কুরআনুল কারীম নাজিল হওয়া সম্পর্কিত কিছু কথা-২
০৯ মার্চ ২০২৩, ১১:৪৫ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৫০ পিএম
আল কুরআনের ৮৫ নং সূরা আল বুরুজ-এর ২১ এবং ২২ নং আয়াতে ইরশাদ হয়েছে : ‘বস্তুত এটা সম্মানিত কুরআন, সংরক্ষিত ফলকে লিপিবদ্ধ।’ ষোলআনা কুরআনুল কারীম লিপিবদ্ধ করানোর কাজটি একবারেই সুসম্পন্ন করানো হয়। তাই এটাই হলো ষোলআনা কুরআনুল কারীম একসাথে নাযিল হওয়ার চূড়ান্ত দলিল। তারপর আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত লাওহে মাহফুজ হতে ষোলআনা কুরআনুল কারীমকে প্রথম আকাশের ‘বাইতুল ইজ্জত’ নামক স্থানে একসাথে নাজিল করেন। একসাথে ষোলআনা কুরানুল কারীম নাজিল হওয়ার এটাও একটি দলিল। এতে স্পষ্টতই বোঝা যায় যে, ষোলআনা কুরআনুল কারীম আল্লাহপাকের আদি এলেম হতে একসাথে প্রথমে লাওহে মাহফুজে নাজিল হয়েছে এবং তারপর সেখান হতে প্রথম আকাশের বাইতুল ইজ্জতে নাজিল হয়েছে।
তারপর শুরু হয়েছে বাইতুল ইজ্জত হতে অল্প অল্প করে বা বারে বারে পিয়ারা নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে আল কুরআন নাজিলের পালা। এই নাজিল পর্বের তের বছর অতিবাহিত হয় মক্কায় এবং দশ বছর অতিবাহিত হয় মদিনায়। দীর্ঘ তেইশ বছরে ষোলআনা কুরআনুল কারীম ওহী যোগে বিশ্বনবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.) অল্প অল্প করে লাভ করেন। যা সর্বশেষ আসমানী কিতাব। এরপর দুনিয়াতে আল্লাহপাকের পক্ষ হতে কোন কিতাব নাজিল হবে না।
এ পর্যায়ে স্মরণ রাখা দরকার যে, হযরত জিব্রাঈল (আ.) নূর নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে ওহী নিয়ে আসলেও তিনি এই ওহী বিভিন্ন পদ্ধতিতে লাভ করেছিলেন। তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নে তুলে ধরা হলো। যথা :
১.ঘণ্টা ধ্বনির ন্যায় : রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট কখনো কখনো ঘণ্টার আওয়াজের মতো আওয়াজ অনুভূত হত। এটা তাঁর জন্য খুব কষ্ট সাধ্য ছিল। ফলে তিনি ঘর্মাক্ত ও ক্লান্ত হয়ে যেতেন। ২. অন্তরে ঢেলে দেয়া : হযরত জিব্রাঈল (আ.) মাঝে মাঝে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর অন্তরে ওহী ফুৎকার দিয়ে ঢেলে দিতেন।
৩. মানুষের আকৃতিতে ফেরেশতার আগমন : কখনো কখনো জিব্রাঈল (আ.) মানুষের আকৃতি ধারণ করে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে ওহী নিয়ে আসতেন। জনৈক সাহাবী দাহিয়্যাতুল কালবী (রা.)-এর আকৃতিতে তিনি সাধারণত আসতেন। এটা ছিল রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট ওহী প্রাপ্তির সহজতর পদ্ধতি।
৪. ঘুমের মধ্যে আগমন : অনেক সময় জিব্রাঈল (আ.) রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ঘুমের মধ্যে আগমন করে ওহী পৌঁছে দিতেন। ৫. নিজস্ব আকৃতিতে আগমন : জিব্রাঈল (আ.) নিজস্ব বিশাল আকৃতিতে রাসূলূল্লাহ (সা.)-এর কাছে ওহী নিয়ে আসতেন। এতে রাসূলুল্লাহ (সা.) অনেকটা ঘাবড়ে যেতেন, কিন্তু পরে অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে যেত।
৬. আল্লাহর সাথে কথা বলা : কখনো কখনো স্বয়ং আল্লাহপাক রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে কথা বলে ওহী নাজিল করেছেন। হয়ত জাগ্রত অবস্থায় অথবা ঘুমন্ত অবস্থায়। ৭. ইস্রাফীল (আ.)-এর মাধ্যমে ওহীর আগমন : কখনো কখনো আল্লাহপাক ইস্রাফীল (আ.)-এর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট ওহী নাজিল করতেন।
বিভাগ : শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
২০২৮ ইউরো পর্যন্ত জার্মানির কোচ নাগালসম্যান
পাকিস্তানে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে আলোচনা স্থগিত
সাবেক ২৪ এমপি’র গাড়ি নিলামে উঠছে রোববার
মিরপুরের আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে মরিয়া
অ্যালাউন্স ছাড়া কোনো ভাতা পাবেন না রেলকর্মীরা
ড. ইউনূসের পরিবার সম্পর্কে ইন্ডিয়া ডটকম-এর প্রতিবেদন মিথ্যা : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
ছাত্রদল নেতা মিথুন রিমান্ডে, ছয় সমর্থক কারাগারে
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কুনমিংয়ে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু
বিএনপির ‘কথার টোন আ.লীগের সাথে মিলে যাচ্ছে’
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে তিনজন আহত
বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন আল গোরের
২০২৪ সালে জলবায়ু সঙ্কটে দেশের সোয়া ৩ কোটি শিশুর শিক্ষা ব্যাহত
মাদারীপুরে মানবপাচারকারীকে গণপিটুনির ভিডিও ভাইরাল
জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হলে ফিরে আসবে ফ্যাসিস্টরা : কুড়িগ্রামে ডা. শফিকুর রহমান
মোরেলগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎতের মিটার সংকট মিলছে না সংযোগ : গ্রাহকদের ভোগান্তি
রাউজানে জুমার নামাজে যাওয়ার পথে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা
বাজারে পলিথিন কেন সেটা না ভেবে ভাবুন কেন ব্যবহার করছেন : পরিবেশ উপদেষ্টা
আড়াইহাজারে পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করলো জনতা
টিকটকারদের যন্ত্রণায় বিব্রত মেট্রোরেল যাত্রীরা
কুষ্টিয়ার মিরপুরে হত্যা চেষ্টা মামলায় আটক ২