নির্বাচন নিয়ে ফের সাংবিধানিক সংকটের মুখে পাকিস্তান
০৮ আগস্ট ২০২৩, ০২:৫০ পিএম | আপডেট: ০৮ আগস্ট ২০২৩, ০২:৫০ পিএম
পাকিস্তানে আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাও থাকলেও তা ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পিছিয়ে দেয়া হতে পারে। সোমবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তার দাবি, পাকিস্তানের সাধারণ স্বার্থ কাউন্সিল (সিসিআই) নতুন আদমশুমারি অনুমোদন করার পরে নির্বাচন কমিশনকে (ইসিপি) নির্বাচনী এলাকাগুলোর নতুন সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। এর ফলে সাধারণ নির্বাচন পরের বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত পিছিয়ে যেতে পারে। জিও নিউজের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যদি নির্বাচনী এলাকাগুলোর নতুন সীমানা নির্ধারণ করতে হয়, তাহলে নির্বাচন ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে বা মার্চের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী অক্টোবর অথবা নভেম্বর মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধ্য পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। তবে গত শনিবার সিসিআই সভায় ‘সর্বসম্মতভাবে’ নতুন ডিজিটাল আদমশুমারির অনুমোদন দিলে নির্বাচনের সম্ভাব্য দিনক্ষণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। সভা শেষে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়, চারজন মুখ্যমন্ত্রী এবং ‘সব’ রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সম্মতিতে ২০২৩ সালের আদমশুমারির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সিসিআইয়ের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সানাউল্লাহ বলেন, আমার মতে, নতুন সীমানা নির্ধারণও একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। সংবিধান অনুযায়ী একটি আদমশুমারির ভিত্তিতে দুটি সাধারণ নির্বাচন হতে পারে না। সংবিধানে আরও বলা হয়েছে, নতুন আদমশুমারির ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত হওয়ার পরেই নির্বাচনী এলাকার নতুন সীমানা নির্ধারণ করা হবে। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, ২০২৩ আদমশুমারির ফলাফল নিয়ে বিভিন্ন আপত্তি তুলেছিল রাজনৈতিক দলগুলো।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ প্রসঙ্গে সানাউল্লাহ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহীর জন্য কোনো নাম চূড়ান্ত হয়নি। তিনি বলেন, এমকিউএম-পি এই পদের জন্য (সিন্ধের গভর্নর) কামরান টেসোরির নাম প্রস্তাব করেছে। জোটের আরেক অংশীদার পিপিপি-ও একটি বা দুটি নাম দেয়ার আগ্রহপ্রকাশ করেছে। একদিন আগেই পাকিস্তানি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, সম্ভাব্য তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর সংক্ষিপ্ত তালিকায় সাবেক অর্থমন্ত্রী হাফিজ শেখের নামও রয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত নাম মঙ্গলবার জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) নেতৃত্বাধীন সরকার আগামী ৯ আগস্ট জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে ৯০ পরবর্তী দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের সুযোগ পাবে ইসিপি। সরকার যদি মেয়াদ পূর্ণ করে তিন দিন পরে, অর্থাৎ আগামী ১২ আগস্ট ক্ষমতা ছাড়তো, তাহলে নির্বাচন করতে হতো পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে। সূত্র: জিওনিউজ।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
জুলাই বিপ্লবে আহত ১৪ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হচ্ছে : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ পদে এখনো ভারতীয়রা
ভারতে নির্যাতনের ভিডিও বাংলাদেশের সা¤প্রতিক ঘটনা হিসেবে প্রচার
দাদাবাড়ি বেড়াতে এসে খুন হলো শিশু সাফওয়ান, আটক ২
নরসিংদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে লক্ষ্য করে বালুদস্যুদের গুলিবর্ষণ
নরসিংদীতে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মানববন্ধন
রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
আখাউড়ায় মর্টার সেল উদ্ধার
রাজবাড়ীতে আ.লীগ দুই নেতা কারাগারে
কমলগঞ্জে ৮২ শতক সরকারি খাস জমি উদ্ধার
প্রিমিয়ার ভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন চসিক মেয়র
কুষ্টিয়ায় প্লাইউড বোর্ড কারখানায় আগুন
বিএনপি নেতা কায়কোবাদের দারুল উলূম হাটহাজারীসহ বিভিন্ন মাদরাসা পরিদর্শন
মাদারীপুরে পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত
গফরগাঁও সাবেক এমপি বাবেল গোলন্দাজ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
ময়মনসিংহে পুলিশ রেঞ্জ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন
নওফেল পরিবারের ২৫টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
নিজ বাড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত বন্ধুদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ
ট্রাভেল ব্যান্ড হ্যালির ধুমকেতুর দুই গান