শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপনের দু'মাস পর মারা গেলেন সেই ব্যক্তি
১৬ মে ২০২৪, ০৫:১২ পিএম | আপডেট: ১৬ মে ২০২৪, ০৫:১২ পিএম
বিশ্বে প্রথম ‘জেনেটিক্যাল মডিফায়েড’ একটি শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল ম্যাসাচুটেসের ওয়েমাউথের এক ব্যক্তির শরীরে। চিকিৎসকরা আশ্বাস দিয়েছিলেন, বাষট্টি বছরের ওই ব্যক্তি, নতুন কিডনি নিয়ে বছর দুয়েক তো বাঁচবেনই। অথচ তা হলো না। কোনওরকমে দুমাস যেতে না যেতেই রিচার্ড ‘রিক’ স্লেম্যান নামের ওই ব্যক্তি ঢলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে।
ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের ট্রান্সপ্লান্ট টিম এক বিবৃতিতে বলেছে যে, স্লেম্যানের মৃত্যুতে তারা গভীরভাবে শোকাহত। তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক দল। সেইসঙ্গে তারা বলেছে যে, প্রতিস্থাপনের ফলেই স্লেম্যানের মৃত্যু হয়েছে কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত নয়।
২০১৮ সালে স্লেম্যানের একবার কিডনি প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও কিডনি ফেলিওর হওয়ায় ২০২৩ সালে তার ডায়ালিসিস হয়। বার বার এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়ার ফলে স্লেম্যানের অন্যান্য আরও শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এর পরই ডাক্তাররা শূকরের লিভার তার শরীরে প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন। স্লেম্যান প্রথম জীবিত ব্যক্তি যার দেহে জেনেটিক্যাল মডিফায়েড’ শূকরের কিডনি স্থাপন করা হয়েছিলো।
পূর্বে, শূকরের কিডনি অস্থায়ীভাবে ‘মস্তিষ্ক-মৃত’ এমন দুজন গ্রহীতাদের দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। যদিও দুজনেই কয়েক মাসের মধ্যে মারা যান।একটি বিবৃতিতে, স্লেম্যানের পরিবার তার চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছে, ‘জেনোট্রান্সপ্লান্টের জন্য চিকিৎসকদের বিশাল প্রচেষ্টা আমাদের পরিবারকে রিকের সাথে আরও সাত সপ্তাহ সময় কাটানোর সুযোগ করে দিয়েছে। সেই সময়ে তার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলি চিরজীবন আমাদের হৃদয়ে থাকবে। রিকের ট্রান্সপ্লান্ট হাজার হাজার লোককে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছে।’
‘জেনোট্রান্সপ্লান্টেশন’ অর্থাৎ মানবদেহে পশুর কোষ-কলা কিংবা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের প্রতিস্থাপন। এতে ব্যর্থতার হারই বেশি। তা সত্ত্বেও আমেরিকায় 'জেনোট্রান্সপ্লান্টেশন’-এর সংখ্যা কম না। ১০০,০০০-এরও বেশি লোক অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য তালিকায় রয়েছে, তাদের বেশিরভাগই কিডনি রোগী। প্রতি বছর তাদের পালা আসার আগেই হাজার হাজার রোগী মারা যান।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত সমাপ্ত
গাজা খালি করার প্রস্তাব ট্রাম্পের, ক্ষুব্দ মিশর-জর্ডান
মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা নিয়ে ট্রাম্প-স্টারমারের ফোনালাপ
দেশে ব্যবসা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি, নতুন সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা
পাকিস্তানে গ্যাসের ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে নিহত ৬, আহত ৩১
মহাখালীতে পরিবহন শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট
সাড়ে ১৬ বছর কারাভোগের পর, বাড়ি ফিরলেন উখিয়ার সাবেক বিডিআর সদস্য ইউসুফ
ডাকাতি কালে ভারতীয় ৩ দস্যুকে ধরে কোস্ট গার্ডে দিলো জেলেরা
‘সেনাবাহিনীকে বণিক সমিতি বানিয়েছে হাসিনা, এর সংস্কার করতে হবে’
তাবলীগের সাদপন্থিদের প্রধান মুরব্বিসহ ২৩ জনের জামিন বহাল
বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিকস্তরে পাঠ্যপুস্তক সরবারহের হার হতাশাব্যঞ্জক
কোকোর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না, এ রহস্য উদঘাটন করা হবে : ডা. জাহিদ
নীলক্ষেতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্প-কলম্বিয়া সম্পর্কের টানাপোড়েন
কঙ্গোতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা নিরাপদ রয়েছেন : আইএসপিআর
আলোচনায় থাকতেই ক্যান্সারের ভান অভিনেত্রী হিনার
এস. কে. সুরকে নিয়ে যা বললেন আসিফ নজরুল
যুবদল নেতা রাসেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ উপজেলাবাসী, কারণ দর্শানোর নোটিশ
ঢাবির পর এবার সাত কলেজের পরীক্ষা স্থগিত
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন- শেরপুরের পুলিশ সুপার