প্রশ্ন : ল্যাপারোস্কপি কী? কোনো রোজাদারের যদি ল্যাপারোস্কপি করাতে হয়, তাহলে কি রোজা ভেঙে যাবে?
২৫ আগস্ট ২০২৩, ০৭:৪৫ পিএম | আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম
উত্তর : ল্যাপারোস্কপি হলো, শিক-জাতীয় একটি যন্ত্র। যার দ্বারা পেট ছিদ্র করে পেটের ভেতরের কোনো অংশ বা গোশত ইত্যাদি পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে বের করে নিয়ে আসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এতে যদি ওষুধ লাগানো থাকে তাহলে রোজা ভেঙে যাবে অন্যথায় রোজা ভাঙবে না।
প্রশ্ন : আমাকে প্রায়ই কৃত্রিম অক্সিজেন নিতে হয়। রোজা অবস্থায় কৃত্রিম অক্সিজেন নেয়া যাবে কি?
উত্তর : রোজা অবস্থায় ওষুধ-মিশ্রিত অক্সিজেন ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে। তবে শুধু বাতাসের অক্সিজেন নিলে রোজা ভাঙবে না।
প্রশ্ন : ঢুস ব্যবহারে কি রোজা ভেঙে যাবে?
উত্তর : ঢুস মলদ্বারের মাধ্যমে দেহের ভেতরে প্রবেশ করে, তাই ঢুস নিলে রোজা ভেঙে যাবে। ঢুস যে জায়গা বা রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে এ জায়গা বা রাস্তা রোজা ভঙ্গ হওয়ার শরীয়ত বর্ণিত স্থান।
প্রশ্ন : আমি একটি স্বেচ্ছাসেবী ব্লাড ডোনেট ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করি। প্রায়ই অন্যদের ব্লাড ডোনেট করতে হয়। রমজানে রোজা রেখে আমরা অন্যদের ব্লাড দিলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে কি? অথবা যে ব্লাড নিচ্ছে তার রোজা ভেঙে যাবে কি?
উত্তর : রোজা অবস্থায় শরীর থেকে রক্ত বের করলে বা শরীরে প্রবেশ করালে রোজা ভাঙবে না। অতএব, রোজা অবস্থায় রক্তদান করা যায়। প্রয়োজনে নিজের দেহেও রক্ত নেয়া যায়।
প্রশ্ন : রমজানের পর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখতে হয়। এর নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে জানতে চাই।
উত্তর : রমজান মাসের পর আরবি শাওয়াল মাস আসে। যার এক তারিখ ঈদুল ফিতর। ঈদের দিন রোজা রাখা সম্পূর্ণ নিষেধ। এই দিন আল্লাহর নিমন্ত্রণ হিসেবে মোমিনদের কিছু না কিছু খেতেই হবে। ঈদের পর থেকে বাকি পুরা মাসটি শাওয়াল মাস, এর মধ্যে যে কোনো ছয় দিন রোজা রাখা সুন্নাত। রোজা একটানা বা ফাঁক দিয়ে দিয়ে রাখা যায়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখল এর পর শাওয়াল মাসে আরো ছয়টি রোজা রাখল সে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব পাবে। আল হাদিস।
প্রশ্ন : যারা কথা বলতে পারেনা, এবং কানে শোনেনা তারা নামাজে কিভাবে কেরাত পড়বে?
উত্তর : যারা কথা বলতে পারে না, তাদের জন্য নিজের বোধ ও ইশারা কাজে লাগিয়ে ঈমান আনা যথেষ্ট। তেমনই নামাজ। মুখে উচ্চারণ ছাড়া নামাজ আদায় করবে। যদি কানেও না শোনে তাহলে তার জীবনযাত্রা যেভাবে চলে সে অনুযায়ী ইবাদত বন্দেগীও করবে। মুখে উচ্চারণ বা শ্রবণ তার জন্য কোনো ক্ষেত্রেই জরুরী নয়। যেমন, আদালতে সাক্ষী, বিয়ে, তালাক, লেনদেন ইত্যাদির মতো।
বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফযুল কুরআন ও তাফসির প্রতিযোগিতার বিচারক নিযুক্ত হয়েছেন ডক্টর ওয়ালীয়ুর রহমান খান
দেশের খ্যাতিমান ইসলামিক স্কলার, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর প্রধান মুহাদ্দিস, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিচারক হাফেজ ডক্টর ওয়ালীয়ুর রহমান খান সৌদি আরবের বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফযুল কুরআন, তিলাওয়াত ও তাফসীর প্রতিযোগিতা-২০২৩ এর বিচারক নিযুক্ত হয়েছেন।
পবিত্র মক্কা মোকাররমায় এ প্রতিযোগিতার ৪৩ তম পর্ব গতকাল থেকে শুরু হয়েছে, চলবে ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও দেশের হিফযুল কুরআন সংস্থাসমূহের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বিবেচিত হাফেজগণ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে বিশ্বের অনেকগুলো দেশের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ঈর্ষণীয় ফলাফল ও পুরস্কার লাভ করে আসছে। অন্যান্য আরব দেশের ন্যায় সৌদি আরবেও ৪৩ বছর ধরে কুরআনুল কারীম প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা নিয়মিত উক্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আসছে এবং প্রতি বছরই ১ম, ২য় বা ৩য় স্থানসহ কৃতীত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করে দেশ ও জাতির সুনাম-সুখ্যাতি বৃদ্ধি ও গৌরবকে উত্তরোত্তর উজ্জ্বল করছে।
ডক্টর ওয়ালীয়ুর রহমান খানকে এই মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োগ দেয়ায় তিনি মহান আল্লাহ্ তাআলার শুকরিয়া আদায় করেন। পাশাপাশি তিনি মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও সৌদি আরব সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিশু কিশোররা পবিত্র কুরআনের হিফজ প্রতিযোগিতায় সারা বিশ্বে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করছে। এ জন্য তাদের সম্মানিত শিক্ষক, মাতাপিতা, অভিভাবকদের যথেষ্ট কষ্ট স্বীকার ও ত্যাগ করতে হয়।
হাজার হাজার হাফেজে কুরআনের মধ্য থেকে সর্বোত্তম ও উপযুক্ত হাফেজ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার ইতোমধ্য প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সমন্বিত উদ্যোগে বাংলাদেশ কুরআনুল কারীম চর্চা করে আজ প্রায় চল্লিশ বছর যাবত বিশ্ব জয়ের এই গৌরব ধরে রেখেছে।
উল্লেখ্য, বিগত ১৮ বছর যাবত ডক্টর ওয়ালীয়ুর রহমান খান বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কুরআনুল কারীম হিফজ, তিলাওয়াত ও তাফসীর প্রতিযোগিতার বাছাই পর্বে বিচারকের গুরুদায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সচ্ছতার সাথে পালন করে অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি ইসলামিক ফাউন্ডেশন তথা দেশের ভাবমর্যাদা সমুন্নত রেখেছেন। ওআইসি যুব ক্বিরাআত প্রতিযোগিতার বিভিন্ন অধিবেশনে এবং জাতীয় শিশু কিশোর কুরআন প্রতিযোগিতায় তিনি ন্যায় নিষ্ঠভাবে বিচারকার্য সম্পাদন করে সংশ্লিষ্ট সবার আস্থা ও ভালবাসা অর্জন করেছেন। ইতিপূর্বে তিনি মিসর, জর্দান, আলজিরিয়া ও সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হিফযুল কুরআন ও ইলমী সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ৪৩ বছর ধরে চলে আসা এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালনে যেন ন্যায়বিচার ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে পারেন এ জন্য তিনি সবার নিকট দু'আ প্রার্থী। Ñনিজস্ব প্রতিবেদক
বিভাগ : ইসলামী জীবন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস
শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া
ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল
‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’
প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের
প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া
মুসলিম চিকিৎসক
শীর্ষে দিল্লি
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান