ফের সাংবিধানিক সঙ্কটের মুখে পাকিস্তান
০৮ আগস্ট ২০২৩, ১১:০০ পিএম | আপডেট: ০৯ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম
পাকিস্তানে আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাও থাকলেও তা ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পিছিয়ে দেয়া হতে পারে। সোমবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তার দাবি, পাকিস্তানের সাধারণ স্বার্থ কাউন্সিল (সিসিআই) নতুন আদমশুমারি অনুমোদন করার পরে নির্বাচন কমিশনকে (ইসিপি) নির্বাচনী এলাকাগুলোর নতুন সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। এর ফলে সাধারণ নির্বাচন পরের বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত পিছিয়ে যেতে পারে। জিও নিউজের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যদি নির্বাচনী এলাকাগুলোর নতুন সীমানা নির্ধারণ করতে হয়, তাহলে নির্বাচন ফেব্রæয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে বা মার্চের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী অক্টোবর অথবা নভেম্বর মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধ্য পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। তবে গত শনিবার সিসিআই সভায় ‘সর্বসম্মতভাবে’ নতুন ডিজিটাল আদমশুমারির অনুমোদন দিলে নির্বাচনের সম্ভাব্য দিনক্ষণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। সভা শেষে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়, চারজন মুখ্যমন্ত্রী এবং ‘সব’ রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সম্মতিতে ২০২৩ সালের আদমশুমারির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সিসিআইয়ের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সানাউল্লাহ বলেন, আমার মতে, নতুন সীমানা নির্ধারণও একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। সংবিধান অনুযায়ী একটি আদমশুমারির ভিত্তিতে দুটি সাধারণ নির্বাচন হতে পারে না। সংবিধানে আরও বলা হয়েছে, নতুন আদমশুমারির ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত হওয়ার পরেই নির্বাচনী এলাকার নতুন সীমানা নির্ধারণ করা হবে। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, ২০২৩ আদমশুমারির ফলাফল নিয়ে বিভিন্ন আপত্তি তুলেছিল রাজনৈতিক দলগুলো।
তত্ত¡াবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ প্রসঙ্গে সানাউল্লাহ বলেন, অন্তর্র্বতীকালীন প্রধান নির্বাহীর জন্য কোনো নাম চ‚ড়ান্ত হয়নি। তিনি বলেন, এমকিউএম-পি এই পদের জন্য (সিন্ধের গভর্নর) কামরান টেসোরির নাম প্রস্তাব করেছে। জোটের আরেক অংশীদার পিপিপি-ও একটি বা দুটি নাম দেয়ার আগ্রহপ্রকাশ করেছে। একদিন আগেই পাকিস্তানি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, সম্ভাব্য তত্ত¡াবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর সংক্ষিপ্ত তালিকায় সাবেক অর্থমন্ত্রী হাফিজ শেখের নামও রয়েছে। তত্ত¡াবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর চ‚ড়ান্ত নাম মঙ্গলবার জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) নেতৃত্বাধীন সরকার আগামী ৯ আগস্ট জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে ৯০ পরবর্তী দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের সুযোগ পাবে ইসিপি। সরকার যদি মেয়াদ পূর্ণ করে তিন দিন পরে, অর্থাৎ আগামী ১২ আগস্ট ক্ষমতা ছাড়তো, তাহলে নির্বাচন করতে হতো পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে। সূত্র : ডন।
বিভাগ : ইসলামী বিশ্ব
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ইমনের সেঞ্চুরির পরও এগিয়ে খুলনা
টিয়ারশেল-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে সরানো হলো প্রথম আলোর সামনে অবস্থানকারীদের
নাইমের ১৮০, মেট্রোর বড় সংগ্রহ
রাজার বোলিংয়ে অলআউট বরিশাল
দেশের টাকা পাচার করে হাসিনা ও তাঁর দোসররা দেশকে দেউলিয়া করে গেছে পাচারকৃত টাকা উদ্ধারে কাজ করতে হবে -মাওলানা ইমতিয়াজ আলম
এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’
বিএনপি’র প্রতিনিধি দলের সাথে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনের বৈঠক
৫ বছর পর আয়োজিত হতে যাচ্ছে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪
থিতু হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারলেন না শাহাদাত
গণ-অভ্যুত্থানে ঢাবি ভিসির ভূমিকা কী ছিল? জানতে চান ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক
নির্বাচন কমিশনের প্রধান কাজ হওয়া উচিত অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন করা : রিজভী
ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জনে দেশে এলো অ্যাপ ‘পারলো’
সীমান্তর লক্ষ্য এসএ গেমসের হ্যাটট্রিক স্বর্ণ জয়
বিপিএলের প্রথম দিনই মাঠে নামছে বসুন্ধরা-মোহামেডান
নির্বাচিত সরকারই দেশকে পুনর্গঠন করতে পারে : তারেক রহমান
লক্ষ্মীপুরে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ৫০ জন
১৫ দিন রিমান্ড শেষে কারাগারে আব্দুর রাজ্জাক
পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল জিম্বাবুয়ে
মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় সিকিউরিটি গার্ড নিহত
শরীয়তপুরে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ কর্মী সভা