রমজানের আগমনে বর্ণিল সাজে লন্ডন
২০ মার্চ ২০২৩, ০৮:৪৪ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৫৯ পিএম

লন্ডনের কভেন্ট্রি শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম সড়ক পিকাডিলি ও লিসেস্টার স্কোয়ারকে সংযুক্ত করেছে। এসব সড়কে অর্ধচন্দ্রাকার চাঁদ, তারা ও ফানুস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে আলোকসজ্জা। তাতে ‘হ্যাপি রমজান’ লিখে স্বাগত জানানো হয়েছে। সাধারণত রমজান মাসে মিসরসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এ ধরনের বর্ণি সাজসজ্জা দেখা গেলেও এবার প্রথম লন্ডনেও তা দেখা গেল। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের। আসন্ন পবিত্র রমজান মাসের মহান বার্তা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে নতুন সাজে সেজেছে লন্ডনের ওয়েস্ট এন্ড। শহর কর্তৃপক্ষের সহায়তায় এমন বর্ণিল আলোকসজ্জার উদ্যোগ নিয়েছে লন্ডনের শিক্ষাবিষয়ক দাতব্য প্রতিষ্ঠান আজিজ ফাউন্ডেশন। গত শুক্রবার এক টুইট বার্তায় পিকাডিলি সার্কাসে বর্ণিল ঝাড়বাতির ছবি প্রকাশ করে আজিজ ফাউন্ডেশন। আয়েশা দিসাইয়ের তৈরি এই আলোকসজ্জার ছবির ক্যাপশনে ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘পিকাডিলি সার্কাসে রমজান ঘিরে সুন্দর আলোকসজ্জার উদ্যোগে স্পন্সর করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা আশা করি, বন্ধুবান্ধব ও পরিবার নিয়ে সবাই স্থানটি পরিদর্শনে করবে এবং সংহতি উদ্যোগ উদযাপনে অংশ নেবে।’ এদিকে এমন বর্ণিল পরিবেশে দাঁড়িয়ে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করে মুগ্ধ করেছেন লন্ডনের দারুল উম্মাহ মসজিদের ইমাম ও খতিব শায়খ আশিক। টুইট বার্তায় সেন্ট্রাল লন্ডনে তিলাওয়াতের ভিডিও শেয়ার করেন সেখানকার খ্যাতিমান এই আলেম। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে বিচারকেরা রোজা রাখেন, তারা রায় দেয়ার সময় একটু বেশি উদার থাকেন। তবে আগের এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল,ক্ষুধা থাকা অবস্থায় বিচারকেরা একটু কঠোর রায় দেন। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে। ২০১১ সালের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, ইসরাইলে বিচারকদের অপরাধীদের প্যারোল না দেয়ার সম্ভাবনা দুপুরের খাবারের পরের চেয়ে আগে বেশি। গবেষণাটি ‘দ্য হাংগ্রি জাজ এফেক্ট’ নামে পরিচিতি পেয়েছিল। নতুন গবেষণার প্রধান লেখক রাশিয়ার নিউ ইকোনমিক স্কুলের সুলতান মেহমুদ এএফপিকে বলেন, তিনি রোজার সময় বিচারকরা কী করেন, তা দেখতে আগ্রহী ছিলেন। গবেষণার জন্য মেহমুদ এবং আরও দুইজন অর্থনীতির গবেষক ভারত ও পাকিস্তানের গত ৫০ বছরের রায় পর্যালোচনা করেছেন। তারা প্রায় পাঁচ লাখ মামলার তথ্য ও প্রায় ১০ হাজার বিচারকের কাজ পর্যালোচনা করেন। মেহমুদ বলেন, তারা ‘দ্য হাংগ্রি জাজ এফেক্ট’ গবেষণার ফলাফলে উলটোটা দেখে ‘অবাক’ হয়েছেন। কারণ, গবেষণায় দেখা গেছে, রোজার সময় মুসলিম বিচারকদের কাছ থেকে অপরাধীদের ছাড়া পাওয়ার সংখ্যা অনেক বেড়ে যেত। কিন্তু অমুসলিম বিচারকদের ক্ষেত্রে এমনটা হয়নি বলে গবেষণায় পাওয়া গেছে। মেহমুদ বলেন, মুসলিম বিচারকেরা বছরের অন্য সময়ের তুলনায় রোজার মাসে গড়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি মুক্তির রায় দিয়েছেন। বিচারকেরা যত বেশি সময় খাবার ও পানি ছাড়া থেকেছেন তত বেশি উদার রায় দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। প্রতি এক ঘণ্টা বেশি সময় রোজা রাখায় মুক্তি দেয়ার সম্ভাবনা ১০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল বলে গবেষণায় জানা গেছে। মিডল ইস্ট মনিটর, নেচার হিউম্যান বিহেভিয়ার।
বিভাগ : ইসলামী বিশ্ব
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

গ্রেফতারকৃত ক্রীম আপা কেন এত ভাইরাল?

ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে হবে

বড়োদের শরীরে পা লাগলে কি করনীয় প্রসঙ্গে?

তারেক রহমান ঘোষিত ৩১দফা সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঈশ্বরগঞ্জে বিএনপি'র জনসভা

ধর্মীয় কারণে কোনো হিন্দু নিপীড়নের শিকার হচ্ছে না

স্বাস্থ্যসেবা ও ডিজিটাল খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে

মুক্তি পেয়েছে দ্য কিং অফ কিংস

কান উৎসবে পাম ডিঅর পাচ্ছেন রবার্ট ডি নিরো

বর্ষবরণে ‘চিত্রাঙ্গদা’র দু’টি প্রদর্শনী

ঢাকায় এসেছেন পাকিস্তানি গায়িকা আইমা বেগ

নতুন আঙ্গিকে মঞ্চে নাটক শেষের কবিতার

স্বাধীনতা কনসার্ট স্থগিত হওয়ায় হতাশ আসিফ

ইসরাইলের গণহত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জমিয়তে হিযবুল্লাহ ঢাকা ইউনাইটেডের বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনের গাজায় বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম জেলা জমিয়তে হিযবুল্লাহর বিক্ষোভ

কল্যাণ রাষ্ট্র বিনির্মাণের রাজনীতি

বিশিষ্টজনদের আলোচনায় এই খাত উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ

দক্ষিণ কোরিয়ার দাবানল নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টার মোতায়েন

ট্রাম্পের শুল্ক স্থগিতাদেশ : বিশ্ব অর্থনীতির জন্য সাময়িক স্বস্তি, বললেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী

অভিবাসীর প্রত্যাবর্তন ‘সহজ’ করার নির্দেশ মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের

নিউইয়র্কে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত স্পেনীয় পরিবারের ছয় সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু