হরিয়ানায় গুড়িয়ে দেয়া হল মুসলিমদের ৩০০ ঘর ও দোকান, আটক ১৫৬
০৮ আগস্ট ২০২৩, ০৪:০২ পিএম | আপডেট: ০৮ আগস্ট ২০২৩, ০৪:০২ পিএম
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের নুহ জেলায় যে সাম্প্রতিক সহিংসতা ঘটনা ঘটেছিল, তাতে সোমবার পর্যন্ত ১৫৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। দায়ের হয়েছে ৫৬টি এফআইআর। গ্রেফতারকৃতদের বেশিরভাগই মুসলমান বলে জানা গেছে। জেলা প্রশাসনের বক্তব্য, ওই হিংসাত্মক সংঘর্ষে ৬ জন নিহত ও ৮৮ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের প্রায় সবাই মুসলমান। তাদের পক্ষে আইনজীবী তাহির হোসেন অভিযোগ করেন, পুলিশ কোনো তদন্ত ছাড়াই নির্বিচারে লোকজনকে গ্রেফতার করছে। ‘এক বা দু’জন হিন্দু লোক থাকতে পারে তবে নূহ থেকে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের প্রায় সবাই মুসলিম,’ তিনি গ্রেপ্তারকে ‘বেআইনি এবং বেপরোয়া’ বলে অভিহিত করেছেন। ‘এটি একটি ভীতিকর দৃশ্য। সহিংসতার পরে, এমনকি আইনজীবীরাও এগিয়ে আসতে প্রস্তুত ছিলেন না। আসলে, একজন আইনজীবীকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। পরে তিনি মুক্তি পেলেও সাধারণ মানুষের কী হবে? দরিদ্র এবং দুর্বলরা কোন সমর্থন ছাড়াই প্রাপ্তির শেষে রয়েছে,’ তিনি বলেছিলেন।
এদিকে, সহিংসতার পরেই বুলডোজার চালিয়ে সেখানকার মুসলমানদের ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অন্তত ৩০০ স্থাপণা গুড়িয়ে দেয় রাজ্য সরকার। তবে সোমবার পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট ৪ দিনের জন্য নুহ-তে সরকারের ‘ডেমোলিশন ড্রাইভ’-এ স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সহিংসতার পর থেকে নুহ জেলায় বুলডোজার চালিয়ে মুসলমানদের একাধিক নির্মাণ ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হরিয়ানা সরকার। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও জানিয়েছিলেন, ‘চিকিৎসা’ হিসেবে বুলডোজার চলবে। তবে এদিনের পর খাট্টার প্রশাসনের সেই সিদ্ধান্ত অন্তত ৪ দিনের জন্য থমকে গেল।
সরকারের তরফে গুঁড়িয়ে দেয়ার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতেই স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পদক্ষেপ করে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। কী ভাবে, ভুক্তভোগীদের কোনও আগাম নোটিস না দিয়েই এই অভিযান চালানো হল, সেই প্রশ্নও তুলেছে আদালত। অন্য দিকে, সোমবার নুহ জেলার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করতে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কারফিউ তুলে নেয়া হয়েছিল। জেলাশাসক বলেন, ‘কারফিউ শিথিল হওয়ায় ব্যাঙ্ক এবং এটিএম বেলা ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখা হয়েছিল।’ তবে নাকা চেকিংয়ের কড়াকড়ি চলছেই।
জুলাইয়ের শেষ দিনে হরিয়ানার নুহ-তে অশান্তির যে দাবানল লেগেছিল, তা ছড়িয়ে যায় গুরুগ্রাম, রেওয়াড়িতে। একের পর এক গাড়িতে আগুন লাগানো হয়, করা হয় পাথর বৃষ্টি, ভাংচুর করা হয় দোকান। হরিয়ানা পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত দায়ের করা হয়েছে ৫৬টি এফআইআর। গ্রেফতার করা হয়েছে ১৫৬ জনকে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দিনচারেক আগেই নামানো হয়েছিল কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। কিন্তু তার পর এই ‘ডেমোলিশন ড্রাইভ’ নিয়ে প্রশ্ন উঠছিলই। সূত্র: আল-জাজিরা।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
জুলাই বিপ্লবে আহত ১৪ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হচ্ছে : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ পদে এখনো ভারতীয়রা
ভারতে নির্যাতনের ভিডিও বাংলাদেশের সা¤প্রতিক ঘটনা হিসেবে প্রচার
দাদাবাড়ি বেড়াতে এসে খুন হলো শিশু সাফওয়ান, আটক ২
নরসিংদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে লক্ষ্য করে বালুদস্যুদের গুলিবর্ষণ
নরসিংদীতে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মানববন্ধন
রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
আখাউড়ায় মর্টার সেল উদ্ধার
রাজবাড়ীতে আ.লীগ দুই নেতা কারাগারে
কমলগঞ্জে ৮২ শতক সরকারি খাস জমি উদ্ধার
প্রিমিয়ার ভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন চসিক মেয়র
কুষ্টিয়ায় প্লাইউড বোর্ড কারখানায় আগুন
বিএনপি নেতা কায়কোবাদের দারুল উলূম হাটহাজারীসহ বিভিন্ন মাদরাসা পরিদর্শন
মাদারীপুরে পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত
গফরগাঁও সাবেক এমপি বাবেল গোলন্দাজ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
ময়মনসিংহে পুলিশ রেঞ্জ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন
নওফেল পরিবারের ২৫টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
নিজ বাড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত বন্ধুদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ
ট্রাভেল ব্যান্ড হ্যালির ধুমকেতুর দুই গান