরাচালের ওপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে, যদিও বাস্তব পরিস্থিতি এক নয়। আয়ের অন্য কোনো উৎস না থাকায় পুরোদমে চলছে পপির চাষ। যেহেতু অবৈধ আফিম ব্যবসা অর্থ সংকটে থাকা তালেবান প্রশাসনের জন্য আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য উত্স হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, সেহেতু তারা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে অনিচ্ছুক।
পাকিন দাবি করেন, ২০২১ সালে আফিম উৎপাদনের কারণে যে অর্থ আসে তা আফগানিস্তানের জিডিপির ১২ থেকে ১৪ শতাংশ। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদন বেড়েছে ৩৪ শতাংশ।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কুমিল্লার আদালতে মামলা স্থগিতেও সাবেক আইনমন্ত্রীর প্রভাব
আ'লীগের মতো বিএনপিও যদি জুলুম করে জনগণ যাবে কোথায়? - সোনারগাঁয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম
এম আবদুল্লাহ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি হওয়ায় সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের অভিনন্দন
পবিত্র সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে পাবনায় বর্ণাঢ্য র্্যালী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
বিজয় ছিনিয়ে নিতে নানামুখি ষড়যন্ত্র চলছে, মন্তব্য নজরুল ইসলাম খানের
তারেক জিয়ার বার্তা দেশবাসী অনুধাবন করতে পারবে - ডা. মাজহার
যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠা-নামা বন্ধ করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
বিচার বিভাগে হয়রানির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে: আইন উপদেষ্টা
পর্তুগালের নতুন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন মাহফুজুল হক
অস্ট্রেলিয়া কোচের পদ ছাড়লেন অর্নল্ড
ঈশ্বরগঞ্জে জামিয়াতুল মোদার্রেছীনের কমিটি গঠন
পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
বাংলাদেশের স্মৃতি ফিরলো শ্রীলংকা-নিউজিল্যান্ড টেস্ট
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে এ রকম ইতিহাস আর হবে না’: জয়নুল আবেদীন ফারুক
হঠাৎ ঝড়ে লণ্ডভণ্ড পটুয়াখালীর বাউফল
বড় পরাজয়ের মুখে বাংলাদেশ
বেগমগঞ্জে নামাজ পড়ে ফেরার পথে প্রাণ গেল বৃদ্ধের
কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানগ্লোবাল ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যাওর্য়াডস পেল ইসলামী ব্যংক
কোন শ্রমিক তার কারখানার ক্ষতি করবে না: শ্রম সচিব
নাঙ্গলকোটে প্রাথমিক শিক্ষা পদকে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন যারা