প্রশ্ন : মেয়েদের নাক বা কান ফোঁড়ানো সম্পর্কে ইসলামী বিধান কি?
০৫ মে ২০২৩, ০৮:৩৩ পিএম | আপডেট: ০৬ মে ২০২৩, ১২:০১ এএম
উত্তর : নাক কান ফোঁড়ানো বা না ফোঁড়ানো মেয়েদের বেলা সমান। উভয়টিই জায়েজ, তবে ফোঁড়ানো হলে অলংকার পরা উত্তম। কেননা, অপবিত্র শরীর পবিত্র করার সময় নাক কানের অলংকারের ছিদ্রেও পানি পৌঁছানো জরুরী। আর তা অলংকার নেড়েচেড়েই পৌঁছাতে হয়। অলংকার ছাড়া ছিদ্রে কিছুতেই পানি পৌঁছানো যায় না। অগত্যা অনেকে চিকন শলা বা কাঠি দিয়ে রাখেন। তবে, যেসব নারী ঋতুমুক্ত হয়ে গিয়েছেন বা যাদের স্বামী নেই, অর্থাৎ বড় নাপাকী তাদের হয় না, এসব নারীর জন্য নাক কানের বর্ণিত ছিদ্রে পানি পৌছানোর ক্ষেত্রে কিছু শিধিলতা আছে। তবে, অজুর ক্ষেত্রেও নাকের ছিদ্রে পানি পৌঁছাতে হয়। এসব ভেবে অনেকে মনে করেন, নাক কান না ফোঁড়ানোই উত্তম। তবে, শরীয়ত যুগ যুগ ধরে চলে আসা এসব অলংকার পরিধান বা ফোঁড়াই করাকে নাজায়েজ সাব্যস্ত করেনি। নিয়ম মেনে করা যায়।
প্রশ্ন : স্বামী শারীরিক মিলামেশায় সক্ষম কিন্তু সন্তান জন্মদানে অক্ষম হলে বিবাহ সম্পর্ক চালিয়ে যাবে নাকি স্বামীকে ডিভোর্স দিবে। দয়াকরে শরীয়তের আলোকে জানাবেন।
উত্তর : স্বামী শারীরিক মেলামেশায় বাস্তবিকই সম্পূর্ণ অক্ষম হলে স্ত্রী বিবাহ বিচ্ছেদের কথা তুলতে পারে। আপসে হলে ভালো, না হয় আইনের আশ্রয় নিতে পারে। তবে এসব বিষয় সত্যের ভিত্তিতে হতে হবে। অন্য কোনো উদ্দেশ্য থেকে, অসত্য বা অন্যায়ভাবে স্বামীকে দায়ী করে সংসার ভেঙ্গে দেওয়া বড় গুনাহের কাজ। সন্তান জন্মদানে অক্ষম হওয়া স্বামীর জন্য কোনো আমলযোগ্য ত্রুটি নয়। যেমন এটি স্ত্রীর বেলায়ও কোনো ত্রুটি নয়। শুধু এ কারণে বিবাহ ভাঙ্গা যায় না। যথাসম্ভব চিকিৎসা নেওয়ার পরও যদি সন্তান না হয়, তাহলে দু’জনই ভাগ্যকে মেনে নেবে।
প্রশ্ন : বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রাইভেট টিউশনী করা শরীয়তের দৃষ্টিতে জায়েজ আছে কি?
উত্তর : কাজটি নাজায়েজ নয়। তবে এর সাথে কোনো অবৈধ বিষয় যুক্ত থাকলে জায়েজ হবে না।
প্রশ্ন : আমরা জানি সূর্যোদয় থেকে ৩০ মিনিট নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর দেখা গেল সকাল হয়ে গেছে। তাহলে আমি নামাজ পড়তে পারবো কি না? উক্ত নামাজ কি কাজা হবে ?
উত্তর : সূর্যোদয় থেকে ৩০ মিনিট কথাটি ঠিক নয়। কথাটি হচ্ছে, ঠিক সূর্যোদয়ের মুহূর্ত। এসময় নামাজ পড়া নিষেধ। যার সময় ১৬-১৭ মিনিট হয়ে থাকে। এর আগে নামাজ পড়তে পারেন। এটি সঠিক সময়। সূর্যোদয়ের মুহূর্তে পড়বেন না। এরপর ফজর পড়বেন কাযা হিসেবে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে ঘুমে বিভোর থেকে নামাজের সময় পার হয়ে যাওয়া মানুষের অনুতাপের নামাজ এ সময়ও মূল ওয়াক্তের নামাজের মত কবুল করতে পারেন। হাদীসে এমন ইশারাও আছে।
বিভাগ : ইসলামী জীবন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস
শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া
ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল
‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’
প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের
প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া
মুসলিম চিকিৎসক
শীর্ষে দিল্লি
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান