তওবাহ করে গুনা মাফের এখনো সময় আছে জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ান
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৯ এএম | আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৯ এএম
বেশি বেশি তওবাহ রোনাজারি করে আল্লাহর নৈকট্য লাভে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। রাসূল সা. বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাত্রিতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো। লাইলাতুল কদরের একরাত্রি হাজার মাসের চাইতেও উত্তম। কদরের রাত্রির ফজিলত অর্জনে রাসূল সা. কী পরিমাণ ইবাদত বন্দেগি করেছে তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। মাহে রমজানে আমরা কি তাকওয়া অর্জন করতে পেরেছি নাকি আগের মতই রয়ে গেছি? এখনো সময় আছে তাওবা করে গুনাহ মাফ করাবার। আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে খতিব এসব কথা বলেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো.রুহুল আমিন আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, মাহে রমজানের শেষ সময়টুকু কাজে লাগাতে হবে। আগামী বছর মাহে রমজান পাবো কী না তার কোনো গ্যারান্টি নেই। শেষ ভালো যার সব ভালো তার। বেশি বেশি তওবাহ রোনাজারি করে আল্লাহর নৈকট্য লাভে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। খতিব বলেন,রাসূল সা. বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাত্রিতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো। লাইলাতুল কদরের একরাত্রি হাজার মাসের চাইতেও উত্তম। কদরের রাত্রির ফজিলত অর্জনে রাসূল সা. কী পরিমাণ ইবাদত বন্দেগি করেছেন তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। খতিব ইতিকাফের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, যারা ইতিকাফ করছেন তারা খুবই ভাগ্যবান। তারা ঘুমালেও ইবাদত অর্জিত হয়। ইতিকাফকারীদের সবার জন্যই দোয়া করতে হবে। খতিব বলেন, মা-বাবাকে কষ্ট দেয়া যাবে না। উহ আহ শব্দ বলতেও নিষেধ করা হয়েছে। মা-বাবা পাওয়ার পরেও যে জান্নাত লাভ করতে পারলো না সে ধ্বংস হোক। রাসূল সা. এ ব্যাপারেও আমিন বলেছেন। কারো গিবত করা যাবে না। খতিব বলেন, ঈদের জামাতে আগেই সদাকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে। সর্বনিন্ম একশত পনেরো টাকা দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে। যাকাত যথা সময়ে আদায় করাতে হবে।খতিব বলেন, রমজানে আমরা কতটুকু আমল করতে পেরেছি এবং পরবর্তী এগারো মাস যাতে ইবাদত বন্দেগির ধারা অব্যাহত রাখতে পারি সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। আল্লাহ সবাইকে লাইলাতুল কদরের ফজিলত অর্জনের তৌফিক দান করুন। আমিন। ঢাকার মিরপুরের বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, আজ পবিত্র রমজানের শেষ জুমা তথা জুমাতুল বিদা। রহমত মাগফিরাত ও নাজাতের বারিধারায় সিক্ত পবিত্র রমজান মাস সময়ের পরিক্রমায় বিদায়লগ্নে উপনীত হয়েছে। রমজান আমাদের মাঝে এসেছিল তাকওয়া ও খোদাভীতির গুরুত্বপূর্ণ আহবান নিয়ে। এই আহবানে সাড়া দিয়ে কে কতটুকু তাকওয়ার গুণ অর্জন করতে পারলাম সেটাই বিবেচ্য। রমজান আমাদের থেকে বিদায় নিলেও সারা বছরের জন্য রেখে যাচ্ছে তাকওয়ার শিক্ষা এবং দীর্ঘ একমাসের সিয়াম ও কিয়াম-লব্ধ সংযম এবং মহান রবের কাছে আত্মনিবেদনের অনুপম যোগ্যতা। তাকওয়া শুধু অন্তরের বিশেষ অবস্থা বা বিশেষ বেশ ধারণের নাম নয়। তাকওয়া হচ্ছে জীবনের সব ক্ষেত্রে সংযমী হওয়া। এর সূচনা বিশ্বাসে আর পরিধি জীবনের সকল ক্ষেত্রে। মানুষের চিন্তা-চেতনা, বোধ-বিশ্বাস, রুচি-প্রকৃতি, আচার-ব্যবহার, আচরণ-উচ্চারণ সব কিছুই তাকওয়ার ক্ষেত্র। সুতরাং এই সকল ক্ষেত্রে সংযমী ও আল্লাহর বিধানের অনুগত ব্যক্তিই প্রকৃত মুত্তাকি। রমজানের অবারিত কল্যাণ ও বরকতের অংশীদার হতে এই শেষ মুহুর্তগুলো যেন কোরআন তেলাওয়াত, তওবা- ইস্তিগফার, দোয়া-দুরুদ, তাসবিহ-তাহলিল, তাহাজ্জুদসহ অধিক পরিমাণে নফল নামাজ এবং অতীত পাপমোচনে আল্লাহ তায়ালার নিকট বিনীতভাবে ক্ষমা প্রার্থনার মধ্যে কাটে। এটা সবার খেয়াল করা দরকার।
খতিব আরও বলেন, আজ ঐতিহাসিক আল-কুদস দিবস। রমজানের শেষ শুক্রবার তথা জুমাতুল বিদার বিশেষ একটি তাৎপর্য এই যে, এই দিনে আল্লাহর নবী হযরত সুলায়মান আ. জেরুজালেম নগর প্রতিষ্ঠা করে আল্লাহর মহিমা তুলে ধরতে সেখানে মুসলমানদের প্রথম কিবলা "মসজিদুল আকসা" পুনর্র্নিমাণ করেন। মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববীর পর তৃতীয় পবিত্রতম স্থান হচ্ছে মসজিদুল আকসা বা বায়তুল মোকাদ্দাস। রাসূলুল্লাহ সা. যে তিনটি মসজিদের উদ্দেশ্যে সফরকে বিশেষভাবে সওয়াবের কাজ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, এর অন্যতম হচ্ছে বায়তুল মোকাদ্দাস। ইসলামের ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে এর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ১৯৭৯ সাল থেকে প্রতিবছর এদিনে সারাবিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ বায়তুল মোকাদ্দাসে ইহুদিদের অবৈধ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ এবং ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের কবল থেকে পবিত্র ভ‚মি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও বাইতুল মোকাদ্দাসকে মুক্ত করার জন্য নতুন শপথ গ্রহণ করে থাকেন। এই দিন মুসলিম উম্মাহর জাগরণের দিন। হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের দিন। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যত পাথেয় সংগ্রহের দিন। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করেন। আমিন।
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনার টুটপাড়া আল আমিন জামে মসজিদের পেশ ইমাম আলহাজ মাওলানা মো. শাফায়েতুল ইসলাম জুমাতুল বিদা’র খুৎবায় রোজার ফজিলত, ফিতরা, যাকাত ও ইবাদতের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে বলেন, জুমার দিনটি সর্বাধিক মর্যাদাবান ও সর্বোত্তম দিবস। মহানবী (সা.) বলেছেন, যে মুসলমান রমজান মাস পেল, কিন্তু সারা বছরের গুনাহখাতা মাফ করিয়ে নিতে পারল না, তার মতো অভাগা আর নেই। আল্লাহর করুণা, ক্ষমা লাভের জন্য সর্বোত্তম সময় এই রমজান। আর আজ রমজান মাসের শেষ জুমা। ফলে এই জুমারও একটি আলাদা মর্যাদা এবং গুরুত্ব রয়েছে। নামাজ শেষে মসজিদটিতে বিশেষ মোনাজাতে দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনা করে আল্লাহর কাছে দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করা হয়। শুক্রবার জুমায় খুলনার মসজিদগুলোতে ছিল মুসল্লিদের উপচে পড়াভিড়। মসজিদের ভেতরে জায়গা না পেয়ে মসজিদের বাইরেও আঙিনায় মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন। দিনাজপুর গোর এ শহীদ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা রেজাউল করিম আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, হাদিসে এসেছে হযরত জিবরাঈল আ রাসূল সা. কে সম্বোধন করে বললেন হে রাসূল সা. যে ব্যক্তি রমজান মাস পেল আর তার ক্ষমা হলো না সে ধ্বংস হোক, আপনি আমিন বলেন। দীর্ঘ একমাস সিয়াম ব্রত পালন এর পর রোজাদারের জন্য খুশির দিন হিসেবে আগমন করেছে ঈদুল ফিতর এর আনন্দ। এই আনন্দ এজন্য নয় যে এখন আর রোজা রাখতে হবে না বরং এই আনন্দ হল আমরা দীর্ঘ একমাস আল্লাহ পাকের একটা বড় হুকুম পালন করতে পেরেছি তার শোকর আদায় করার জন্য দুই রাকাত ঈদুল ফিতরের ওয়াজিব নামাজ আদায় করব। সেই সাথে সকলের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য সদকাতুল ফিতরের বিধান ওয়াজিব করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সা. আমাদের উপর সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব করেছেন। রোজাকে অনর্থক কথাবার্তা ও অশ্লীল কাজ থেকে পবিত্র করার জন্য এবং মিসকীনদের আহারের বন্দোবস্ত করার জন্য। ( আবু দাউদ শরীফ) হে মোমিনগণ আপনাদের রোজা আসমান ও জমিনের মাঝখানে ঝুলন্ত থাকবে, যতক্ষণ না সাদাকাতুল ফিতর আদায় করবেন। আল হাদিস। সাদকাতুল ফিতর ওয়াজিব করার পিছনে হেকমত হচ্ছে, অসহায় গরিব মিসকিনদেরকে আহার ও সাহায্য করা। রমজান শেষে ঈদের পরে আরও একটি আমল ছয়টি রোজা আদায় করা। আল্লাহর রাসূল সা. বলেন, যারা রমজানের রোজা রাখে, এরপরে শাওয়াল মাসের ছয়টা রোজা রাখে, তাদের সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব হয়। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করেন। আমিন।
মিরপুরের ঐতিহ্যবাহী বাইতুল মামুর জামে মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের মাস পবিত্র রমজানের শেষ জুমা "আল কুদস" দিবসে মহান মালিকের কাছে ফরিয়াদ "হে আল্লাহ , তুমি মুসলমানদের প্রথম কিবলা বাইতুল মুকাদ্দাস অভিশপ্ত ইহুদীদের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত কর। ফিলিস্তিনী মুসলিম ভাইদের হিফাজাত কর। সমগ্র মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করার তৌফিক দাও। তোমার ঘর রক্ষায় আর কত রক্ত ঝরবে, আর কত মায়ের কোল খালি হবে, আর কত নিষ্পাপ অবুঝ শিশুরা ক্ষত বিক্ষত নির্যাতিত হবে। আর কর কত মুসলিম ভাই বোন ঈসরাইলি হায়নাদের বুলেটের আঘাতে জীবন হারাবে । অনাহারে অর্ধাহারে খোলা আকাশের নিচে আর কত আমার ভাইয়েরা ধুকে ধুকে মৃত্যুর সুধা পান করবে। আল্লাহ ! তুমি আমার মুসলিম ভাই বোনকে রক্ষা কর। ফিলিস্তিনকে স্বাধীনতা দান কর। বিশ্ব মুসলমানকে কবুল কর।
খতিব বলেন, রমজানের শেষ জুমায় আল কুদস দিবসের শিক্ষা নিয়ে মুসলিম বিশ্বকে পরস্পর ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে নিজেদের ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষায় দীপ্ত শপথ নিয়ে সামনে অগ্রসর হতে হবে । রমজানের অবশিষ্ট দিন গুলোতে মহান মাবুদের জিকির আজকার, রোনাজারী , ফরজের সাথে সাথে নফল ইবাদাত, নামাজ তিলাওয়াত, ইস্তিগফার ও দোয়া দরূদের মাঝে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে । আল্লাহ আমাদের সকলকে তৌফিক দান করেন। আমিন। গাজীপুরের টঙ্গীস্থ পূর্ব আরিচপুর সরকার বাড়ি ঈদগাহ্ মসজিদুল আকসার খতিব মাওলানা রিয়াদুল ইসলাম মল্লিক জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, আল্লাহর রহমত ঐসব লোকদের নিকটবর্তী যারা নেক কাজ করে। (সূরা আরাফ : আয়াত ৫৬) রহমত মাগফিরাত ও নাযাতের পয়গম দিয়ে উম্মতে মুহাম্মদী’কে দেওয়া আল্লাহর শ্রেষ্ঠ উপহার ‘মাহে রমজান’। দিন সমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন ইয়াওমূল জুমা। হযরত আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, নবী কারীম (সা.) বলেন, সূর্যদয়ের মাধ্যমে যে দিনগুলো হয় তার মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো, জুমার দিন। জুমার দিনের মধ্যে এমন একটি সময় আছে যখন বান্দা আল্লাহর কাছে যেই দোয়া করে আল্লাহ্ তা কবুল করেন। (তিরমীযি হাদিস : ৪৯১) রোজা অবস্থায় একজন মুমিনের দোয়া অবশ্যই কবুল হবে। এই হিসেবে জুমার গুরুত্ব অবশ্যই অপরিসীম। চলতি রমজানের আজ শেষ জুমা। সমাজের পরিভাষায় জুমাতুল বিদা বা শেষ শুক্রবার। যদিও জুমাতুল বিদা বলতে কুরআন ও হাদিসের কোনও নির্ভরযোগ্য বর্ণনা নেই।
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, আমাদের রব বলেন- বনী আদমের প্রত্যেকটি নেক আমলের সওয়াব ১০ গুণ থেকে ৭০০গুণ পর্যন্ত দেওয়া হয় আর রোজা শুধু আমার জন্য আর আমি নিজেই এর প্রতিদান দিব। (সহিহ বুখারী ও মুসলিম) জুমার দিনে আল্লাহ্ তায়ালা আদম (আ.) কে সৃষ্টি করেছেন, এই দিনে জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছেন, এই দিনে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন, এই দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে। মুসতাদরা রমজান মাসের শেষ দশকের আমলের মধ্যে অন্যতম সদকাতুল ফিতর। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) লোকদের উপর রমজান মাসে সদকাতুল ফিতর অবধারিত করেছেন। (সুনানে নাসাঈ হাদিস ২৫০৩)
বুখারী শরিফে ১৫০৮ নং হাদিসে আসছে, আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বলেন, আমরা রাসূল (সা.) এর যুগে একসা খাদ্যদ্রব্য, একসা খেজুর, একসা যব কিংবা একসা কিসমিস দিয়ে সদকা আদায় করতাম। সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হয় ঈদের দিন সুবহে সাদিক শুরু হলে আর এই দিন দেয়া উত্তম। সদকাতুল ফিতর নবজাতক সন্তান যে ঈদুল ফিতরের দিনে জন্মগ্রহণ করেছে তার পক্ষ থেকেও আদায় করা ওয়াজিব। যাকাত ওয়াজিব হওয়া পরিমাণ মালের মালিকানা যদি ঈদুল ফিতরের দিন কারও থাকে তার উপর সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব। রমজান মাসে সদকাতুল ফিতর আদায় করলেও আদায় হয়ে যাবে। রমজান মাসের শেষ জুমায় রোজা কবুলের জন্য এবং ক্ষমার জন্য আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা। ইবনে মাজার শরীফের হাদিসে বর্ণিত আছে, নবী কারীম (সা.) বলেন , এমন কিছু রোজাদার রয়েছে যারা সারাদিন রোজা থেকে উপবাস থাকার কষ্ঠ ব্যতিত আর কিছুই পায়না। এমন কিছু ব্যক্তি রাত্রী জাগরণ করে ইবাদত করার পরেও রাত্রী জাগরণের কষ্ঠ ছাড়া আর কিছুই পায়না। আজকের জুমার দিনে আল্লাহর কাছে দরখাস্ত করে এই দুই শ্রেণির তালিকা থেকে আমাদের নামগুলি কাটিয়ে নেই। আল্লাহ্ আমাদের রোজগুলো কবুল করুন। আমিন।
ঢাকা ডেমরার দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, মাহে রমজান আমাদের কাছ থেকে বিদায়ের পথে। এখন সময় এসেছে আত্মপর্যাচলোচনা করার। মাহে রমজানে আমরা কি তাকওয়া অর্জন করতে পেরেছি নাকি আগের মতই রয়ে গেছি? এখনো সময় আছে তাওবা করে গুনাহ মাফ করাবার। বিশেষ করে ২৯ রমজানে আল্লাহ তায়াল তত পরিমাণ মানুষকে মাফ করেন পুরো রমজহানে যত পরিমাণ মানুষকে ক্ষমা করেন। সামনে আসছে ঈদুল ফিতর। সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ভাতৃত্ব বন্ধন সৃষ্টি করার দিন। ঈদের রাত এক বরকতময় রাত। অনেক মানুষ এ রাতে গাফেল থাকে। কেউ কেউ ঈদের আনন্দে গান বাজনায় মশগুল থাকে। কেউ কেউ কেনাকাটা, ব্যবসা বাণিজ্য, শপিং আর মার্কেটিং-এ লিপ্ত থাকে। অথচ এ রাতের ব্যাপারে হাদিস শরীফে এসেছে:
হযরত আবু উমামা রাদি. থেকে বর্ণিত তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় দুই ঈদের রাতে জাগ্রত থেকে ইবাদত করবে ঐ ব্যক্তি হৃদয় সেদিন মৃত্যু বরণ করবে না যেদিন সমস্ত হৃদয় বা কলব মৃত্যু বরণ করবে। (সুনানু ইবনে মাযাহ) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর ইবনে খাত্তাব রাদি. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন যে, পাঁচটি রাতে বান্দার দোয়া ফেরত দেয়া হয় না:তাহচ্ছে, জুমার রাতে; রজব মাসের প্রথম রাতে; শবে বরাতে ; ঈদুল ফিতরের রাতে এবং ঈদুল আজহার রাতে।
আবার ঈদের দিনটাও অনেক বরকতময় দিন। এদিনটি হলো মুমিনকে আল্লাহর পক্ষথেকে পুরস্কৃত করার দিন। হাদিসের ভাষায় এদিনকে ইয়াওমুল জায়েজাহ বা পুরস্কার প্রদানের দিন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ মানুষ ঈদের আনন্দে পাপে লিপ্ত হয়। আল্ল্হা সবাইকে মাহে রমজানের সকল বরকত নছিব করুন। আমিন।
বিভাগ : শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
যশোরে নাশকতার অভিযোগে আওয়ামীলীগের দুই কর্মী আটক
যশোরে ব্যবসায়ীর পায়ে গুলি সাবেক এসপি আনিসসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা থানায় রেকর্ড
যশোরে একই সঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ জাহিদুল
ইমনের সেঞ্চুরির পরও এগিয়ে খুলনা
টিয়ারশেল-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে সরানো হলো প্রথম আলোর সামনে অবস্থানকারীদের
নাইমের ১৮০, মেট্রোর বড় সংগ্রহ
রাজার বোলিংয়ে অলআউট বরিশাল
দেশের টাকা পাচার করে হাসিনা ও তাঁর দোসররা দেশকে দেউলিয়া করে গেছে পাচারকৃত টাকা উদ্ধারে কাজ করতে হবে -মাওলানা ইমতিয়াজ আলম
এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’
বিএনপি’র প্রতিনিধি দলের সাথে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনের বৈঠক
৫ বছর পর আয়োজিত হতে যাচ্ছে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪
থিতু হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারলেন না শাহাদাত
গণ-অভ্যুত্থানে ঢাবি ভিসির ভূমিকা কী ছিল? জানতে চান ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক
নির্বাচন কমিশনের প্রধান কাজ হওয়া উচিত অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন করা : রিজভী
ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জনে দেশে এলো অ্যাপ ‘পারলো’
সীমান্তর লক্ষ্য এসএ গেমসের হ্যাটট্রিক স্বর্ণ জয়
বিপিএলের প্রথম দিনই মাঠে নামছে বসুন্ধরা-মোহামেডান
নির্বাচিত সরকারই দেশকে পুনর্গঠন করতে পারে : তারেক রহমান
লক্ষ্মীপুরে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ৫০ জন
১৫ দিন রিমান্ড শেষে কারাগারে আব্দুর রাজ্জাক