পৃথিবীর বুকে ফিরবে বিলুপ্ত ডোডোপাখি, দেখা মিলবে লোমশ ম্যামথেরও!

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫৯ পিএম | আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম

 

একটা সময় পৃথিবীতে দাপিয়ে বেড়াত লোমশ ম্যামথরা! অতিকায় চেহারার এই প্রাণীরা আজকের হাতির চেয়ে আকারে অনেক বড়। যাদের দেখা মেলে কেবল ইতিহাস বইয়েই। কিংবা ডোডোপাখি! প্রায় চারশো বছর আগে অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল তারা। আবার তাসমানিয়ান টাইগারের মতো প্রাণীরাও এই গ্রহের বুক থেকে হারিয়ে গিয়েছে চিরতরে। কিন্তু হারিয়ে যাওয়া এই সব জীবরা কি ফের ফিরে আসবে পৃথিবীতে? কোনও কল্পবিজ্ঞান কাহিনি নয়, এমন সম্ভাবনাই সত্যি হতে পারে। তেমনই আশা দিচ্ছে এক কলোসেল বায়োসায়েন্স নামের এক মার্কিন সংস্থা।

 

২০২১ সালে ডালাসে স্থাপিত হয়েছিল এই সংস্থা। যাদের লক্ষ্যই হল হারিয়ে যাওয়া পশুপাখিদের ফের এই পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা। এমনকী প্রাগৈতিহাসিক জীবদেরও। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাহায্যেই তা সম্ভব বলে দাবি তাদের। তবে সংস্থার গবেষকদের দাবি, যারা অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে তাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা যে সম্ভব হবেই তা নিশ্চিত করে বলা না গেলেও চেষ্টা শুরু হয়েছে। কীরকম চেষ্টা? জানা যাচ্ছে, বিলুপ্ত জীবদের জীবাশ্মে যে ডিএনএ পাওয়া যায় তা সংগ্রহ করাই প্রাথমিক লক্ষ্য।

 

যেমন ম্যামথের ক্ষেত্রে তাদের তুষারাবৃত অবশেষ থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করা হচ্ছে। লক্ষ্য এদের সঙ্গে এদের ‘নিকটাত্মীয়’ এশিয়ার হাতিদের পার্থক্য বোঝার চেষ্টা করা। এরপর CRISPR-Cas9 নামের এক যুগান্তকারী জিন-এডিটিং টুলের সাহায্যে ম্যামথের জিনকে এশিয়ার হাতির জিনোমে প্রবেশ করিয়ে ‘হাইব্রিড’ ভ্রুণ তৈরি করা হবে। তারপর সেটিকে কোনও ‘সারোগেট’ হাতির জরায়ুতে কিংবা কোনও কৃত্রিম জরায়ুতে স্থাপন করা হবে। আর সেখান থেকেই জন্ম নেবে নতুন এক প্রাণী। বহু বছর আগে যারা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল।

 

একই পদ্ধতি অনুসারে ডোডো ও তাসমানিয়ান টাইগারের মতো জীবদেরও ফিরিয়ে আনা সম্ভব। শুরু হয়েছে পরীক্ষানিরীক্ষা। আর এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হয়েছে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখন দেখার, সত্যিই এই জীবেরা ফের পৃথিবীর বুকে ফিরে আসে কিনা। যদি আসে, তাহলে যে অতীতকে ফিরিয়ে আনার এক ‘অসাধ্যসাধন’ হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

সিরিয়ার পুনর্গঠনে ফ্রান্সের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
কলম্বিয়ার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প
দুই বছরের মধ্যে দিল্লিকে বাংলাদেশি মুক্ত করব: অমিত শাহ
কঙ্গোর গোমা শহর দখলের দাবি বিদ্রোহীদের, বাস্তুচ্যুত লাখো মানুষ
ঘরে ফেরা লেবানিজদের ওপর ইসরাইলি হামলা, নিহত ২২
আরও

আরও পড়ুন

আইসিসির বর্ষসেরা হয়ে ওমরজাইয়ের ইতিহাস

আইসিসির বর্ষসেরা হয়ে ওমরজাইয়ের ইতিহাস

লাকসাম -মনোহরগঞ্জে পৃথক স্থান থেকে ২ জনের মরদেহ উদ্ধার

লাকসাম -মনোহরগঞ্জে পৃথক স্থান থেকে ২ জনের মরদেহ উদ্ধার

হাসিনার রক্তাক্ত অধ্যায়ের পর আওয়ামী লীগের পুনরুত্থান কি সম্ভব?

হাসিনার রক্তাক্ত অধ্যায়ের পর আওয়ামী লীগের পুনরুত্থান কি সম্ভব?

পাকুন্দিয়ায় ব্যাবস্থাপত্র ছাড়াই চলছে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি

পাকুন্দিয়ায় ব্যাবস্থাপত্র ছাড়াই চলছে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি

চাটমোহরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল আলিম আটক

চাটমোহরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল আলিম আটক

ভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করলে আস্থা বাড়বে: ইসি সানাউল্লাহ

ভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করলে আস্থা বাড়বে: ইসি সানাউল্লাহ

আর্জেন্টিনার হোঁচট, ঘুরে দাঁড়াল ব্রাজিল

আর্জেন্টিনার হোঁচট, ঘুরে দাঁড়াল ব্রাজিল

টেবিলের নিচে টাকা দেওয়ার চেয়ে বাড়তি ভ্যাট ভালো: অর্থ উপদেষ্টা

টেবিলের নিচে টাকা দেওয়ার চেয়ে বাড়তি ভ্যাট ভালো: অর্থ উপদেষ্টা

জীবন-জীবিকার তাগিদে জেলে পেশায় বরগুনার সংগ্রামী নারী মীম: দাবি পেশার স্বীকৃতি

জীবন-জীবিকার তাগিদে জেলে পেশায় বরগুনার সংগ্রামী নারী মীম: দাবি পেশার স্বীকৃতি

৪৪তম বিসিএসে ৯০০ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষার সূচি প্রকাশ

৪৪তম বিসিএসে ৯০০ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষার সূচি প্রকাশ

আলোচনার মাধ্যমে ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের সমস্যার সমাধান হতে পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আলোচনার মাধ্যমে ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের সমস্যার সমাধান হতে পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে - আমান উল্লাহ আমান

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে - আমান উল্লাহ আমান

সুন্দরগঞ্জে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার

সুন্দরগঞ্জে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকছে না সাত কলেজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকছে না সাত কলেজ

দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনসহ ১০ বিষয়ে ঐকমত্য

দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনসহ ১০ বিষয়ে ঐকমত্য

সিরিয়ার পুনর্গঠনে ফ্রান্সের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ

সিরিয়ার পুনর্গঠনে ফ্রান্সের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ

পিঠা বাঙ্গালির চিরায়ত ঐতিহ্য, খুলনায় দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসব শুরু

পিঠা বাঙ্গালির চিরায়ত ঐতিহ্য, খুলনায় দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসব শুরু

দেশ ও জাতী গঠনে ইমামদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে - ইমাম সম্মেলনে বক্তারা

দেশ ও জাতী গঠনে ইমামদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে - ইমাম সম্মেলনে বক্তারা

শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ধৈর্যের সঙ্গে সামাল দিয়েছে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার

শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ধৈর্যের সঙ্গে সামাল দিয়েছে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার

বাগেরহাটে তারুণ্যের উৎসব ও ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

বাগেরহাটে তারুণ্যের উৎসব ও ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন