চীনে হুই মুসলিমদের ওপর দমনপীড়ন চলছেই
০৯ জুন ২০২৩, ০১:০৯ পিএম | আপডেট: ০৯ জুন ২০২৩, ০১:০৯ পিএম
চীনে ইসলাম ধর্মের অস্তিত্ব তেরশ বছরের, কিন্তু দেশটির এখনকার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সময়ের মতো এত হুমকির মুখে কখনও পড়েনি এই ধর্ম। চীনের ঐতিহাসিক শক্তি ও সম্পদ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ফেরানোর লক্ষে শি জিনপিং ধর্মীয় বিশ্বাসীদের ওপর কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তার দাবি, ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলো চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) অনুগত থাকবে এবং সেইজন্য ধর্মীয় নেতাদের উপর নজরদারি জোরদার করবেন তিনি।
উগান্ডার সংবাদমাধ্যম দি অবজারভার লিখেছে, বেইজিং আশঙ্কা করছে যে ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্মের মতো ধর্মগুলো বিদেশিদের এজেন্ট হতে পারে। এর ফলে তারা আন্তর্জাতিক লেনদেন ও অনুদান সীমাবদ্ধ করার পাশাপাশি বিভিন্ন ভবনগুলোও সংস্কার করছে, যেগুলো তাদের কাছে ‘চীনা ভাবধারার’ বলে মনে হয়নি।
নিজ নিজ ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোর মাধ্যমে সরকার ধর্মীয় শিক্ষকদের একটি ডাটাবেস তৈরি করেছে, যেখানে অনুমোদিত ইসলামিক, প্রোটেস্ট্যান্ট ও ক্যাথলিক ধর্মীয় শিক্ষকদের বিশদ তথ্য রয়েছে।
দি অবজারভার জানিয়েছে, সম্প্রতি উইঘুর ছাড়াও হুই নামের আরেকটি মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নির্মূলে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সিসিপি সরকার। এই হুই মুসলমানরা চীনাভাষী; তবে তারা পারস্যের ব্যবসায়ীদের উত্তরসূরী বংশধর। এই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চীনের বিচ্ছিন্নতা বা চরমপন্থার এখন পর্যন্ত কোনো রেকর্ড না থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে চাপ বাড়ছে। কমিউনিস্ট সরকার জনসমর্থন জোগাড় করতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হানদের মধ্যে জাতীয়তাবাদকে উস্কে দিচ্ছে।
হুইদের প্রতি এখনও গণবন্দিদশার কোনো চিত্র নেই, যে বন্দিদশা মূলত জিনজিয়াংয়ে সাঁড়াশি অভিযান বা দমনপীড়নের সবথেকে লক্ষনীয় দিক। তবে এই সম্প্রদায়গুলোর ধারণা, প্রতীক, সংস্কৃতি এবং পণ্যগুলোগুলোতে শুদ্ধি অভিযান চালানো হচ্ছে, যা তাদের কাছে চীনা জাতীয়বাদপুষ্ট বলে মনে হয় না।
গম্বুজ ও মিনারগুলো মসজিদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে বাঁকানো চীনা ছাদ প্রতিস্থাপিত করা হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী হুই উত্তরীয় বা ওড়না পরা পথচারীদের সংবাদে দেখানো নিষিদ্ধ। এমনকি পাবলিক স্পেসে আরবি লিপি নিষিদ্ধ।
চীনা প্রশাসনের কাছে দীর্ঘদিন ধরে অপমানিত হুই মুসলিমরা গত ২৭ মে তাদের তিক্ততা প্রকাশ করেছিল। সেসময় ইউনান প্রদেশের ইউক্সি সিটির টংহাই কাউন্টিতে হুইদের নাজিয়াইং মসজিদ ধ্বংস করার চেষ্টা করলে স্থানীয় হুইদের সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের সংঘর্ষ হয়।
হুই মুসলিমদের দাবি, তারা দীর্ঘদিন ধরে মসজিদে আরাধনা করে আসছে। তবে স্থানীয় প্রশাসন ২০১৯ সালের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে মসজিদটিকে অননুমোদিত অবৈধ কাঠামো বলে অভিহিত করে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
লৌহজংয়ে বিএনপির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত
শান্তর ফিফটির পর দিনের খেলার ইতি
নিউইয়র্কে বৈঠকে বসছেন তৌহিদ-জয়শঙ্কর
ছক্কা হাঁকানোর পরের বলেই আউট মুশফিক
ঝাড়খন্ডে কথিত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য অমিত শাহের
মুমিনুলকেও হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ
রাবির মাদার বখ্শ হলের পানির ট্যাংক থেকে উদ্ধার হলো দেশীয় অস্ত্র
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ড. ইউনূসের ভাষণ ২৭ সেপ্টেম্বর
ঢাবির হত্যার ঘটনায় প্রভোস্টকে অব্যাহতি
আইন-শৃঙ্খলা অবনতির চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: রাঙামাটিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মেক্সিকোতে মাদক কারবারিদের মধ্যে সংঘর্ষে দুই সপ্তাহে নিহত ৫৩
বিদ্যুৎ সাত-আট ঘণ্টা পর্যন্ত গ্রামে থাকে না
দুর্গাপূজায় ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত
জাকিরের পর ফিরলেন সাদমানও
খুবিতে ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার শীর্ষক সেমিনার
জাতিসংঘে যাওয়ার আগে হুঙ্কার দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান
ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বিচারবিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছেন: অ্যাটর্নি জেনারেল
গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প থেকে ভারতীয়দের অপসারণের দাবি গণঅধিকার পরিষদের
পঞ্চগড়ে তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস বিপর্যস্ত জনজীবন
দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে তালতলীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন