প্রশ্ন : (ক) দুধভাই ওয়ারিশের কোনো ভাগ পাবে কি? (খ) তারাবীহ পড়িয়ে, কোরআন খতম করে হাদিয়া গ্রহন করা জায়েজ আছে নাকি? (গ) মসজিদে দেরিতে এসে কাতার ডিঙ্গিয়ে সামনে যাওয়া ঠিক কিনা? (ঘ) নামাযের শেষ বৈঠকে দরূদ, দুআয়ে মাছুরা না পড়লে গোনাহ হবে নাকি?
০১ মার্চ ২০২৫, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৫, ১২:০১ এএম

উত্তর : (ক) দুধ ভাই বোন কিছুই পাবে না। (খ) শর্ত ছাড়া, হাত পাতা ছাড়া, পাওয়ার আশা ছাড়া প্রাপ্ত সব টাকা-পয়সা, খাদ্য, জামা-কাপড়, ঈদের উপহার, হাদিয়া ইত্যাদি তারাবীহ পড়ানো সম্মানিত হাফেজ সাহেব নিতে পারেন। (গ) কাতার পূরণের জন্য অন্যকে কষ্ট না দিয়ে যাওয়া যায়। তবে নিজেকে বড় মনে করে দম্ভ নিয়ে অন্যদের কষ্ট দিয়ে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। (ঘ) গোনাহ হবে না, কারণ এসব ফরজ ওয়াজিব নয়। তবে নামাজ অপূর্ণাঙ্গ ও অসুন্দর হবে।
প্রশ্ন : একজন স্বামীর প্রতি একজন স্ত্রীর কি দায়িত্ব রয়েছে ইসলামের আলোকে জানালে মুসলিম নারী সমাজ উপকৃত হবে। জানাবেন আশা করি।
উত্তর : স্বামীর প্রতি স্ত্রীর দায়িত্ব তিনটি: ১. স্বামীর দৈহিক, মানসিক সংগ দেওয়া। ২. তার বিশ্বাস, আস্থা, সংসার, সন্তান ও সহায়-সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করা। ৩. শরীয়তসম্মত ও সামাজিক বিষয়ে স্বামীর আনুগত্য করা।
প্রশ্ন : কারো মোবাইলে যদি অজ্ঞাত ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক আসার পর সে ওই ওয়াইফাই নেটওয়ার্ককে নিজ মোবাইলে কানেক্ট করে নেট ব্যবহার করতে থাকে, তাহলে এটা তার জন্য জায়েজ হবে কি না? যদি জায়েজ না হয়ে থাকে, তা হলে যতটুকু গই ব্যবহার করেছে এর মূল্য ফেরত দেয়া লাগবে কি না?
উত্তর : উত্তম হলো অজ্ঞাত মালিকের ওয়াইফাই লাইন পেলেও ব্যবহার না করা। তবে যতদূর জানা যায়, একটি ওয়াইফাই লাইনের খরচ অধিক ব্যবহারেও কমবেশি হয় না। নির্দিষ্ট টাকা দিলেই চলে। মালিকের যে সমস্যাটা হতে পারে সেটি হচ্ছে, তার নিজের ওয়াইফাই ব্যবহার বাধাগ্রস্ত হতে পারে। অতএব, বিনা অনুমতিতে অপরের জিনিস ব্যবহারের মতোই এমন ওয়াইফাই ব্যবহারও শরিয়তে অনুমোদিত নয়। অবশ্য মালিক জানা থাকলে, তার সাথে কথা বলে সম্মতি নিয়ে ব্যবহারে কোনো দোষ নেই। যদি কেউ ব্যবহার করে থাকে, তা হলে সুযোগে এর বিনিময় বা ক্ষতিপূরণ দেয়ার ইচ্ছা মনে পোষণ করতে হবে। সম্ভব না হলে আন্দাজ করে কিছু টাকা ওই মালিকের নামে আল্লাহর রাস্তায় দান করে দেয়া ভালো। কোনো পাবলিক প্লেসে বা যে কোনো কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থায় ওয়াইফাই ব্যবহারে কোনো সমস্যা নেই। যদি নিজের ঘরেও ব্যাপক আকারে অন্য কারো লাইন এভেইলেবল থাকে, মনে হয় মালিকের কোনো অসুবিধা হবে না, বা জানলেও তারা কিছু বলবে না, তা হলে মাকরূহ পর্যায়ে (শরিয়তে অপছন্দনীয় ও অনুত্তম কাজ হওয়া সত্ত্বেও) এর ব্যবহার অনুমোদিত হতে পারে।
বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

ঐক্যবদ্ধ জিহাদের মাধ্যমে ফিলিস্তিনকে রক্ষা করতে হবে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদ অব্যাহত

১৩ বছর পর জমি দখলে নেয় ভুক্তভোগী, ভিন্নখাতে নিতে অপ-প্রচার

দেশের ১৩৫ কলেজে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ

দেশে বড় বিনিয়োগ আসতে পারে: বিডা চেয়ারম্যান

প্রতিবাদ মিছিল থেকে যারা লুটপাট করেছে তারা মানবতার কলঙ্ক : দুদু

নেত্রকোনায় চাঞ্চল্যকর আনোয়ার হত্যাকান্ডের রায়ে একজনের ফাঁসি

ড. ইউনূসের সঙ্গে পিটার হাসের সাক্ষাৎ

কিশোরগঞ্জে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে বাড়ি-দোকান ভাংচুর, লুটপাট অর্ধশত আহত

জিম্বাবয়ের বিপক্ষে যে কারণে শক্তিশালী দল দিল বিসিবি

দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচেও মেয়েদের বড় জয়

মহেশপুর সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত আহত ৪

লালমোহনে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সার-বীজ বিতরণ

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ঈশ্বরগঞ্জে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

দেশে বিনিয়োগের এত অনুকূল পরিবেশ আগে ছিল না: ড. ইউনূস

বিশ্বের শক্তিশালী ৫০ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

বর্ণিল আয়োজনে হাবিপ্রবিতে ২৪ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন

এনডিবি আরও ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে

ফিলিস্তিনে গনহত্যার প্রতিবাদে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করলো শিবির

সৈয়দপুরে গাজায় মুসলিম জনতাকে গনহত্যার প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

মির্জাগঞ্জে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ১০ বস্তা চাল জব্দ