প্রশ্ন : জুমা এবং দুই ঈদের নামাজে জামাতের গুরুত্ব কতটুকু?
১৬ জুন ২০২৩, ০৭:৩১ পিএম | আপডেট: ১৭ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
উত্তর : জামাত হওয়া শর্ত। জামাত ছাড়া এসব নামাজ আদায় হবে না।
প্রশ্ন : নামাজী ব্যক্তি যদি উঁচু স্থানে থাকে আর নীচ দিয়ে যদি লোকজন যাতায়াত করে তাহলেও গোনাহগার হবে?
উত্তর : নামাযী ব্যক্তি যদি অতিক্রমকারী লোকদের মাথার উপরে অবস্থান করে তাহলে কোন অসুবিধা নেই। অন্যথায় সুতরাহ বা আড়াল দিয়ে যেতে হবে।
প্রশ্ন : জামাআত সহীহ হওয়ার জন্যে কি কি শর্ত?
উত্তর : ইমাম মুসলমান, বালেগ ও বুদ্ধিমান হতে হবে। মুক্তাদী নামাযের নিয়্যতের সাথে সাথে এই নিয়্যতও করবে যে, ‘আমি এই ইমামের পিছনে অমুক নামায পড়ছি’। ইমাম ও মুক্তাদী উভয়ের অবস্থান এক হওয়া। দু’জনের মধ্যে রাস্তা, নদী বা বড় কোন ব্যবধান না থাকা। ইমাম ও মুক্তাদীর একই নামায হওয়া। ইমামের নামায সহীহ হওয়া। মুকতাদী ইমামের পিছনে দাঁড়াবে। ইমামের উঠাবসা রুকূ-সিজদাহ ইত্যাদি সম্পর্কে মুক্তাদী অবগত থাকা। কিরাআত ছাড়া অন্যসব কাজে ইমামের সঙ্গে মুক্তাদীর শরীক থাকা।
প্রশ্ন : মুরব্বিদের মুখে শোনা যায়, সন্তানের ওপর মা-বাবার নজর বেশি লাগে। ইসলামের দৃষ্টিতে এ উত্তর : নজর লাগার বিষয়টি ইসলামে স্বীকৃত। হাদিস শরীফে আছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, আল আইনু হাক্কুন। অর্থাৎ নজর লাগার বিষয়টি সত্য। এ জন্য নিজের দায়িত্ব হচ্ছে, ভালো কিছু দেখলে মনকে হিংসা-বিদ্বেষ বা শত্রুতামুক্ত মন নিয়ে দেখতে হয়। মাশাআল্লাহ বলতে হয়। আলহামদুলিল্লাহ বলতে হয়। খুশি প্রকাশ করে ইতিবাচক দোয়া ও মন্তব্য করতে হয়। বিরূপ মনোভাব বা মন্তব্য সুন্দর জিনিসটির ক্ষতি করে। মা-বাবার বিষয়টিও এর বাইরে নয়। তারা যখন সন্তানকে দেখে মুগ্ধ হন তখন তাদের উচিত আল্লাহর শোকর করা। মাশাআল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ বলা। এর কৃতিত্ব যে নিজেদের নয়, সর্বশক্তিমান আল্লাহর এ কথাটি মনে জাগরুক রেখে আল্লাহর প্রশংসা করা। তার প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া। সন্তানের সৌন্দর্য বা কৃতিত্ব নিজের মনের তৃপ্তি ও মুগ্ধতার দ্বারা বিনষ্ট ও বাধাগ্রস্ত হয়। এখানে অসৎ উদ্দেশ্য হিংসা শত্রুতা বা কুটিল দৃষ্টি থাকে না বটে, তবে মুগ্ধতা ও আত্মপ্রসাদ থাকে, যা সন্তানের ক্ষতি টেনে আনে। এটাকে মুরব্বিরা বাবা-মায়ের নজর বলে থাকেন।
এটি সামাজিক বিষয়। মনস্তত্ত্বের সাথেও এর সম্পর্ক আছে। হাদিস শরীফে এর প্রতিই ইশারা করা হয়েছে। যে জন্য সকাল-সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসির আমল ও সূরা ফালাক ও নাস পাঠের মাধ্যমে নিজের ও সন্তানের হেফাজত কামনা করার নিয়ম ইসলামে আছে। দিনরাত অন্যান্য দোয়া-দরুদ ও জিকির অজিফা এসব উদ্দেশ্যেই করা হয়ে থাকে।
প্রশ্ন : বস্ত্রহীন ব্যক্তি কিভাবে নামাজ আদায় করবে?
উত্তর : দিনের বেলা বসে নামাজ পড়বে এবং ইশারায় রুকু, সিজদা আদায় করবে। আর রাতের বেলা অন্ধকারে দাঁড়িয়ে পড়তে হবে।
বিভাগ : ইসলামী জীবন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী
নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত
বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ
বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি
যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন
আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭
মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরাইল
মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিডোরে নিহত ৯৪
মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে সম্মানহানী
রাফালের আগমনে ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি
উত্তর প্রদেশে নিহত ৩ খলিস্তানি নেতা
ভারতে বাল্যবিবাহবিরোধী অভিযানে আটক ৫০০০
মুজিবল্যান্ড বানিয়ে হিন্দুস্তানে থাকুক আ.লীগ : রাশেদ প্রধান
গ্রেফতার ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
পানামা খাল দখলের হুমকিকে ভর্ৎসনা পানামা প্রেসিডেন্টের
স্বৈরাচারের দোসর শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী-সন্তানসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা