বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিক্ষোভ, জরুরি বৈঠক ডাকলেন পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী
২৭ আগস্ট ২০২৩, ০৬:০১ পিএম | আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২৩, ০৬:০১ পিএম
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি ও অতিরিক্ত বিলের কারণে গত তিন দিন ধরে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ মানুষ। আর এই বিক্ষোভ সহিংস রূপ নিতে পারে— এমন আশঙ্কা থেকে রোববার (২৭ আগস্ট) রাজধানী ইসলামাবাদে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দেশটির তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার।
জাতীয় পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির পর সাধারণ মানুষকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। এর প্রতিবাদে দেশটির বিভিন্ন শহরে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ও বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন অনেকে। এর জেরে জরুরি বৈঠক ডাকতে বাধ্য হয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী।
পাক সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, রোববারের এ বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগ ও বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য শুনবেন তত্ত্ববধায়ক প্রধানমন্ত্রী কাকার। এ ব্যাপারে গ্রাহকরা যেন ‘সর্বোচ্চ পরিত্রাণ পেতে পারেন’ সে বিষয়টি নিশ্চিতের চেষ্টা করবেন তিনি।
এরমধ্যে দেশটির বর্তমান সরকার পরিকল্পনা করছে, বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ডিসকো এবং গ্রেড-১৭ ও এর উপরের গ্রেডের সরকারি কর্মকর্তারা যে ভর্তুকিযুক্ত বিদ্যুৎ সুবিধা পেয়ে থাকেন সেটি বাতিল করে দেওয়া হবে।
সংবাদমাধ্যম দ্য ডন আরও জানিয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তথ্যমন্ত্রী মুরতাজা সোলাঙ্গি গতকাল শনিবার বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মাহমুদ লাঙরিয়ালের সঙ্গে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী মুরতাজা সোলাঙ্গি নিশ্চিত করেছেন, বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ডিসকোর কর্মকর্তারা বিনামূল্যে যে বিদ্যুৎ পেয়ে থাকেন, সেটি বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং ‘গ্রেড-১৭ এবং তার উপরের গ্রেডের সরকারি কর্মকর্তাদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়ার বিষয়টি বাতিলের প্রস্তাব মন্ত্রীসভার পরবর্তী বৈঠকে তোলা হবে।’
মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে, যেসব গ্রাহক প্রতিমাসে ৪০০ বা তার বেশি ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি তাদের সবচেয়ে ক্ষতি করেছে। তবে বাসা-বাড়িতে যেসব লাইন আছে সেগুলোর প্রায় ৬১ শতাংশ গ্রাহকের ওপর বাড়তি কোনো চাপ পড়েনি।
তবে বিক্ষোভ বাড়তে থাকায় রাজনৈতিক দলগুলো বিদ্যুতের দাম সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইলেই রাতারাতি দাম কমাতে পারবে না। এছাড়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল যেসব শর্তে পাকিস্তানকে ঋণ দিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ছিল— বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি বন্ধ করতে হবে।
সূত্র: দ্য ডন
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
এমবাপ্পের জোড়া গোলে জিতে শীর্ষে রিয়াল
ব্রাইটনের বিপক্ষেও বিপর্যস্ত ইউনাইটেড
‘ন্যায়বিচারকে হত্যা’ করা হয়েছে: পিটিআই
নতুন ভূগর্ভস্থ নৌ ঘাঁটি উন্মোচন ইরানের
রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করছে অনেক আফ্রিকান সেনা
পাওয়ার প্ল্যান্টের ৩৬০ মেট্রিকটন তেল ডাকাতি
বাংলাদেশি কর্মী নিতে প্রস্তুত রাশিয়া: রাষ্ট্রদূত
রাজনৈতিক দলগুলো বেশি কিছু সংস্কার না চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন: প্রেস সচিব
এবার ওলমোর ইনজুরি দুঃসংবাদ বার্সার
কুড়িগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে ইমন ও আলামিন
এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন চেয়ারপার্সন মো. মুশফিকুর রহমান
বিয়ের ওপর কর বাতিলের দাবি
শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে আ.লীগ : মির্জা ফখরুল
নামাজের প্রথম কাতারে জামাত পড়াবস্থায় অজু ভেঙ্গে যাওয়া প্রসঙ্গে।
কয়েক মিনিটে বাংলাদেশ দখল করে নিতে পারে ভারত: শুভেন্দু অধিকারী
নরসিংদীতে নিখোঁজের ৫ দিন পর নদীতে পাওয়া গেল স্কুল ছাত্রের লাশ
বিএনপি : দেশবাদ যার রাজনীতির মূল কথা
পাহাড়ি উপজাতিরা আদিবাসী নয়
সংস্কার প্রতিবেদন : জাতির নতুন অধ্যায়ে অভিযাত্রা
অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিনিয়োগে জোর দিতে হবে