সন্তানদের কিসের উপর রেখে যাচ্ছি-২
২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম
অনেক সময় আমরা পড়াশুনা ভালো হয় মনে করে সন্তানকে খ্রিস্টানদের মিশন স্কুলে বা ক্যাথলিক স্কুলে বা এনজিও স্কুলে দিই। কিংবা হিন্দুদের কোনো স্কুলে দিই। আচ্ছা! শুধু পড়ালেখা ভালো হওয়াই কি সন্তানের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের একমাত্র বিষয়? আদর্শ কি গৌণ বিষয়? আদর্শই তো শিক্ষা। আর সেসব স্কুলে কি পড়ালেখার বাইরে আর কিছু হয় না? (সেদিন আমার পরিচিত একজন বলছিল, সে এক শিশুকে পড়ায়। তার পাঠ্যবইয়ের একটি নাকি, ‘ছোটদের রামায়ন’। একটি মুসলিম শিশুর পাঠ্যবই?! ভাবতেই অবাক লাগল!) আমরা ভাবি না, যারা আল্লাহর সাথে শিরক করে, তাদের সংস্রবে সন্তানের মাঝে যদি শিরকের বীজ রোপিত হয়, এর দায় কার ঘাড়ে আসবে। অথবা জেনে-শুনে আদর্শচ্যুত কোনো পরিবেশে যদি আমি সন্তানকে ছেড়ে দিই আর সে পথহারা হয়, কাল কিয়ামতের দিন কি সেজন্য সন্তান আমাকে দায়ী করবে না?
এক্ষেত্রে কুরআনুল কারিমের একটি আয়াত স্মরণ হয়Ñ ‘...(বিপথগামীরা বলবে,) হে আমাদের রব! জিন ও মানুষের যারা আমাদের বিপথগামী করেছিল তাদেরকে আমাদের দেখিয়ে দাও। আমরা তাদেরকে আমাদের পায়ের নিচে রেখে এমনভাবে দলিত করব, যাতে তারা চরম লাঞ্ছিত হয়।’ (সূরা হা-মিম সাজদা-২৯) আমি যদি আমার সন্তানের গোমরাহির কারণ হই তখন!
পক্ষান্তরে, সন্তানকে যদি সঠিক পথে পরিচালিত করে যাই তাহলে সে জীবদ্দশায় অনুসরণ করবেÑ “পিতা-মাতার কোনো একজন কিংবা উভয়ে যদি তোমার কাছে বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে ‘উফ্’ পর্যন্ত বলো না এবং তাদের ধমক দিও না; বরং তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বলো।” (সূরা ইসরা-১৭ : ২৩) আর মা-বাবার মৃত্যুর পর দু’আ করে বলবেÑ ‘রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা’। অর্থাৎ ‘হে আমার রব! তারা যেভাবে আমার শৈশবে আমাকে লালন-পালন করেছেন, তেমনি আপনিও তাদের প্রতি রহমতের আচরণ করুন।’ (সূরা ইসরা-১৭ : ২৪)
সুতরাং আমরা আমাদের সন্তানদের সেভাবে গড়তে চেষ্টা করি, যাতে তাদের ভবিষ্যত (দুনিয়া-আখিরাত) নিম্নের আয়াতের মতো হয়Ñ যারা বলেছে, আমাদের রব আল্লাহ। তারপর তারা তাতে থাকে অবিচলিত, নিশ্চয়ই তাদের কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ হবে (এবং বলবে) যে, তোমরা কোনো ভয় করো না এবং কোনো কিছুর জন্য চিন্তিত হয়ো না, আর আনন্দিত হয়ে যাও সেই জান্নাতের জন্য, যার ওয়াদা তোমাদেরকে দেয়া হতো।
‘আমরা পার্থিব জীবনেও তোমাদের সাথী ছিলাম, আখিরাতেও থাকব। জান্নাতে তোমাদের জন্য আছে এমন সব কিছুই, যা তোমাদের অন্তর চাবে এবং সেখানে তোমাদের জন্য আছে এমন সব কিছুই যার ফরমায়েশ তোমরা করবে। এসব সেই সত্তার পক্ষ হতে প্রাথমিক আতিথেয়তা, যিনি অতি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। তার চেয়ে উত্তম কথা আর কার হতে পারেÑ ‘যে আল্লাহর দিকে ডাকে, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি মুসলিমদের একজন।’ (সূরা হা-মিম সাজদা : ৩০-৩৩)
সন্তানের বিষয়ে আল্লাহর মনোনীত বান্দা-নবীদের চিন্তা আমাদের জন্য আদর্শ। সে আলোকে যেন আমরা নিজেদের সন্তানের বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করতে পারি সে উদ্দেশেই এ লেখার অবতারণা।
বিভাগ : শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি
শিখ নেতা হত্যা, মোদীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ কানাডার
দলীয় ভিত্তিতে প্রশাসন সাজিয়ে কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না: এ এম এম বাহাউদ্দীন
আদানির সঙ্গে জড়িত মোদিও: রাহুল গান্ধী
আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি ২৫ নভেম্বর ঢাকায় আসছেন
সোহেল-টুকু-হেলালসহ খালাস পেলেন বিএনপির ২২ নেতাকর্মী
ইরানে উদ্ভাবনে নারীদের অবদান ২৪ শতাংশের বেশি
প্রকাশায় ৯৩ শতাংশ নকল করেও পদোন্নতি পান রাবি অধ্যাপক সাহাল উদ্দিন
বোরহানউদ্দিনে নিখোঁজের দুই ঘন্টা পর লেবু বাগানে মিললো শিশুর লাশ
নাবালক ছাত্রের সঙ্গে জবরদস্তি যৌন সঙ্গম, ৩০ বছরের জেল শিক্ষিকার
সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণ
মার্কিন সংসদের নারী শৌচাগার ব্যবহার করতে পারবেন না রূপান্তরকামী এমপি
বাগেরহাটে হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
অন্তবর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনা পালনের প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন জিওসি
কুড়িগ্রামের উলিপুরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে শিশুর মৃত্যু
ভারতে পাচারকালে সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে দুই নারী উদ্ধার
কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : চাঁদপুরে হাবিবুল্লাহ মিয়াজী
শাহজাহান ওমরকে জুতা ও ডিম নিক্ষেপ
জীবনে উত্তম কর্ম, জ্ঞান ও উন্নত চরিত্র অর্জন করতে হলে সফল ব্যক্তিদের সান্নিধ্য অবলম্বন আবশ্যক
নড়াইলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলায় জেলা আ.লীগ সভাপতি কারাগারে