শাবানের ধ্বনিতে রমজানের আগমন বার্তা

Daily Inqilab মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খান

১৭ মার্চ ২০২৩, ০৮:১১ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:১১ পিএম

ইবাদতের বসন্ত মাস পবিত্র মাহে রমজানের আগমনী বার্তা জানিয়ে উপস্থিত হয়েছে শাবান মাস। বসন্ত আগমনের আগেই যেমন প্রকৃতি নতুন সাজে সজ্জিত হতে থাকে, তেমনি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যেও শাবান মাসে শুরু হয় মাহে রমজানের ক্ষণগণনা। যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে ইবাদত, তারাবি-তাহাজ্জুদের নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, তওবা-ইস্তেগফার ইত্যাদি আমলের ও আমল কবুলের ভরা মৌসুম। কারণ এ মাসে আসমান থেকে বর্ষিত হতে থাকে রহমত, বরকত ও নাজাতের বারিধারা। সব মিলিয়ে শাবান মাস বিশ্বমুসলিমদের মন-মানসে নতুন করে জেগে ওঠার স্বপ্ন নিয়ে আসে। আরবিতে এ মাসের পূর্ণ নাম হচ্ছে ‘আশ-শাবানুল মুয়াজ্জাম’ অর্থাৎ সুমহান মর্যাদাবান শাবান মাস। এ মাসকে ‘শাবান’ শব্দ দ্বারা নামকরণ প্রসঙ্গে বিখ্যাত হাদিস বিশারদ হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) বলেন, ‘আরবের লোকেরা এ মাসে পানি সংগ্রহের জন্য বসতি ছেড়ে বেরিয়ে যেত, তাই এ মাসকে শাবান শব্দে নামকরণ করা হয়েছে, যাতে রয়েছে বেরিয়ে যাওয়ার অর্থ। অথবা এ শব্দে নামকরণের এই কারণ হতে পারে যে, রজব মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ হওয়ার দরুন সবাই নিজের এলাকায় অবস্থান করত। যখনই রজব মাস গিয়ে শাবান মাস শুরু হতো সবাই যুদ্ধের জন্য এলাকা ছেড়ে বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ত।’ (ফাতহুল বারি : ৪/২১৩)

শাবান মাসে পবিত্র রমজান মাসের আগমনী বার্তা সম্পর্কে হজরত সালমান ফারসি (রা.) বলেন, একবার শাবান মাসের শেষদিন রাসুল (সা.) আমাদের উদ্দেশে ভাষণ প্রদান করেন। তিনি বললেন, হে মানবম-লী! তোমাদের ওপর এমন একটি মহান ও বরকতপূর্ণ মাস ছায়া বিস্তার করেছে, যাতে হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম একটি মহিমান্বিত রজনী রয়েছে। এ মাসে মহান আল্লাহতায়ালা তোমাদের জন্য রোজাকে ফরজ এবং রাতে নামাজ আদায় করাকে নফল করেছেন। যে ব্যক্তি এ মাসে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় একটি নফল কাজ করবে, সে ওই ব্যক্তির সমান সওয়াব পাবে, যে অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করেছে। আর যে ব্যক্তি এ মাসে একটি ফরজ আদায় করবে, সে ওই ব্যক্তির সমান সওয়াব পাবে, যে অন্য মাসে সত্তরটি ফরজ আদায় করেছে। সুতরাং রমজান মাস ধৈর্যের মাস। আর ধৈর্যের প্রতিদান হলো একমাত্র জান্নাত। এটা পারস্পরিক সহানুভূতির মাস। এটা এমন এক বরকতপূর্ণ মাস, যাতে মুমিনের রিজিক বৃদ্ধি করা হয়। আর এ মাসে যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে শুধু এক চুমুক দুধ অথবা একটি খেজুর অথবা এক ঢোক পানি দ্বারা ইফতার করাবে, এটা তার জন্য গুনাহ মাফের মাধ্যম হবে এবং নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির কারণ হবে। আর তাকে রোজাদার ব্যক্তির সমপরিমাণ সওয়াব প্রদান করা হবে। এতে রোজাদারের সওয়াব থেকে কোনো অংশ কম করা হবে না। পক্ষান্তরে, যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো রোজাদারকে পরিতৃপ্তির সঙ্গে ইফতার করাবে, আল্লাহতায়ালা তাকে আমার হাউসে কাউসার থেকে পানি পান করিয়ে পরিতৃপ্ত করাবেন। যার ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করা পর্যন্ত আর তৃষ্ণার্ত হবে না। আর এটা এমন মাস যার প্রথমভাগ রহমত, মধ্যভাগ ক্ষমা এবং শেষভাগে আছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি। আর যে ব্যক্তি এ মাসে তার অধীনে চাকর-বাকরের কাজের ভার হালকা করে দেবে, আল্লাহতায়ালা তাকে ক্ষমা করে দেবেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তিদান করবেন। (মিশকাত : ১৮৬৮)

শাবান মাসের বিশেষ গুরুত্বের কারণে আল্লাহর রাসুল (সা.) এ মাসকে ‘শাহরুর রাসুল’ তথা নিজের মাস বলে অভিহিত করেছেন। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘শাবান হলো আমার মাস। যে ব্যক্তি শাবান মাসের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করল সে আমার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করল। আর যে আমার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে, কেয়ামতের দিন আমি হব তার অগ্রবর্তী এবং নেকির ভান্ডার। আর রমজান মাস হলো আমার উম্মতের মাস।’ (শুয়াবুল ইমান : ৩৫৩২)। পবিত্র মাহে রমজানের আগের দুই মাস থেকেই তিনি মহান প্রভুর দরবারে মিনতি ভরে দোয়া করতেন—‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগ না রামাজান’, অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ! আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং রমজান মাস পর্যন্ত আমাদের জীবন প্রলম্বিত করুন।’ (মুসনাদে আহমাদ : ২৩৪৭)

এ মাসেই মহান আল্লাহর কাছে বান্দার আমলনামা পেশ করা হয়। বান্দার ভালো-মন্দ কর্মের বিবরণ প্রকাশিত হয়। হজরত উসামা ইবনে জায়েদ (রা.) একবার নবীজি (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনাকে শাবান মাস ছাড়া অন্য কোনো মাসে এত বেশি ইবাদত করতে দেখি না। এর প্রকৃত কারণ কী? নবীজি (সা.) উত্তরে বললেন, এটা রজব ও রমজানের মধ্যবর্তী এমন একটি মাস, যে মাসে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে বান্দার আমলগুলো পেশ করা হয়। অথচ এ মাসে মানুষ উদাসীন হয়ে যায়। কিন্তু আমি চাই আমি রোজা পালনকারী অবস্থায় আমার আমলগুলো মহান আল্লাহর কাছে পেশ করা হোক।’ (নাসায়ি : ২৩৫৭)

রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে শাবান মাসের অনেক ফজিলত এবং বেশ কিছু করণীয়ও রয়েছে। প্রথমত শাবানের চাঁদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই দিন গণনায় গুরুত্ব দেওয়া। যেন রমজানের রোজা সঠিক সময় আদায় করা সহজ হয়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা রমজান ঠিক রাখার জন্য শাবানের চাঁদ গণনা করো।’ (তিরমিজি : ৬৮৭)। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) শাবান মাসের তারিখ এতটাই মনে রাখতেন যতটা অন্য মাসের তারিখ মনে রাখতেন না। শাবানের ২৯ তারিখ চাঁদ দেখা গেলে পরের দিন রমজানের রোজা রাখতেন। আর সেই দিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে শাবান ৩০ দিন পূর্ণ করে রমজানের রোজা শুরু করতেন।’ (আবু দাউদ : ২৩২৭)

শাবান মাসে যেসব আমল করতে হয় : শাবান মাসের অন্যতম একটি আমল হলো, নফল রোজা রেখে আগত রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করা। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, একদা মহানবীকে (সা.) জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল, কোন রোজার ফজিলত বেশি? উত্তরে তিনি বললেন, ‘রমজান মাসের সম্মানার্থে শাবান মাসে কৃত রোজার ফজিলত বেশি। আবার জিজ্ঞাসা করা হলো, কোন দানের ফজিলত বেশি? উত্তরে তিনি বললেন, রমজান মাসে কৃত দানের ফজিলত বেশি।’ (বায়হাকি : ৮৭৮)। অন্য এক বর্ণনায় আছে, হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুলকে (সা.) বছরের অন্য কোনো মাসে শাবান মাসের চেয়ে বেশি রোজা রাখতে দেখিনি। শাবান মাসে তিনি প্রায় সারা মাসই রোজা রাখতেন। খুব সামান্য কয়েক দিন বাদ যেত।’ (তিরমিজি : ৭৩৬)। অর্থাৎ রোজা রাখার ক্ষেত্রে শাবানের ২৭ তারিখের পরে না যাওয়া। কেননা, এর পরের দিনগুলো সন্দেহপূর্ণ। হাদিসে এ দিনগুলোতে রোজা রাখতে নিষেধ করা হয়েছে। হজরত কাতাদাহ (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেন, ‘নবী করিম (সা.) বলেছেন, তোমরা রমজান মাস ও শাবান মাসের মাঝে এক বা দুদিনের ব্যবধান বজায় রাখো (রোজা রাখা বর্জন করে)।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক : ৭৩১৬)। শাবান মাসের ফজিলতের আরেকটি কারণ হলো, এ মাসের ১৪ তারিখের বরকতময় রাত। যা মহিমান্বিত শবেবরাত নামে মুসলমানদের মাঝে প্রসিদ্ধ। এ রাতে ইবাদতের মাধ্যমে মহান আল্লাহর বিশেষ নৈকট্য অর্জন করা যায়। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘আল্লাহতায়ালা অর্ধশাবানের রাতে তার বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন, ক্ষমাপ্রার্থীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহপ্রার্থীদের ওপর অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন।’ (শুআবুল ইমান : ৩৮৩৫)

এ মাসে সংঘটিত হয়েছে ইসলামের ইতিহাসের আরেক যুগান্তকারী ঘটনা। হিজরতের প্রায় দেড় বছর পর এ মাসেই মুসলমানদের কিবলা পরিবর্তন হয়। আগে মুসলমানদের কেবলা ছিল ফিলিস্তিনের বায়তুল মুকাদ্দাস, এ মাসে তার পরিবর্তে মক্কার কাবা গৃহকে কেবলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ প্রসঙ্গেই অবতীর্ণ হয়—‘বারবার আপনার আকাশের দিকে চেহারা ঘোরানোর বিষয়টি আমি দেখেছি। সুতরাং আপনার কেবলার দিক পরিবর্তন করে দেব, যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন। অতএব আপনি মসজিদুল হারামের (কাবা শরিফ) দিকে চেহারা ঘোরান। তোমরা যেখানেই থাকো না কেন, ওই (কাবা) দিকেই মুখ ফেরাও।’ (সুরা বাকারা : ১৪৪)

মোটকথা, শাবান মাস রমজানের প্রস্তুতি নেওয়ার মাস। আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে বিশেষ পুরস্কার ক্ষমা অর্জনের মাস। তাই বেশি বেশি নেক আমল ও পাপকাজ বর্জনের মাধ্যমে রমজানের প্রস্তুতি নিতে হবে। রমজানে রোজা রেখে সাধারণত ভারী কাজ করা মুশকিল। তাই বড় ধরনের ঝামেলা এখনই চুকিয়ে ফেলতে হবে। সর্বোপরি এ মাসে নামাজ, রোজা, জিকির, তেলাওয়াতসহ বেশি বেশি নফল ইবাদতের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে। যেন মাহেন রমজানের আমল স্বাচ্ছন্দ্য ও গতিশীলতার সঙ্গে হয়। মহান আল্লাহ সবাইকে তওফিক দিন।


বিভাগ : ইসলামী জীবন


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

বাইডেনের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে ইসরাইলি সরকারকে আহ্বান বন্দীদের পরিবারের

বাইডেনের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে ইসরাইলি সরকারকে আহ্বান বন্দীদের পরিবারের

মধ্যবিত্তের জন্য হচ্ছে টিসিবির স্থায়ী দোকান : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

মধ্যবিত্তের জন্য হচ্ছে টিসিবির স্থায়ী দোকান : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

বুথ ফেরত সমীক্ষায় এগিয়ে এনডিএ, ২০১৯-এর এক্সিট পোলকেও ছাপিয়ে গেল?

বুথ ফেরত সমীক্ষায় এগিয়ে এনডিএ, ২০১৯-এর এক্সিট পোলকেও ছাপিয়ে গেল?

বন্যাবিধ্বস্ত আসামে মৃত বেড়ে ১৫

বন্যাবিধ্বস্ত আসামে মৃত বেড়ে ১৫

সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নতুন ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করলেন কুয়েতের আমির

সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নতুন ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করলেন কুয়েতের আমির

একশ্রেণির জ্ঞানী-গুণী দেশের অর্জনের পথে প্রতিবন্ধক : প্রধানমন্ত্রী

একশ্রেণির জ্ঞানী-গুণী দেশের অর্জনের পথে প্রতিবন্ধক : প্রধানমন্ত্রী

ভারতের জনমতকে প্রভাবিত করছে ইসরাইল: ওপেনএআই

ভারতের জনমতকে প্রভাবিত করছে ইসরাইল: ওপেনএআই

২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুইবার মার্কিন ক্যারিয়ারে হামলা হুথিদের

২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুইবার মার্কিন ক্যারিয়ারে হামলা হুথিদের

নেতানিয়াহু সরকারের পতনের দাবিতে ইসরাইলে লাখো মানুষের বিক্ষোভ

নেতানিয়াহু সরকারের পতনের দাবিতে ইসরাইলে লাখো মানুষের বিক্ষোভ

পর্দা নামলো এগ্ৰিকালচারাল অলিম্পিয়াড সিজন-৩ এর

পর্দা নামলো এগ্ৰিকালচারাল অলিম্পিয়াড সিজন-৩ এর

ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি চলছে

ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি চলছে

২৭ জানুয়ারিকে সলঙ্গা বিদ্রোহ জাতীয় দিবস ঘোষণা করতে হাইকোর্টে রিট

২৭ জানুয়ারিকে সলঙ্গা বিদ্রোহ জাতীয় দিবস ঘোষণা করতে হাইকোর্টে রিট

তীব্র গরম: ভারতে ৮৫ জনের মৃত্যু

তীব্র গরম: ভারতে ৮৫ জনের মৃত্যু

ভারতে লোকসভার ভোট শেষ, আজই জেলে ফিরছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল

ভারতে লোকসভার ভোট শেষ, আজই জেলে ফিরছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল

জার্মানিতে দক্ষ কর্মীদের জন্য 'অপরচুনিটি কার্ড' চালু

জার্মানিতে দক্ষ কর্মীদের জন্য 'অপরচুনিটি কার্ড' চালু

রহিম স্টিল মিলে শতাধিক শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দাবি

রহিম স্টিল মিলে শতাধিক শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দাবি

ঈদযাত্রা: প্রথম ঘণ্টায় শেষ উত্তরবঙ্গের ট্রেনের টিকিট

ঈদযাত্রা: প্রথম ঘণ্টায় শেষ উত্তরবঙ্গের ট্রেনের টিকিট

যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলে পদত্যাগের হুমকি মন্ত্রীদের, উভয়সঙ্কটে নেতানিয়াহু

যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলে পদত্যাগের হুমকি মন্ত্রীদের, উভয়সঙ্কটে নেতানিয়াহু

বিশ্বকাপ শুরুতেই ছক্কাবৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্রেকে জেতালেন জোন্স

বিশ্বকাপ শুরুতেই ছক্কাবৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্রেকে জেতালেন জোন্স

সৈয়দপুর প্রেসক্লাবে সভাপতি রতন, সম্পাদক জিকরুল হক

সৈয়দপুর প্রেসক্লাবে সভাপতি রতন, সম্পাদক জিকরুল হক