গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধ্বংসের পথে: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০২ এএম | আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৪ এএম
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্যখাত ইসরায়েলি সামরিক হামলার ফলে ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধারাবাহিক হামলা এবং অবরোধের কারণে গাজার হাসপাতাল এবং চিকিৎসা সেবা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়কাল নিয়ে তৈরি একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এই সময়ে স্বাধীনতাকামী হামাস গোষ্ঠীর হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজায় বড় পরিসরে সামরিক অভিযান চালায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সামরিক অভিযানের ফলে গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি হয়েছে।
জাতিসংঘ তাদের ১৯ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে গাজার ২৭টি হাসপাতাল এবং ১২টি অন্যান্য চিকিৎসা কেন্দ্রের ওপর অন্তত ১৩৬টি হামলার ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৮০% হাসপাতালের শয্যা হ্রাস পেয়েছে এবং ৫০০-এর বেশি স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন।অনেক রোগী হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা গেছেন, এবং যাঁরা চিকিৎসা পেয়েছেন, তাঁদেরও প্রয়োজনীয় সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে হাসপাতালগুলো।চিকিৎসা অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে।গাজার উত্তরাঞ্চলের কামাল আদওয়ান হাসপাতালের সাম্প্রতিক ধ্বংসযজ্ঞের কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘের কর্মকর্তা ভলকার টার্ক বলেছেন, “যুদ্ধের সময় হাসপাতালে নিরাপত্তা প্রদান অপরিহার্য। এটি সব পক্ষেরই সম্মান করা উচিত।”
ইসরায়েল দাবি হামাস গোষ্ঠী হাসপাতালগুলোকে অস্ত্রাগার এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে। তবে জাতিসংঘ এই অভিযোগে সুনির্দিষ্ট প্রমাণের অভাব উল্লেখ করে বলেছে, " এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে এটি যুদ্ধাপরাধ হিসাবে গণ্য হবে।"
ইসরায়েলের স্থায়ী মিশন জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে “ইসরায়েলবিরোধী পক্ষপাতিত্ব” বলে অভিহিত করেছে এবং অভিযোগ করেছে যে, জাতিসংঘ নির্ভরযোগ্য উৎসের বাইরে থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। অন্যদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে যে, গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে বর্তমানে মাত্র ১৫টি আংশিকভাবে কার্যকর।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর গাজায় হাসপাতালগুলোর ওপর হামলার জন্য স্বতন্ত্র এবং স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে, “আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের প্রতিটি ঘটনা যাচাই করতে হবে এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।” এই বিপর্যয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে ভবিষ্যতে মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে আরও সচেতন হওয়া জরুরি। তথ্যসূত্র : বিবিসি, ভিওএ
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রিকেলটনের অনবদ্য ইনিংসে রান পাহাড়ের পথে দক্ষিণ আফ্রিকা
নাঈমুল ইসলাম ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব ১৬৩টি, জমা ৩৮৬ কোটি
সবার ঐক্যমতে দ্রুতই হবে ডাকসু নির্বাচন : ঢাবি ভিসি
ডলার বেচাকেনায় ব্যবধান ১ টাকার বেশি নয়
আবুবকর সরকার সভাপতি তুহিন হোসেন সাধারণ সম্পাদক
পীর ইয়ামেনী মসজিদের ইমাম মাওলানা এমদাদুলের ইন্তেকাল
খতমে নবুওয়ত না মানলে ঈমান থাকবে না
সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে অহেতুক বিতর্ক না করে দ্রুত নির্বাচন দিন
পান্থকুঞ্জে গাছ রক্ষা আন্দোলনকারীদের প্রতিবাদ সমাবেশ
রেলপথে দুর্ঘটনা এড়াতে বাড়তি সতর্কতা
ডায়াবেটিস রোগীদের নিরাপদে রোজা রাখার উপায় জানালো এসিইডিবি
রাজনীতিতে অশুভ বিভাজনের পদধ্বনির আভাস পাওয়া যাচ্ছে
২ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের নিলাম মঙ্গলবার
ঢাবি আইবিএ’র বিবিএ প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
দিন-দুপুরে ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ারে স্বর্ণের দোকানে চুরি
হাসিনাকে নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন সোহেল তাজ
সংস্কার এবং নির্বাচন নিয়ে ঝগড়া বন্ধ করুন: মজিবুর রহমান মঞ্জু
নির্বাচন সংস্কার কমিশনের মেয়াদ ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে
পাঠ্যবইয়ে হান্নান-সেজানের সাহসিকতার গল্প
সিলেট সীমান্তে ১ বছরে ৭ বাংলাদেশিকে হত্যা