প্রলয়ঙ্করী ধূলার ঝড়ে বৃহস্পতিতে উথাল-পাতাল
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫৮ এএম | আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫৮ এএম
সৌর জগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতিতে উঠেছে প্রলয়ঙ্করী ধূলার ঝড়। ধূলার মেঘেই ঢাকা পড়েছে আকাশ। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-র পাঠানো নভোযানে ধরা পড়ল সেই ঝড়ের ছবি। পৃথিবীর উপর পড়তে চলেছে বড় কোনও প্রভাব? এই নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু করছেন বিশ্বের তাবড় জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
সম্প্রতি মহাকাশযান জুনো-র পাঠানো বৃহস্পতির ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নাসা। সেখানেই সৌরজগতের দৈত্য় গ্রহর উত্তর মেরু এলাকায় শক্তিশালী ঝড় ও ধূলার মেঘ দেখা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেও বৃহস্পতির ঝড়ের ছবি লেন্সবন্দি করে জুনো। তবে সেই ঝড় এতোটা ভয়ংকর ছিল না, জানিয়েছেন মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
মহাকাশযান জুনোর পাঠানো বৃহস্পতির ঝড়ের ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। ছবিটির ক্যাপশানে নাসা লিখেছে, ‘১৪ হাজার ৬০০ মাইল (২৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার) দূর থেকে বৃহস্পতির ঝড়ের ছবি তুলেছে জুনো। ঝড়ের সময় যে ধুলোর মেঘ তৈরি হয়েছে, সেগুলির গঠনের ক্ষেত্রে তারতম্য রয়েছে।’ ওই মেঘ বিশ্লেষণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে নাসা।
২০১৬-য় বৃহস্পতিবার কক্ষপথে পৌঁছয় জুনো। প্রথম পর্যায়ে বৃহস্পতির উপগ্রহগুলির উপরেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছিল এই মহাকাশযান। ২০১৯-এ প্রথমবার বৃহস্পতির ঝড়ের ছবি হাতে পায় নাসা। সেবার বৃহস্পতির মাঝের অংশে ওই ঝড় উঠেছিল বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পৃথিবীর মতো বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডলে রয়েছে একাধিক গ্যাসের উপস্থিতি। যার মধ্যে অন্যতম হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম। পৃথিবীর চেয়ে সেখানকার বায়ুমণ্ডল কিছুটা উত্তপ্ত বলেই অনুমান। বৃহস্পতির উপগ্রহগুলির বায়ুমণ্ডলেরও হদিশ দিয়েছে জুনো। তবে সেখানে প্রাণ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান মার্কিন জ্যেতির্বিজ্ঞানীরা।
তবে বৃহস্পতির ঝড়ের সরাসরি কোনও প্রভাব পৃথিবীর বুকে পড়বে না বলে আশ্বস্থ করেছে নাসা। এই ঝড়ের ক্ষতিকর দিকগুলি বিশ্লেষণের চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি গ্রহটির মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সংক্রান্ত তথ্য পৃথিবীতে পাঠিয়ে চলেছে মহাকাশযান জুনো।
দু'দিন আগেই সৌরজগতের ষষ্ঠ গ্রহ শনির ছবি পোস্ট করে নাসা। প্রায় ৭ লাখ ৪৬ হাজার মাইল অর্থাৎ ১০ লাখ ২০ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে বলয় শুদ্ধ গ্রহটিকে লেন্সবন্দি করে ক্যাসিনি নামের মহাকাশযান। ছবিতে বিন্দুর মতো শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল ও চাঁদকে দেখা গিয়েছে। এই গ্রহ-উপগ্রহগুলিকে এক ফ্রেমে আনতে লাল, সবুজ ও নীল রঙের ফিল্টার ব্যবহার করা হয় বলে জানিয়েছে নাসা।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গাজা একটি ‘বিশাল ধ্বংসস্তূপ’, এর পুনর্নির্মাণ করা প্রয়োজন :ট্রাম্প
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির প্রথম পদক্ষেপ গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি: ডোনাল্ড ট্রাম্প
ট্রাম্পের শপথ : যোগ দেন চীনের হ্যান ঝেং ভারতের জয়শঙ্কর
সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
সত্যিই কি মারা গেছেন ম্যাশ? কি বলছে রিউমর স্ক্যানার?
সেই যুবকের বিরুদ্ধে ৯০০ টাকা চুরির মামলা
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা ট্রাম্পের
সাফারি পার্কের দেয়াল টপকে পালিয়ে গেল নীলগাই
জোকোভিচ-আলকারাজ হাইভোল্টেজ লড়াই আজ
বড় জয়ে পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বরে চিটাগাং
সুবর্ণ সুযোগ শুরুর ঘোষণা ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ট্রাম্প
ভোটের অধিকার রক্ষায় জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে : সিইসি
অস্ত্র মামলায় মামুন খালাস
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা
ইনু-মেনন-সালমান-আনিসদের রিমান্ড, নতুন করে গ্রেপ্তার মন্ত্রী-এমপিসহ ১৬ জন
দলীয় নেতাদের একযোগে কাজ করার আহ্বান এবি পার্টির
হত্যা মামলায় মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ৫ দিনের রিমান্ডে
হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা
আমদানি মূল্য পরিশোধের সময় বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক