প্রশ্ন : আমি ডায়বেটিসের রোগী। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়ার আগে আমাকে ইনসুলিন নিতে হয়। এখন ইনসুলিন নেওয়ার কারণে কি আমার রোজার কোনো ক্ষতি হবে?
১৮ আগস্ট ২০২৩, ০৮:১৭ পিএম | আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম
উত্তর : না। ইনসুলিন নিলে রোজা ভাঙ্গবে না। কারণ, ইনসুলিন রোজা ভঙ্গ হওয়ার শরীয়ত বর্ণিত রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে না এবং এমন খালি জায়গায় পৌঁছে না।
প্রশ্ন : আমার দাঁতে প্রচ- ব্যথা। ডাক্তার বলছেন, দাঁত উঠিয়ে ফেলতে হবে। এখন রোজা রেখে কি দাঁত উঠানো যাবে?
উত্তর : রোজা অবস্থায় একান্ত প্রয়োজন হলে দাঁত তোলা জায়েজ আছে। তবে অতি প্রয়োজন না হলে এমনটা করা মাকরূহ। ঔষধ যদি গলায় চলে যায় অথবা থুথু থেকে বেশি অথবা সমপরিমাণ রক্ত যদি গলায় যায় তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। এমন পরিস্থিতি প্রায় এড়ানো যায় না বললেই চলে। যদি সতর্কতা ও প্রযুক্তির দ্বারা আশংকামুক্ত অবস্থায় দাঁত ফেলা যায় তবেই জায়েজ।
প্রশ্ন : রোজা অবস্থায় দিনের বেলায় টুথ পাউডার, পেস্ট, মাজন ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে কি?
উত্তর : রোজা অবস্থায় দিনের বেলায় টুথ পাউডার, পেস্ট, মাজন ইত্যাদি ব্যবহার করা মাকরূহ। কিন্তু গলায় পৌঁছালে রোজা ভেঙ্গে যাবে। অতএব, ১০০ ভাগ নিশ্চিত ও সতর্ক না হলে ব্যবহার না করাই উত্তম।
প্রশ্ন : রোজা রেখে, না গিলে ফেলে, শুধুমাত্র মুখে কোনো ঔষধ ব্যবহার করা যাবে কি?
উত্তর : মুখে ঔষধ ব্যবহার করে তা গিলে ফেললে বা অনিচ্ছা সত্ত্বেও ঔষধের অংশ বিশেষ গলায় প্রবেশ করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। গলায় প্রবেশ না করলে রোজা ভাঙ্গবে না।
প্রশ্ন : রোজা রেখে নাকে পানি বা ঔষুধ দেওয়া যাবে কি?
উত্তর : যাবে। তবে নাকে পানি বা ঔষধ দিলে যদি তা খাদ্যনালীতে চলে যায়, তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে এবং কাযা করতে হবে।
প্রশ্ন : শুনেছি সুরমা ব্যবহার করা সুন্নাত। সুন্নাত হিসাবে আমি সুরমা ব্যবহার করে থাকি। এখন প্রশ্ন হলো, রোজা রেখেও কি সুরমা ব্যবহার করা যাবে?
উত্তর : চোখে ঔষধ বা সুরমা ব্যবহার করার দ্বারা রোজা ভাঙ্গবে না। যদিও এগুলোর স্বাদ গলায় অনুভব হয়। তবে শর্ত হলো, এসবের দ্বারা উদ্গত কোনো স্বাদবিশিষ্ট তরল, যা থুথু নয়, গিলে ফেললে রোজা ভাঙ্গবে।
প্রশ্ন : রোজা রেখে কানে ঔষধ বা তেল দেওয়া যাবে কি?
উত্তর : কানে ঔষধ, তেল ইত্যাদি ঢুকালে রোজা ভেঙ্গে যাবে। তবে গোসল করার সময় অনিচ্ছায় যে পানি কানে ঢুকে তাতে রোজা ভঙ্গ হবে না। অবশ্য এক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, যেন পানি গলায় না চলে যায়।
প্রশ্ন : রোজা রেখে নাকে পানি বা ঔষুধ দেওয়া যাবে কি?
উত্তর : যাবে। তবে নাকে পানি বা ঔষধ দিলে যদি তা খাদ্যনালীতে চলে যায়, তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে এবং কাযা করতে হবে। যেজন্য রোজার দিনে নাকে পানি দেওয়ার বিষয়টিও শিথিলযোগ্য।
বিভাগ : ইসলামী জীবন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
এমবাপ্পের জোড়া গোলে জিতে শীর্ষে রিয়াল
ব্রাইটনের বিপক্ষেও বিপর্যস্ত ইউনাইটেড
‘ন্যায়বিচারকে হত্যা’ করা হয়েছে: পিটিআই
নতুন ভূগর্ভস্থ নৌ ঘাঁটি উন্মোচন ইরানের
রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করছে অনেক আফ্রিকান সেনা
পাওয়ার প্ল্যান্টের ৩৬০ মেট্রিকটন তেল ডাকাতি
বাংলাদেশি কর্মী নিতে প্রস্তুত রাশিয়া: রাষ্ট্রদূত
রাজনৈতিক দলগুলো বেশি কিছু সংস্কার না চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন: প্রেস সচিব
এবার ওলমোর ইনজুরি দুঃসংবাদ বার্সার
কুড়িগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে ইমন ও আলামিন
এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন চেয়ারপার্সন মো. মুশফিকুর রহমান
বিয়ের ওপর কর বাতিলের দাবি
শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে আ.লীগ : মির্জা ফখরুল
নামাজের প্রথম কাতারে জামাত পড়াবস্থায় অজু ভেঙ্গে যাওয়া প্রসঙ্গে।
কয়েক মিনিটে বাংলাদেশ দখল করে নিতে পারে ভারত: শুভেন্দু অধিকারী
নরসিংদীতে নিখোঁজের ৫ দিন পর নদীতে পাওয়া গেল স্কুল ছাত্রের লাশ
বিএনপি : দেশবাদ যার রাজনীতির মূল কথা
পাহাড়ি উপজাতিরা আদিবাসী নয়
সংস্কার প্রতিবেদন : জাতির নতুন অধ্যায়ে অভিযাত্রা
অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিনিয়োগে জোর দিতে হবে