প্রশ্ন : অজু আছে মনে করে নামাজ আদায় করার পর (ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলে) বুঝা গেল অজু ভঙ্গ হয়েছিল । এটা কি ধরণের গুনাহ? মুক্তির উপায় কি? জানালে উপকৃত হবো ।
২৬ মে ২০২৩, ০৮:২১ পিএম | আপডেট: ২৭ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
উত্তর : স্মরণ না থাকা বা অনিচ্ছাকৃত ভুল ক্ষমাযোগ্য। এমন হলে নামাজ কাযা পড়ে নিবে। সময় থাকলে অজু করে দোহরিয়ে নিবে। আল্লাহর কাছে তওবা করলে ও ক্ষমা চাইলে আল্লাহ সব গোনাহ মাফ করে দেন। ভুলত্রুটি মাফ করা তো তার খুশির কারণ। আমাদের কাজ তওবা করা। ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল না করা।
প্রশ্ন : বর্তমানে রাষ্ট্রীয় সকল কাজে ছবির প্রয়োজন হয়। তাই একমাত্র রাষ্ট্রীয় কাজে বা অফিসিয়াল কাজে ব্যবহার হয় শুধু এমন ছবি তোলা বা এর মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করা জায়েজ হবে কিনা?
উত্তর : শরীয়ত বিবেচনা করে যেসব প্রয়োজনকে স্বীকৃতি দিয়েছে, অপারগ অবস্থায় সেগুলো পূরণ করতে গিয়ে হয়তো নিষিদ্ধ কাজের গোনাহ হবে না। যেমন আপনি বললেন, রাষ্ট্রীয় কাজের সুবিধার্থে ছবি তোলা। এক্ষেত্রে ছবি তোলা কে জায়েজ বলা হয়েছে। এটি তোলার মাসআলা। তবে, জীবিকা হিসাবে এমন সন্দেহজনক বৈধ কাজ বেছে না নেওয়াই উত্তম। তাছাড়া শরীয়ত নির্দেশিত ছবি ছাড়া অন্যান্য ছবিও তোলার বিষয় সামনে এসে যায়। জীবিকার ক্ষেত্রে ভালোর চেয়ে ভালো উপায় বেছে নেওয়াই উত্তম। কোনোরকম জায়েজ হয়, এমন পেশা একান্ত বাধ্য না হলে গ্রহণ না করাই উচিত। কারো এ পেশা থাকলে চেষ্টা করা উচিত যেন, আরও সন্দেহ মুক্ত ও নির্ভেজাল পেশা পাওয়া যায়।
প্রশ্ন : আমার ১০ বৎসর বয়সী মেয়েকে একজন হাফেজ সাহেব আরবী শিক্ষা দেন। নামাজ শিখাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, চার রাকাত বিশিষ্ট সুন্নত নামাজের শেষের দুই রাকাতে সুরা ফাতিহার সাথে অন্য সুরা মিলানোর দরকার নেই। মাসআলাটি কতোটুকু সঠিক?
উত্তর : ফরজ নামাজে প্রথম দু’রাকাতের পর আর সুরা মিলাতে হয় না। শেষ দু’রাকাতে শুধু সুরা ফাতিহা পড়লেই চলে। সুন্নাত নামাজ এমন নয়। সুন্নাতে চার রাকাতেই সুরা মিলাতে হয়। মাসআলা এটিই সহীহ।
প্রশ্ন : নামায ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত কি?
উত্তর : ১. ইসলাম বা মুসলমান হওয়া। ২. সুস্থ মস্তিষ্ক হওয়া। ৩. প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া। ৪. নামাযের ওয়াক্ত পাওয়া। সুতরাং, প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ও সুস্থ মুসলমানের উপর কোরআন-হাদীস ও ইজমা দ্বারা নির্ধারিত ওয়াক্তের মধ্যে নামাজ আদায় করা ফরযে আইন। কোন শরয়ী ওযর ছাড়া নামায ত্যাগকারী ফাসেক এবং নামাযের গুরুত্ব অস্বীকারকারী কাফের বলে সাব্যস্ত হবে।
প্রশ্ন : কিবলামুখী হওয়ার ব্যাপারে মক্কাবাসী এবং অন্যান্য শহরে বসবাসকারী মুসলমানের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি?
উত্তর : হাঁ, আছে। কিবলার ব্যাপারে তিন ধরনের নির্দেশ রয়েছে। ১. শরীয়তের দৃষ্টিতে মসজিদে হারামে অবস্থানকারীরা সোজা কা’বা ঘর-এর দিকে মুখ করে নামায পড়বে। ২. মক্কা নগরীতে অবস্থানকারীরা নামায পড়বে মসজিদে হারাম বা হারাম শরীফ-এর দিকে ফিরে। ৩. আর বিশ্ববাসীর জন্যে কিবলার দিক হলো মক্কানগরীর দিক।
বিভাগ : ইসলামী জীবন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস
শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া
ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল
‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’
প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের
প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া
মুসলিম চিকিৎসক
শীর্ষে দিল্লি
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান