প্রশ্ন : আমি শুনেছি এ্যালকোহল কিংবা মদ পান করলে ৪০দিন পর্যন্ত শরীর নাপাক থাকে? বিষয়টি কতুটুকু গ্রহণযোগ্য?
২৮ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৫০ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৩২ পিএম

উত্তর : শরীয়ত অনুযায়ী এমন গোনাহ’র পর অজু গোসল জায়েজ আছে। যেহেতু নামাজ পড়ার হুকুম চালু থাকে। সুতরাং তার শরীর নাপাক থাকে না। মাতলামী দূর হওয়ার পর তার জন্য পবিত্র হওয়া ও নামাজ পড়া ফরজ। বিধিগতভাবে ৪০ দিন নাপাক ধরা যাবে না। প্রশ্নে বলা হয়েছে, শরীর নাপাক। এমন নাপাক কোনো গোনাহের ফলেই হয় না। যদি সে পবিত্রতা অর্জন করে নেয়। ৪০ দিন এবাদত কবুল হয় না (কবুল হয় না অর্থ বুঝতে হবে, এবাদত শুদ্ধ হয় না বা করা যাবে না বলা হয়নি, বলা হয়েছে কবুল হয় না। এ দু’টি কথা এক নয়) এমন কিছু শাস্তি কোনো কোনো গোনাহ’র জন্য আছে। মদপানের জন্য এমন কথা হাদিস কোরআনে বলা নেই। তবে, নিয়মিত মাদকগ্রহণকারীর দোয়া শবে বরাতেও কবুল হয় না বলে হাদীসে উল্লেখ আছে। ৪০ দিন এবাদত কবুল হয় না সে ব্যক্তির, যে বিশ্বাস নিয়ে কোনো জ্যোতিষির কাছে যায়। এছাড়া ৪০ দিন এবাদত কবুল হয় না, অন্য কোনো কাজের ক্ষেত্রে বলা ঠিক হবে না। বলতে গেলে কোরআন ও সুন্নাহ’র দলীল লাগবে।
প্রশ্ন : আমরা জানি কাপড় যেমন লুঙ্গি বা প্যান্ট টাখনুর উপর রাখা সব সময়ের জন্য জরুরী। সেটা ফরজ না ওয়াজিব জানাবেন। নামাজের সময় প্যান্ট বা লুঙ্গি টাখনুর নীচে নেমে পড়লে নামাজ হবে কি?
উত্তর : ইচ্ছাকৃতভাবে অহংকার বশত লুঙ্গি বা প্যান্ট পায়ের গিরার নিচ পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখা কবিরা গুনাহ। অহংকার বশত পরিহিত পোশাক আশাকের অন্য কোনো রূপও জায়েজ নেই। যা জায়েজ নেই বা কবিরা গুনাহ, তা করা হারাম। হারাম কাজ ত্যাগ করা ঈমানদারের উপর ফরজ। এ গুনাহটি নামাজের জন্য নির্দিষ্ট নয়। সব সময়ের জন্যই গুনাহ। জেনে শুনে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কবিরা গুনাহ নামাজের ক্ষতি করে। তবে বেখেয়ালিতে এমন হয়ে গেলে আল্লাহ মাফ করবেন। টাখনুর নিচে পরিধেয় বস্ত্র চলে গেলেই নামাজ হবে না, বিষয়টি এমন নয়। তবে, সতর্কতা খুব জরুরি।
প্রশ্ন : আমি একজন মুসলিম ,উল্কি আঁকার বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন।
উত্তর : স্থায়ী উল্কি আঁকা হারাম। মুসলিম হিসাবে খোদাদত্ত ত্বক ছিদ্র বা খোদাই করা হারাম। পশ্চিমারা এসব করে, মুসলমান এসব করতে পারে না। বিবেকবান অমুসলিমরাও এসব করে না। রোনালদো একজন বিখ্যাত খেলোয়াড়। উল্কি করার কারণে বিপদগ্রস্থকে রক্ত দেয়া যাবে না শুনে তিনি উল্কি আঁকা থেকে তওবা করেছেন। একজন অমুসলিমের যদি এমন মানবিক সিদ্ধান্ত হতে পারে, তাহলে মুসলমান কী করে উল্কি আঁকাতে পারে। তথ্য নিয়ে দেখুন, স্বঘোষিত ব্যভিচারীরা নারী পুরুষেরা তাদের শরীরে নানাস্থানে নানাভাবে স্থায়ী উল্কি আঁকে। মনে করা যেতে পারে যে, জাহান্নামের যাত্রীরাই উল্কির বেশি ভক্ত। কোনো মুসলমান উল্কি না আঁকুক। সব মুসলমান এটাই চাওয়া হতে হবে। প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি ছেলেরা বর্তমানে মাথায় একধরনের ছাঁট দেয়, চারপাশ থেকে চুল ছোট করে কিংবা কামিয়ে কোথাও কোথাও লম্বা চুল রেখে দেয়, এমন করাও হারাম। মহানবী সা. এমন করতে নিষেধ করেছেন। সুন্নাহর নির্দেশনা ছাড়া যাচ্ছেতাই করে সৃষ্টিগত ও প্রকৃতিগত স্বাভাবিকতা বিনাশ মুসলমানের শরীয়তে জায়েজ নেই।
বিভাগ : ইসলামী জীবন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

ভারতে আবাসিক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, যেভাবে নাটকীয়ভাবে বেঁচে গেল একটি পরিবার

অবশেষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেলেন উখিয়ার ১৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী

পবিপ্রবি শিক্ষার্থী পানিতে পড়ে আহত হওয়ার পরে চিকিৎসা অবহেলার মৃত্যুর অভিযোগ

শেরপুর জেলা উপজেলায় নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

নববর্ষ উদযাপনে মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আনন্দ শোভাযাত্রা

মাজারের বার্ষিক ওরসের মেলায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা করল স্বামী

কুমিল্লার রাজগঞ্জ বাজারে অগ্নিকাণ্ডে পৌনে দুই কোটি টাকার মালামাল ভস্মীভূত

সরকার নয়, আমরা একটি দেশ হিসেবে কাজ করছি: জ্বালানি উপদেষ্টা

মতলবে উপজেলা বিএনপির বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা

ফিলিস্তিনবাসীদের শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল

বর্ণাঢ্য ‘ড্রোন শো’ দেখে মুগ্ধ লাখো মানুষ

নতুন বছরে সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর হোক : মঞ্জু

বুধবার ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পুরোনো পদে ফিরলেন গাঙ্গুলি

আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং নারী ক্রিকেট দল

রূপায়ণ সিটিতে শতকন্ঠে বর্ষবরণ

বর্ষবরণকে স্বাগত জানিয়ে গাজীপুরে জেলা বিএনপির শোভাযাত্রা

আমরা নতুন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছি: ফারুকী

ভারতীয়দের হজ কোটা ৮০ শতাংশ কমাল সৌদি

চীনা দূতাবাসের সৌজন্যে ঢাকার আকাশে ব্যতিক্রমী ড্রোন শো