পুতিনের বাবুর্চি থেকে যেভাবে ওয়াগনারপ্রধান প্রিগোজিন
২৪ জুন ২০২৩, ০২:৫৪ পিএম | আপডেট: ২৪ জুন ২০২৩, ০২:৫৪ পিএম
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ডাক দেওয়া বেসরকারি সামরিক কোম্পানি পিএমসি ওয়াগনার ছিল চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীর প্রধান সহযোগী।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর তথ্য অনুসারে, পিএমসি ওয়াগনারের শীর্ষ কমান্ডার ইয়েভগেনি প্রিগোজিন ১৯৬১ সালে জন্ম নেন। ঘটনাচক্রে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং প্রিগোজিনের জন্ম একই শহরে- রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে।
ইয়েভগেনি প্রিগোজিন একাধিকবার কারাবাসের সাজা খাটা আসামিও। ১৯৭৯ সালে, আঠারো বছর বয়সে চুরির অভিযোগে আড়াই বছর কারাগারে ছিলেন তিনি। সেই সাজা খেটে বের হওয়ার দু’বছর পর আবারও চুরি-ডাকাতির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে এবং আদালতে সেসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া ১৩ বছর কারাবাসের সাজা হয় তার।
গত শতকের নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর মস্কো ও সেন্ট পিটার্সবার্গে হটডগ ও অন্যান্য ফাস্টফুড বিক্রির দোকান খোলেন প্রিগোজিন, একই সময়ে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও পরিচয় হয় তার। ওই সময় সদ্য ভেঙে যাওয়া সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি থেকে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনে বদলি হয়ে এসেছেন ভ্লাদিমির পুতিন।
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, পুতিনের সঙ্গে পরিচয়ে সূত্র ধরে তৎকালীন ক্রেমলিনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। ততদিনে রাশিয়ার একজন উঠতি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠছেন তিনি।
পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্টতার সূত্রে ক্রেমলিন ও সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে তিনি পরিচিতি পান ‘পুতিনের বাবুর্চি’ নামে। পরে এই নাম তার পরিচিত মহলেও ছড়িয়ে পড়ে। ক্রেমলিনের সঙ্গে দহরম মহরম সম্পর্ক থাকায় গোটা নব্বইয়ের দশক এবং তার পরের দশক বিভিন্ন লোভনীয় সরকারি ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নিতে সক্ষম হন প্রিগোজিন। এসব ঠিকাদারি কাজ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থও উপার্জন করেন তিনি।
সম্ভবত এই অর্থ দিয়েই বেসরকারি সামরিক কোম্পানি পিএমসি ওয়াগনার গড়ে তুলেছেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন, তারপর নিজেই হয়েছেন এই কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহী ও কমান্ডার।
পিএমসি ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধাদের অধিকাংশই জীবনের কোনো না কোনো সময় কারাগারে সাজা খেটে আসা আসামি। মূলত অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন দেশের সরকারি বাহিনীর সহযোগী হিসেবে যুদ্ধ করে ওয়াগনার গ্রুপ। সিরিয়া, মালি, সেন্ট্রাল আফ্রিকাসহ অনেক দেশেই যুদ্ধের অভিজ্ঞতা রয়েছে ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধাদের। তবে এই বাহিনীর যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘণের অভিযোগও উঠেছে একাধিকবার।
২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। তার কয়েক মাস পর রুশ বাহিনীর অংশ হিসেবে তাতে যোগ দেয় ওয়াগনার গ্রুপ।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মুকসুদপুরে ক্যালেন্ডার বিতরনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ আহত ২০ জন
১০ জেলায় শৈত্যপ্রবাহসহ সারাদেশে তীব্র শীত
আ.লীগ ক্রীড়াঙ্গনেও ব্যাপক দলীয়করণ করেছিল : মির্জা ফখরুল
নালিতাবাড়ীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযানে ড্রেজার মেশিন ও পাম্প জব্দ
ছাগলনাইয়ায় এসএসসি ব্যাচ-২০০০’র বন্ধুদের মেজবান ও মিলনমেলা
রাতের আধারে দুস্থ রোগীদের শীতবস্ত্র দিলেন ইউএনও
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল : চিকিৎসক
ঝগড়ার সময় স্ত্রীকে বাপের বাড়ী চলে যেতে বা মন ইচ্ছামতো চলতে বলা প্রসঙ্গে।
ফারুক হাসানের উপর হামলা ও আসামিদের জামিন পাওয়া অত্যন্ত নিন্দনীয় : খসরু
মানিকগঞ্জে ওয়ারেন্টের ৫ আসামী গ্রেফতার
আশুলিয়ায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পিঠা উৎসব
সন্ধান মিললো ফ্যাসিস্ট গণহত্যার শিকার আরও ৬ শহীদের লাশ!
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু হত্যার বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ
ছাগলনাইয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ
কেরানীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হাতে নিহত ১
ত্রিশাল সরকারি নজরুল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহন
বিএআরএফ'র ইজিএম ও ফ্যামিলি ডে অনুষ্ঠিত
‘আলেমদের নেতৃত্বে চলবে দাওয়াতে তাবলিগ খুনীদের নেতৃত্বে নয়’
কলাপাড়া গ্রাজুয়েট ক্লাবের উদ্যোগে ৫০০ শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচিতে টাঙ্গাইলে মানুষের ভালো সারা পাওয়া যাচ্ছে- শাকিল উজ্জামান