ভূমিমাইন বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যায় শীর্ষে মিয়ানমার
২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০ এএম | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০ এএম
ভূমিমাইন(ল্যান্ডমাইন)বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যায় গত বছর সিরিয়াকে টপকে শীর্ষে উঠে এসেছে মিয়ানমার।ভূমিমাইন নিষিদ্ধকরণের জন্য আন্তর্জাতিক প্রচারাভিযান ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু ব্যান ল্যান্ডমাইনস’ প্রকাশিত গবেষণা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গবেষণা ফলাফলে সতর্ক করা হয়েছে যে, ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর সৃষ্ট সংঘাতের ফলে মিয়ানমারে ব্যাপক ভূমিমাইন ব্যবহারের ঘটনা ঘটেছে।দেশটির রাজধানী নাইপিদো ছাড়া প্রতিটি রাজ্য এবং অঞ্চলে হতাহতের ঘটনার রেকর্ড নেওয়া হয়েছে এ গবেষণায়।
টানা তিন বছর ধরে ভূমিমাইনে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে সিরিয়ায়।তবে গত বছর মিয়ানমারে সিরিয়ার চেয়েও বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।এ তালিকায় ইউক্রেন এবং আফগানিস্তান রয়েছে যথাক্রমে বিশ্বে তৃতীয় এবং চতুর্থ অবস্থানে।২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ায় ভূমিমাইনের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
অভ্যুত্থানের পর অনেক সাধারণ মানুষ অস্ত্র তুলে নিয়েছে।গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এবং সামরিক সহিংসতা বন্ধ করার জন্য পিপলস ডিফেন্স ফোর্স গঠন করা হয়েছে দেশটিতে।দীর্ঘদিন ধরে অধিক স্বায়ত্তশাসনের দাবি করে আসা জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোও সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।
ভূমিমাইন মনিটর ২০২৪-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,ভূমিমাইন উভয়পক্ষই ব্যবহার করেছে— সামরিক জান্তা এবং তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো।প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে,যেখানে সামরিক বাহিনীর স্থাপন করা ভূমিমাইনে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে শিশুও রয়েছে।আরও বলা হয়েছে যে, ভূমিমাইন আক্রান্ত এলাকায় বেসামরিক নাগরিকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে জান্তা বাহিনী।
সেনাবাহিনী কৃষকদের হুমকি দিয়েছে যে,কোনও পশু ল্যান্ডমাইনে বিস্ফোরিত হলে এর জন্য সেই কৃষককেই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।গবেষণায় একটি ঘটনার উল্লেখ আছে যেখানে বলা হয়,একটি গরু ভূমিমাইনে আহত হলে তার মালিকের কাছে ১৫ লাখ কিয়াত বা ৭১৪ দশমিক ৯৭ ডলার ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছিল।
প্রতিবেদনটি পিপলস ডিফেন্স ফোর্স এবং জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগের ঘটনাও পর্যালোচনা করেছে।সেখানে বলা হয়েছে, তারা ভূমিমাইন ব্যবহার করে বেসামরিক নাগরিকদের আহত ও হত্যা করেছে।বিস্ফোরক ডিভাইসগুলো সামরিক নিয়ন্ত্রিত শহুরে এলাকায় ফেলে রাখা হচ্ছে,যা প্রায়ই কালো প্লাস্টিকের ব্যাগে লুকানো থাকে বলে প্রতিবেদনের গবেষক ড. ইয়েশুয়া মোসার-পুয়াংসুওয়ান উল্লেখ করেছেন।
ভূমিমাইন মনিটর ২০২৩ সালে মিয়ানমারে মোট এক হাজার তিনটি হতাহতের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে।তবে দেশের সর্বত্র আনুষ্ঠানিক নজরদারির অভাবের কারণে এই সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম হতে পারে। মোসার-পুয়াংসুওয়ান বলেন,এটি দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণও হতে পারে।
গত বছর ৯৩৩টি ঘটনা নিয়ে ভূমিমাইন এবং যুদ্ধের অবশিষ্ট বিস্ফোরকে নিহত বা আহত হওয়া মানুষের সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল সিরিয়া।এরপরের দুটি অবস্থান আফগানিস্তান এবং ইউক্রেনের।উভয় দেশেই হতাহতের নথিভুক্ত ঘটনা ৫০০-এর বেশি।বিশ্বব্যাপী হতাহতের ৮৪ শতাংশই বেসামরিক।এর মধ্যে ৩৭ শতাংশ ঘটনার শিকার শিশুরা। তথ্যসূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মা-মেয়েসহ সড়কে নিহত ৭
ভারতে সাজাভোগ শেষে ফিরল পাচার হওয়া ২৪ নারী-পুরুষ
নায্যদামে বিক্রি করতে পেরে লাভবান কৃষক
বানরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ
হ্যামস্টার পালানোয় বিমান গ্রাউন্ডেড
২৪ ক্যারেটের গাড়ি
ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র বৈঠক, হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে আলোচনা থাকবে
রামু সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত
এক সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল ৬ কোটি ১০ লাখ ডলার
প্রবাসীদের যে জন্য সুখবর দিলো মালয়েশিয়া
জাবি শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন, ফটকে তালা, মশাল মিছিল
মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থাকবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
"নতুন সিনেমা নিয়ে ফিরছেন গ্লোবাল তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি"
ড. ইউনূসকে নিয়ে খালেদা জিয়ার পুরোনো যে বক্তব্য ভাইরাল
নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইসলামী আন্দোলনের শুভ কামনা
আলোচনায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার ‘টুস করে ফেলে দেয়ার’ হুমকি
দীর্ঘ ১৫ বছর সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে পারেনি: খোকন
'ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে অভিনেতা তারিক আনাম খানের নাটক'
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা