মার্কিন কংগ্রেসে অভিবাসন আইন নিয়ে উত্তপ্ত বিতর্ক, নতুন বিল পাশ
০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৪ পিএম | আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৫০ পিএম
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস একটি বিতর্কিত বিল পাশ করেছে, যেখানে অনথিভুক্ত অভিবাসীদের ছোটখাটো অপরাধে অভিযুক্ত হলে দেশে ফেরত পাঠানোর বিধান রাখা হয়েছে।নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সীমান্ত নীতির প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে রিপাবলিকানরা এই বিলটি উত্থাপন করেছে।
মঙ্গলবার(০৭জানুয়ারি) এই বিলটি ২৬৪-১৫৯ ভোটে পাশ হয়, যেখানে ৪৮ জন ডেমোক্র্যাট রিপাবলিকানদের সঙ্গে যোগ দেন। এটি লেকেন রাইলি নামের ২২ বছর বয়সী নার্সিং শিক্ষার্থীর নামে উৎসর্গ করা হয়েছে, যিনি গত বছর জর্জিয়াতে একটি অনথিভুক্ত অভিবাসীর হাতে নিহত হন। অভিযুক্ত ব্যক্তি, যিনি শপলিফটিংয়ের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন, তাকে আটক রাখা হয়নি। এই ঘটনা রিপাবলিকানদের এই কঠোর পদক্ষেপ নিতে অনুপ্রাণিত করেছে।
বিলটি অনুযায়ী, এমন অভিবাসীদের, যারা চুরি, শপলিফটিং বা ছোটখাটো অপরাধে অভিযুক্ত, তাদের গ্রেফতার ও দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটি ফেডারেল কর্তৃপক্ষকে এই অপরাধীদের আটক রাখতে বাধ্য করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।
বিলটি আরও একটি বিধান যোগ করেছে, যেখানে রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলরা ফেডারেল সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন, যদি কোনো অনথিভুক্ত অভিবাসী মুক্তি পাওয়ার পর পুনরায় অপরাধ করে এবং তাতে সেই রাজ্যের বা বাসিন্দাদের ক্ষতি হয়।
রিপাবলিকানরা একে "সাধারণ বোধের আইন" বলে প্রশংসা করেছেন। প্রতিনিধি মাইক কলিন্স বলেন, “এই অপরাধীরা আমাদের কমিউনিটিকে আরও অনিরাপদ করছে। এদের রাস্তায় রাখা যাবে না।”
অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাটরা এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তারা বলছেন, বিলটি অপ্রয়োজনীয়ভাবে কঠোর এবং অসংবিধানিক। প্রতিনিধি প্রমিলা জয়াপাল মন্তব্য করেন, “মানুষ অপরাধী নয় যতক্ষণ না তারা দোষী প্রমাণিত হয়। এই অধিকার ভুলে গেছে রিপাবলিকানরা।”
আইনটি নিয়ে আইনি চ্যালেঞ্জ হতে পারে, কারণ ডেমোক্র্যাটরা এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী রায়ের বিপরীত বলে দাবি করছেন। তবে রিপাবলিকানরা বলেছেন, এটি পুরোপুরি সাংবিধানিক এবং আইনি ভিত্তি মেনে তৈরি।
এই বিলটি মার্কিন অভিবাসন নীতির ক্ষেত্রে একটি নতুন মোড় এবং সীমান্ত নিরাপত্তা কঠোর করার দিকের একটি বড় পদক্ষেপ। তবে এর কার্যকারিতা এবং প্রভাব নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত থাকবে। অভিবাসন ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার প্রয়োজনীয়তা আগের চেয়ে আরও জোরালোভাবে অনুভূত হচ্ছে। তথ্যসূত্র : দ্য নিউইয়র্ক টাইমস
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভয়ঙ্কর দাবানল : জীবন বাঁচাতে গাড়ি ফেলে পালাচ্ছেন অ্যাঞ্জেলেসবাসীরা
সউদীতে ব্যাপক বন্যা, মক্কা-মদিনায় রেড অ্যালার্ট জারি
মালয়েশিয়ার পাম বাগানে প্রয়োজন ২ লাখ কর্মী
জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক বিশেষ সেল গঠন
লন্ডনে চিকিৎসা শুরু খালেদা জিয়ার, যা জানা গেল চিকিৎসা সম্পর্কে
গোয়ালন্দে ৩ টি বিদেশী পিস্তল- গুলি ও খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার
গাজায় বর্বর হামলায় নিহত আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানা থেকে হত্যা মামলার আসামি পলায়ন
চিরনিদ্রায় সাহিত হলেন এফডিইবি'র কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন
ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে টানা কর্মসূচি ঘোষণা
গভীর রাতে উত্তাল ঢাকা আলিয়া
সংঘর্ষের পর দুটি বাস ও অ্যাম্বুলেন্সে আগুন, নিহত ৪
টানা তৃতীয়বারের মতো সুপার কাপের ফাইনালে বার্সালোনা
ইন্দোনেশিয়ার নতুন কোচ ক্লাইভার্ট
কোপ দেলরের শেষ ষোলোতে কে কার মুখোমুখি
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন গাপটিল
পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তি লাখো মানুষের
ভোগান্তিতে সেবা নিতে আসা জনসাধারণ
আদমদীঘিতে ফসলি জমিতে ফের কোল্ড স্টোর নির্মাণ
পদ্মার চরে শিকারিদের কবলে অতিথি পাখি