প্রশ্ন : আমার বাবার হার্টব্লক হয়ে গেছে, এখন তার এনজিওগ্রাম করাতে হবে। প্রশ্ন হলো, এনজিওগ্রাম করালে কি রোজার কোনো ক্ষতি হবে?
১৪ জুলাই ২০২৩, ০৮:১৪ পিএম | আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৩, ১২:০১ এএম
উত্তর : হার্ট ব্লক হয়ে গেলে উরুর গোড়া বা বাহুতে কেটে বিশেষ রগের ভিতর দিয়ে হার্ট পর্যন্ত যে ক্যাথেটার ঢুকিয়ে পরীক্ষা করা হয় তার নাম এনজিওগ্রাম। এনজিওগ্রামে রোজা ভাঙ্গে না। এ যন্ত্রটিতে যদি কোনো ধরনের ঔষধ লাগানো থাকে, তারপরেও রোজা ভাঙ্গবে না। কারণ, এতে শরীয়ত বর্ণিত পথে, শরীয়ত বর্ণিত স্থানে (যার ফলে রোজা ভঙ্গ হয়ে থাকে) কোনো তরল প্রবেশ করে না।
প্রশ্ন: আমার সন্তান কে বুকের দুধ খাওয়ানো অবস্থায় আমি কি কুরআন তেলাওয়াত করতে পারবো?
উত্তর : পারবেন। কারণ ব্রেস্ট ফিডিং একটি পবিত্র কাজ। এতে ওযু বা পবিত্রতা নষ্ট হয় না। সন্তানকে দুধ পান করানো মায়ের জন্য ইবাদতের সমান। অতএব, সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানো অবস্থায় কুরআন তেলওয়াত করা যাবে।
প্রশ্ন : আমার পাঁচ মাস বয়সি বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছি, রোযা রেখেও আমার বুকে দুধের অভাব হচ্ছে না। কিন্তু আমার গলা শুকিয়ে যায়, মাথা ঘোরে, খুব দুর্বল হয়ে পড়ি। তাছাড়া জরুরি কোনো কাজে মনোনিবেশ করতে পারি না। এ অবস্থায় আমার করনীয় কী?
উত্তর : আপনাকে রোযা রাখতে হবে। রোযা তখনই ছাড়া যেত যখন আপনার সন্তান দুধ না পেয়ে কষ্ট করতো। আপনি যদি অসহনীয় পর্যায়ের অসুস্থতা ও কষ্টে পড়তেন কিংবা জীবন নাশের মতো রোগী হয়ে পড়তেন। তখন আপনি রোযা ছেড়ে দিতে পারতেন। এখানে যে সব অসুবিধা দেখা যাচ্ছে যেমন- গলা শুকিয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, খুব দুর্বল হয়ে পড়া ও কাজে মনোনিবেশ করতে না পারা। এসব যদি রোযা ছেড়ে দেওয়া জায়েজ হওয়ার পর্যায়ে চলে যায় তাহলে অসুস্থ ব্যক্তির মতো আপনিও রোযা ছাড়তে পারবেন। তবে পরে এসব রোযা কাজা করতে হবে। আর যদি এসব অসুবিধা একটু সাহস করে কাটিয়ে ওঠা যায় আর যথা সময়ে রোযাগুলো পালন করা যায় তাহলেই সব দিক দিয়ে উত্তম। আপনার বর্ণনা অনুসারে বলা যায়, এতোটুকু অসুবিধার জন্য ফরয রোযা ছাড়া যাবে না। আল্লাহর হুকুম পালনে মনস্থির করলে আল্লাহই সাহস, শক্তি ও তাওফিক দিয়ে থাকেন।
প্রশ্ন : অসাবধানতাবশত অথবা আবেগের বশে রোযার দিনে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দৈহিক মিলন হয়ে গিয়েছে। এখন এর কাফফারা বা করনীয় কী?
উত্তর : ফরয রোযা রাখা অবস্থায় দৈহিক মিলন পানাহারের মতোই নিষিদ্ধ। যে স্বামী-স্ত্রী ফরয রোযা অবস্থায় দৈহিক মিলনে চলে যান। তাদের রোযা ভেঙ্গে যায়। এভাবে রোযা ভাঙ্গলে শুধু কাযা করলে হয় না। কাফফারা করতে হয়। কাযা অর্থ এক রোযার বদলে এক রোযা রাখা। কাফফারা অর্থ এক রোযার বদলে একাধারে ৬০টি রোযা রাখা। মাঝে কোনো কারণে একটি রোযা ছেড়ে দিলে নতুন করে আবার ৬০টি রোযা রাখতে হবে। এটি মূলত আল্লাহর হুকুম অমান্য করে রোযার সময় দিনের বেলায় স্বামী-স্ত্রীর অসাবধানতা কিংবা আবেগবশত সেক্স করার ক্ষতিপূরণ। যার আরবী নাম কাফফারা। তবে একান্ত স্বাস্থগত কারণে কাফফারার রোযা রাখতে না পারলে ৬০ জন মিস্কিনকে খানা খাওয়াতে হবে। একজনকেও ৬০ দিনের খানা দেওয়া যায়। প্রতিটি খানা কমপক্ষে একটি ফিতরার সমান হতে হবে। যেমন চলতি বছর একটি ফিতরা মূল্য কমপক্ষে ৭০ টাকার সমান।
-আল্লামা মুফতী উবায়দুর রহমান খান নদভী
বিভাগ : ইসলামী জীবন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস
শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া
ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল
‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’
প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের
প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া
মুসলিম চিকিৎসক
শীর্ষে দিল্লি
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান