গুয়ানতানামো কারাগার থেকে ১১ ইয়েমেনি বন্দি ওমানে স্থানান্তর
০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৮ এএম | আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:২৭ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত গুয়ানতানামো বে কারাগার থেকে ১১ জন ইয়েমেনি বন্দিকে দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় পর ওমানে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই পদক্ষেপকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো স্বাগত জানালেও, গুয়ানতানামো কারাগার এখনও যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রেকর্ডে একটি কালো দাগ হিসেবে বিবেচিত।
চলতি ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা দফতর ঘোষণা করে যে, ওমানের সহায়তায় ১১ ইয়েমেনি বন্দিকে গুয়ানতানামো কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আল-কায়েদার হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের 'সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ' শুরু হয়। সেই সময় সন্দেহভাজনদের আটক রাখতে গঠন করা হয় গুয়ানতানামো কারাগার। এসব বন্দিকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটকে রাখা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের সন্ত্রাসী হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ গুয়ানতানামো কারাগার প্রতিষ্ঠা করেন। এটি মূলত সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের আটক করার জন্য তৈরি করা হয়, যেখানে প্রায় ৮০০ বন্দি একসময় আটক ছিল। বর্তমানে এই সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ১৫-তে। মুক্তি পাওয়া ১১ ইয়েমেনি বন্দিদের মধ্যে রয়েছেন শরকাওয়ি আল-হাজ, যিনি দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে বন্দি ছিলেন এবং বন্দিদশার সময় বারবার অনশন ও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই স্থানান্তরকে স্বাগত জানালেও গুয়ানতানামো কারাগারকে 'মানবাধিকারের দীর্ঘস্থায়ী কলঙ্ক' হিসেবে অভিহিত করেছে। সংস্থাটি বলেছে, কারাগারে বন্দিদের প্রতি হওয়া নির্যাতন এবং তাদের দীর্ঘদিন অভিযোগহীন বন্দিত্ব আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
বিগত মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ কয়েকজন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে, যার মধ্যে তিউনিশিয়ার রিদা বিন সালেহ আল-ইয়াজিদি এবং কেনিয়ার মোহাম্মদ আব্দুল মালিক বাজাবু অন্তর্ভুক্ত। এই বন্দিদের অনেকেই কখনও কোনো অভিযোগের মুখোমুখি হননি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২০ সালের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে গুয়ানতানামো বন্ধ করার কথা বলেছিলেন। তবে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে কারাগারটি এখনও চালু রয়েছে।
গুয়ানতানামো কারাগার থেকে বন্দিদের স্থানান্তর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, তবে কারাগারটি সম্পূর্ণ বন্ধ করার দাবিও বিশ্বব্যাপী জোরালো হচ্ছে। গুয়ানতানামোর অস্তিত্ব যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রেকর্ডে একটি অন্ধকার অধ্যায় হিসেবে থেকে যাবে, যতদিন এটি পুরোপুরি বন্ধ না হয়। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
একজনের সুদের টাকার ঘটনায় অন্যজনকে হত্যা
ব্যাংকে ডলারের কোনো সংকট নেই: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বই পায়নি চার লাখ শিক্ষার্থী
‘ফাজলামি পাইছেন, ২ তালায় বলে ৪ তালায় তুলছেন’
১৭ দিন ধরে চিলমারী-রৌমারী নৌ রুটে বন্ধ ফেরি চলাচল
মেসি-সুয়ারেসের সাথে আবার এক হচ্ছেন নেইমার
হাসপাতালের ডিসপ্লেতে আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে
ধামরাইয়ে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ
সংবিধান কারও বাপের না: হাসনাত আবদুল্লাহ
ঝিকরগাছায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে লাখ টাকা জরিমানা
ওয়াকারুর সাথে যুক্ত হলেন আফরান নিশো
লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলের তাণ্ডব , জরুরি অবস্থা ঘোষণা
সচিবালয় গেটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, তদন্তে কমিটি
সহদেবপুর এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২৫টি ঘর পুড়ে ছাই
মোবাইলে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ব্যবহার করতে পারবেন ৪৪ টাকা
অস্কার প্রতিযোগিতায় শক্ত অবস্থানে বাংলা ছবি 'পুতুল'
ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করিয়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক
মার্কিন কংগ্রেসে অভিবাসন আইন নিয়ে উত্তপ্ত বিতর্ক, নতুন বিল পাশ
মির্জাগঞ্জে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহত
দেশীয় ফ্রিজ এসি-মোটরসাইকেল শিল্পে কর বৃদ্ধি, বাড়তে পারে দাম