দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউনের দৃঢ় অবস্থান, ‘শেষ পর্যন্ত লড়াই করব’
১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ এএম | আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ এএম
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইয়োল বর্তমানে কঠিন রাজনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি। সাম্প্রতিক সময়ে তার সামরিক আইন ঘোষণাকে ঘিরে পদত্যাগ বা অভিশংসনের দাবি জোরালো হয়েছে। তবে, ইউন স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি এই চাপের মুখে পিছু হটবেন না এবং শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন।
বৃহস্পতিবার এক আকস্মিক টেলিভিশন ভাষণে প্রেসিডেন্ট ইউন বলেন, তিনি দেশের গণতন্ত্র রক্ষা এবং বিরোধী দলের "সংসদীয় স্বৈরতন্ত্র" প্রতিরোধের জন্য সামরিক আইন ঘোষণা করেছিলেন। তিনি এটিকে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার "ধ্বংস রোধের" জন্য একটি আইনি পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন।
ইউনের এই ঘোষণার পর থেকে তাকে অভিশংসনের দাবি ক্রমেই বাড়ছে। বিরোধী দল আগামী শনিবার প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের জন্য আরেকটি ভোট করার পরিকল্পনা করেছে এবং এটি সফল না হলে প্রতি সপ্তাহে নতুন ভোটের ঘোষণা দিয়েছে। তবে গত সপ্তাহে ইউনের নিজ দলের সদস্যদের ভোট বয়কটের কারণে অভিশংসনের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল।
ইউন তার ভাষণে বিরোধীদের বিরুদ্ধে "ভিত্তিহীন উসকানি" ছড়ানোর অভিযোগ তুলে বলেন, তার সামরিক আইন ঘোষণার লক্ষ্য ছিল দেশের জনগণকে রক্ষা করা এবং গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা। তবে, তিনি তার "আইনি এবং রাজনৈতিক দায়িত্ব" থেকে পিছপা হবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ইতোমধ্যে, প্রেসিডেন্ট এবং তার মিত্রদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগে তদন্ত চলছে এবং তাদের অনেকের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তার দলের নেতা হান ডং হুন জানিয়েছেন, ইউন পদত্যাগ করবেন না বলে স্পষ্ট হওয়ায় দলের সদস্যদের অভিশংসন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
যদি সংসদে অভিশংসন প্রস্তাব পাস হয়, তবে এটি সাংবিধানিক আদালতে বিচারাধীন হবে। আদালতে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণিত হলে ইউনকে স্থায়ীভাবে পদ থেকে সরানো সম্ভব হবে।
শেষ পর্যন্ত, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক অচলাবস্থা এবং গণতন্ত্র রক্ষার প্রশ্নে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই সংকট নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ইউনের সিদ্ধান্ত ও বিরোধীদের পদক্ষেপ দেশটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিপথ নির্ধারণ করবে। তথ্যসূত্র : বিবিসি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
আগামীকাল দেশব্যাপী মুক্তি পাচ্ছে ৮৪০' ওরফে Democracy Pvt. Ltd.
মতিঝিলে হোটেল পারাবতের কক্ষ থেকে লাশ উদ্ধার
তুরস্কের মধ্যস্থতায় সোমালিয়া ও ইথিওপিয়ার উত্তেজনা নিরসনে চুক্তি
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি কষ্ট দেয়
আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ৭ ঘন্টা পর ফেরি সার্ভিস চালু হয়েছে
জাতির শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ
র্যালী ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে নরসিংদী হানাদার মুক্ত দিবস পালন
কানাডায় সহায়ক মৃত্যুর হার বৃদ্ধি, প্রতি ২০ জনের মধ্যে ১ জন
ঢাকা সফর নিয়ে বিক্রম মিশ্রিকে ভারতের এমপিদের একের পর এক প্রশ্ন
হতাশ আওয়ামী লীগ : ইনকিলাব জরিপে চট্টগ্রামে পাবলিক রিঅ্যাকশন
গাজীপুরে ট্রাক-অটোরিক্সা সংঘর্ষে নিহত ৪
কাবুলে আত্মঘাতী বোমা হামলায় তালেবান মন্ত্রী নিহত
নতুন বাংলাদেশ গঠনে ড. ইউনুসের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে: মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলার ব্রেন অপারেশনের জন্য প্রস্তুতি
'জয় বাংলা' বিতর্কে একে একে গর্ত থেকে বেরিয়ে এলো ভারতীয় সব দালাল, এখন যা করণীয়
'চঞ্চল গৃহবন্দী' শিরোনামে সংবাদ প্রচার, মিথ্যাচারকে শিল্পে রূপ দিয়েছে ভারতীয় মিডিয়া
সৈয়দপুরে কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ও রাতে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে
ইসরায়েলকে সিরিয়ার বাফার জোন থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান ফ্রান্সের
ফরিদগঞ্জে সবুজের সমারোহে আতিথেয়তায় মুগ্ধ সউদী নাগরিক
বিদ্রোহীদের দখলে সীমান্ত এলাকা, বাংলাদেশে প্রভাব পড়বে?