দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজনৈতিক সংকট, অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন আদালতে হাজির হননি
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৫ পিএম | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৯ পিএম
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইয়োল সাম্প্রতিক সময়ে অভিশংসনের মুখে পড়েছেন। সামরিক আইনের সংক্ষিপ্ত ঘোষণার পর তার বিরুদ্ধে অসদাচরণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। এরই মধ্যে তাকে দুবার তলব করা হলেও তিনি হাজির হননি, যা রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলেছে।
চলতি বছর ডিসেম্বরের ৪ তারিখে প্রেসিডেন্ট ইউন সামরিক আইন জারি করেন। তার দাবি ছিল, এটি “রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি” নিয়ন্ত্রণের জন্য জরুরি পদক্ষেপ। তবে তার এই পদক্ষেপ দক্ষিণ কোরিয়াকে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকটে ফেলেছে। ডিসেম্বর ১৪ তারিখে জাতীয় পরিষদে ২০৪-৮৫ ভোটে তার অভিশংসনের প্রস্তাব পাশ হয়। আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের বৈধতা যাচাই চলছে।
প্রেসিডেন্ট ইউনকে ২০ এবং ১৫ ডিসেম্বর কোরাপশন ইনভেস্টিগেশন অফিসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি দুবারই হাজির না হওয়ায় তদন্ত বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অসদাচরণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ইউন এক সময় দেশের শীর্ষ প্রসিকিউটর ছিলেন, তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের বৈধতা নিয়ে কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত সিদ্ধান্ত নেবে। প্রথম শুনানি ২৭ ডিসেম্বর নির্ধারিত হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। যদি আদালত অভিশংসনের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে, তবে দুই মাসের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ইউন তার পদক্ষেপকে বৈধ বলে দাবি করেছেন এবং বলেছেন, তিনি এই অভিযোগের বিরুদ্ধে ন্যায্য লড়াই চালাবেন। তবে এই ঘটনাগুলি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে এবং পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা দেশের গণতন্ত্র এবং রাজনৈতিক কাঠামোকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেশটির ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন উপদেষ্টা
বগুড়ার ধুনট পল্লীতে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ব্যবসায়ীর ৩৫ হাজার টাকা ছিনতাই
দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ
সিদ্দিরগঞ্জে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু
নাচোলে পিয়ারাবাগানে এক গৃহবধূ খুন
৫ জানুয়ারি থেকে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মোটর থেকে বৈদ্যুতিক তার খুলতে প্রাণ গেল যুবকের
কারখানায় আগুন, পরিদর্শনে হাতেম
নির্বাচনের তারিখ নিয়ে যা জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার
কবি জসীমউদ্দিনের মেজ ছেলে ড. জামাল আনোয়ার আর নেই
ভাঙ্গায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ আহত- ১০
আমাদের সংস্কৃতির অংশ হলো সব ধর্মের মাঝে সম্প্রীতি ও সহাবস্থান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
রাতের আধারে অসহায় ব্যাক্তিদের বাড়ির দরজায় গিয়ে কম্বল দিলেন ইউএনও
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রশংসা করলেন রাহাত, জানালেন নিজ অনুভূতি
সাবেক দুদক কমিশনার জহরুল হকের পাসপোর্ট বাতিল, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
শ্রীপুরে ভুয়া মেজর আটক
প্রশ্ন: কিসব কারণে বিয়ের বরকত নষ্ট হয়ে যায়?
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অনুপম দৃষ্টান্ত মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ (সা:)
আল-কুরআন তাজকেরায়ে মীলাদ নামায়ে আম্বিয়া (আ:)
ভারত উপমহাদেশে মুসলিম সভ্যতার জাগরণে আবুল হাসান আলী নদভির শিক্ষাচিন্তা