মেরুকরণেই ছারখার মণিপুর, মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা রাহুল গান্ধীর
০৯ আগস্ট ২০২৩, ০৩:৪৯ পিএম | আপডেট: ০৯ আগস্ট ২০২৩, ০৫:০৫ পিএম
সংসদ সদস্য হিসেবে প্রত্যাবর্তন হওয়ার পর প্রথম দিন লোকসভায় নিশ্চুপ ছিলেন তিনি। কিন্তু অনাস্থা প্রস্তাব আলোচনার দ্বিতীয় দিনে কার্যত গর্জে উঠলেন ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী। মণিপুর সহিংসতা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা, বিজেপি-র মেরুকরণের রাজনীতি থেকে পুঁজিপতি শিল্পপতিদের সঙ্গে কেন্দ্রের দহরম মহরমের তীব্র সমালোচনা করেন রাহুল।
বুধবার সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার দ্বিতীয় দিনে আগাগোড়া নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করে যান রাহুল। বিজেপি-র মেরুকরণের রাজনীতিই মণিপুরকে ছারখার করে দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এদিন লোকসভায় মোদি সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘একবারও হিংসাদীর্ণ মণিপুরে যাওয়ার সময় পাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার কাছে মণিপুর ভারতের অংশই নয়। এই দেশে মণিপুর আর বেঁচে নেই। মণিপুরের কথা শোনার মতো সময় নেই সরকারের কাছে। মণিপুরে ভারতকে খুন করা হয়েছে। তাদের রাজনীতি মণিপুরকে নয়, ভারতকে হত্যা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘ভারত মানে দেশের মানুষের কণ্ঠ। সেই কণ্ঠস্বরকে হত্যা করেছেন আপনারা। মণিপুরে ভারতমাতার হত্যা করেছেন। মণিপুরের মানুষকে মেরে ভারতকে খুন করা হয়েছে। আপনারা দেশপ্রেমী নন, আপনারা দেশদ্রোহী। সেই কারণেই মণিপুরে যেতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী। আপনারা ভারতমাতার রক্ষাকর্তা নন, আপনারা ভারতমাতার খুনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা সর্বত্র কেরোসিন ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। মণিপুরে আগুন ধরিয়েছেন। হরিয়ানাতেও একই কাজ করছেন। কারণ ভারতকে খুন করাই আপনাদের লক্ষ্য।
মোদির সমালোচনা করে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি যদি ভারতের কণ্ঠ না শোনেন, তাহলে কার কথা শোনেন? দু’জনের কথা শোনেন। দেখে নিন, আদানির জন্য মোদি কী কী করেছেন। রাবণও দু’জনের কথা শুনতেন, মেঘনাদ এবং কুম্ভকর্ণের। নরেন্দ্র মোদিও দু’জনের কথা শোনেন, অমিত শাহ এবং গৌতম আদানির।’
তিনি বলেন, ‘আমি মণিপুর বলছি বটে, কিন্তু আসল কথা হল, মণিপুর আর বেঁচে নেই। মণিপুরকে দু’টুকরো করে দিয়েছেন আপনারা। মণিপুরকে বিভাজিত করেছেন, ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন মণিপুরকে। আমি কিছু দিন আগে মণিপুর গিয়েছিলান। আমাদের প্রধানমন্ত্রী কিন্তু একবারও যাননি। কারণ তার কাছে মণিপুর ভারত নয়।’
‘শেষ বার আদানিকে গুরুত্ব দেয়ায় সমস্যা হয়েছিল। আপনাদের সিনিয়র নেতারা আহত হয়েছিলেন অত্যন্ত। আপনাদের উপরও হয়ত তার প্রভাব পড়েছিল। তার জন্য দুঃখিত আমি। কিন্তু আমি সত্যই বলেছিলাম। বিজেপি-তে আমার বন্ধুদের ভীত হওয়ার কারণ নেই। কারণ আজ আমার বক্তৃতা আদানিকে নিয়ে নয়। আদানি-গোলা ছুড়ব না আজ,’ রাহুল যোগ করেছেন।
মণিপুর সহিংসতা নিয়ে বুধবার ভারতের লোকসভায় সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের দ্বিতীয় দফার আলোচনা ছিল। এদিন সেখানেই বক্তৃতা করেন রাহুল। মোদি পদবী মামলায় গত সাড়ে চার মাস লোকসভার বাইরে ছিলেন তিনি। তার এমপি পদ খারিজ হয়েছিল। দু’বছরের সাজা শুনিয়েছিল আদালত। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট সাজায় স্থগিতাদেশ দেয়াতেই লোকসভায় প্রত্যাবর্তন ঘটেছে রাহুলের। সূত্র: ডন।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
জুলাই বিপ্লবে আহত ১৪ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হচ্ছে : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ পদে এখনো ভারতীয়রা
ভারতে নির্যাতনের ভিডিও বাংলাদেশের সা¤প্রতিক ঘটনা হিসেবে প্রচার
দাদাবাড়ি বেড়াতে এসে খুন হলো শিশু সাফওয়ান, আটক ২
নরসিংদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে লক্ষ্য করে বালুদস্যুদের গুলিবর্ষণ
নরসিংদীতে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মানববন্ধন
রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
আখাউড়ায় মর্টার সেল উদ্ধার
রাজবাড়ীতে আ.লীগ দুই নেতা কারাগারে
কমলগঞ্জে ৮২ শতক সরকারি খাস জমি উদ্ধার
প্রিমিয়ার ভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন চসিক মেয়র
কুষ্টিয়ায় প্লাইউড বোর্ড কারখানায় আগুন
বিএনপি নেতা কায়কোবাদের দারুল উলূম হাটহাজারীসহ বিভিন্ন মাদরাসা পরিদর্শন
মাদারীপুরে পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত
গফরগাঁও সাবেক এমপি বাবেল গোলন্দাজ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
ময়মনসিংহে পুলিশ রেঞ্জ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন
নওফেল পরিবারের ২৫টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
নিজ বাড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত বন্ধুদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ
ট্রাভেল ব্যান্ড হ্যালির ধুমকেতুর দুই গান