ঢাকা   শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রশ্ন : আমি আমার স্ত্রীকে ৬ মাস পূর্বে কোর্টের মাধ্যমে তালাক দিয়েছি। আমাদের ৬ বৎসরের ১ সন্তান রয়েছে। আমরা আবার একত্রে হতে চাচ্ছি। শরীয়াহ মোতাবেক কি ভাবে নিতে পারব।

Daily Inqilab ইনকিলাব

১২ মে ২০২৩, ০৮:৩২ পিএম | আপডেট: ১৩ মে ২০২৩, ১২:০২ এএম

উত্তর : যদি তালাকে বায়েন বা পূর্ণাঙ্গ বিচ্ছেদ কোর্টের মাধ্যমে করে থাকেন এবং পরবর্তী ইদ্দত শেষ হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে আপনারা আর একত্রে হতে পারবেন না। শরীয়াহ মোতাবেক নেওয়ার দু’টি পথ আছে। এক. স্ত্রী যদি অন্য কোথাও সংসারী হন, আর সে স্বামী মারা যান, তাহলে পূর্ণ ইদ্দত (৪ মাস ১০ দিন) পার হওয়ার পর দু’জনে সম্মত হলে এই বিধবাকে আপনি সম্পূর্ণ নতুন করে বিবাহ করতে পারেন। দুই. প্রথমে তাকে অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে, নতুন স্বামীর সাথে দৈহিক মিলন হতে হবে, এরপর যদি তাকে আপনার বা অন্য কারো প্রভাব বিস্তার ছাড়া সংগত কারণে তার নতুন স্বামী তাকে তালাক দেয়, তখন সম্পূর্ণ ইদ্দত শেষে (সন্তান পেটে থাকলে তার প্রসবের পর) নতুন করে আপনি এই স্বামী পরিত্যাক্তাকে বিয়ে করতে পারেন। এভাবেই পুনরায় আপনারদের মিলন সম্ভব। এছাড়া অন্য কোনো কৃত্রিম বা সাজানো পথ শরীয়ত সম্মত নয়। এরচেয়ে অনেক সহজ হলো আপনি ধরে নিন, আপনার এ স্ত্রী মারা গিয়েছেন। সন্তানদের জন্য বা আপনার নিজের জীবনের জন্য খুব সুবিধাজনক না হলেও নতুন কাউকে বিয়ে করে নিন। আর এখন যতকিছু মনে আসছে এসবই তালাক দেওয়ার আগে ভাবা উচিত ছিল। যারা তালাক দেন, তাদের এসব আগেই ভেবে নেওয়ার জন্য আবেদন রাখব।

প্রশ্ন : প্র¯্রাবের পর দু’য়েক ফোঁটা চলে আসলে কি কাপড় নাপাক হয়ে যাবে?
উত্তর : দু’য়েক ফোঁটা বলতে আমরা কি বুঝবো? পরিমাণটা বলে রাখি, দু’য়েক ফোঁটা পেশাব বের হলে অজু ভেঙ্গে যায়। অজু করতে হবে। এবার প্রশ্ন আসে কতটুকু পেশাবে কাপড় নাপাক হয়? একটি সিকি পয়সা বা এরচেয়ে কম জায়গা হলে কোনোরকম নামাজ হয়ে যাবে। এরবেশি হলে নাপাকির জায়গাটি ধুতে হবে। এক ফোঁটা পেশাব সম্ভবত সিকি কয়েনের পরিমাণের মধ্যে থাকে। কিন্তু দু’য়েক ফোঁটা থাকে না। এসব খুব সাবধানে বিবেচনা করে নিবেন। মাসআলাটি সতর্কতার আর সিদ্ধান্ত বিশ্বস্ত বিবেকের।

প্রশ্ন : আমার আব্বা গত কয়েক দিন আগে মারা গেছেন, এক দোকানদার উনার কাছে কিছু টাকা পেত, জীবিত অবস্থায় টাকা দিয়ে যেতে পারেন নি, আমি সস্তান হিসাবে কি ওই টাকা গুলো দিয়ে দিলে আমার আব্বা ঋণমুক্ত হবে? ওই দোকানদার এখন টাকাগুলো নিতে চাচ্ছেনা, সে বলতেছে আমি তাকে মাফ করে দিয়েছি টাকা দেওয়া লাগবে না, আশা করি আমার প্রশ্নের জবাব দিবেন।
উত্তর : সন্তান হিসেবে আপনার উচিত পিতার পাওনা পরিশোধ করে দেওয়া। এ বিষয়ে আপনার আন্তরিক চেষ্টার ত্রুটি করবেন না। এখন পাওনাদার যদি নিজের থেকে আপনার আব্বাকে ক্ষমা করে দেন, পাওনা টাকা না নেন, তাহলে আপনার আব্বার কোনো দায় থাকবে না। আপনিও তার এ ইহসান ও সৌজন্য মেনে নিন। এ নিয়ে জোর জবরদস্তি করা বা দিতেই হবে বলে মনে করা বাড়াবাড়ি। যদি কোনো মন্দ দিক এখানে লুকিয়ে না থাকে, তাহলে আপনি এ টাকা না দিলেও চলবে। যিনি দাবী ছেড়ে দিতে চান, তাকে দাবী ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ দিন।


বিভাগ : ইসলামী জীবন


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামের অবদান
যুগে যুগে জুলুম ও জালিমের পরিণতি
দোয়া কবুল হওয়ার শ্রেষ্ঠ সময়সমূহ
দুর্ভিক্ষ, বিপর্যয় কেন আসে
জনসাধারণের খোঁজ-খবর নেয়া শাসকের নৈতিক দায়িত্ব
আরও

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার

কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার

প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ

প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ

বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত

বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত

উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস

গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস

শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে

শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে

চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক

চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক

পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া

পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া

ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব

ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব

লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল

ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল

‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’

‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’

প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের

প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের

প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া

প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া

মুসলিম চিকিৎসক

মুসলিম চিকিৎসক

শীর্ষে দিল্লি

শীর্ষে দিল্লি

সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা

সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা

ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা

ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা

বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান

বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান