কোরআনে শান্তি খুঁজছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার নারীরা
০১ জুলাই ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ১২:০১ এএম
অবিরাম ইসরাইলি হামলার ভয়াবহতায় জর্জরিত গাজার নারীরা এখন শান্তি খুঁজে নিচ্ছেন কোরআনের পবিত্র বাণীতে। বারবার হামলা, প্রিয়জনদের মৃত্যু, বাস্তুচ্যুতি, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ তাদের জীবনকে করে তুলেছে অসহনীয়। এমন পরিস্থিতিতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া নারীরা কোরআন তেলাওয়াত ও মুখস্থ করাকে বেছে নিয়েছেন আত্মিক শক্তির একমাত্র অবলম্বন হিসেবে।
গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী শায়মা আবুলাত্তা (২০) কিংবা ইসলামিক আইনে ডিগ্রিধারী ইমান আসেমের (৩৪) এখন আর পড়াশোনা কিংবা কর্মজীবনের স্বপ্ন নেই। বারবার হামলায় বাস্তুচ্যুত হওয়ার হিসেব তারা রাখতে পারেন না। ৫০-৬০ জন করে প্রিয়জনকে হারিয়ে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তাও খুঁজে পান না তারা।
এমন মর্মন্তুদ অবস্থায় শায়মা, আসেমের মতো অনেক নারী শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেন শিশুদের কোরআন শিক্ষা দেওয়ার। মধ্য গাজার দেইর আল বালাহ এলাকায় একটি তাঁবু মসজিদ স্থাপন করে তারা শুরু করেন কোরআন শিক্ষাদান।
গত ৪ জুন এই তাঁবু মসজিদে ছয়জন নারী পবিত্র কোরআন মুখস্থ করতে সক্ষম হন। ঘটনাটি সকলের মধ্যে এক নতুন আশার জাগিয়ে তোলে। এরপর থেকেই আরও বেশি নারী কোরআন তেলাওয়াত ও মুখস্থ করার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
‘যুদ্ধবিধ্বস্ত আমাদের হাতে আর কিছুই নেই। এমন অবস্থায় আমাদের শক্তি জোগাচ্ছে কেবল আল কোরআন,’ বলেন শায়মা।
প্রথমে ছোট পরিসরে কোরআন শিক্ষা শুরু হলেও পরে শিক্ষার্থী বেড়ে যাওয়ায় তাঁবু দিয়ে মসজিদ তৈরি করা হয়। মসজিদের নাম রাখা হয় ‘প্রেয়ার হল অব দ্য সার্কেল অব দ্য গুড ওয়ার্ড’। মসজিদের ফটকে কোরআনের একটি আয়াত লেখা হয়— ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর স্মরণে অন্তর প্রশান্তি লাভ করে’।
বর্তমানে এই মসজিদে ৩ বছর বয়সী শিশু থেকে শুরু করে ৭০-৮০ বছর বয়সী নারীরাও কোরআন শিখতে আসছেন। প্রায় একশ› নারী নিয়মিত এখানে কোরআন তেলাওয়াত ও মুখস্থ করেন।
‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে মারা যেতে পারি। এ অবস্থায় আমরা শেষ যে কাজটি করতে চাই, সেটি হলো কোরআন মুখস্থ করে মহান আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাত করা,’ বলেন শায়মা।
যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন, তারা বিশ্বাস করেন, তাদের এই কোরআন তেলাওয়াত ও মুখস্থকরণের সওয়াব চলে যাবে তাদের প্রিয়জনদের কাছে। ফলে তারা দিন দিন আরও বেশি করে কোরআনের সঙ্গে নিজেদের জড়িয়ে নিচ্ছেন।
বিভাগ : ইসলামী বিশ্ব
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
এক সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল ৬ কোটি ১০ লাখ ডলার
প্রবাসীদের যে জন্য সুখবর দিলো মালয়েশিয়া
জাবি শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন, ফটকে তালা, মশাল মিছিল
মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থাকবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
"নতুন সিনেমা নিয়ে ফিরছেন গ্লোবাল তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি"
ড. ইউনূসকে নিয়ে খালেদা জিয়ার পুরোনো যে বক্তব্য ভাইরাল
নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইসলামী আন্দোলনের শুভ কামনা
আলোচনায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার ‘টুস করে ফেলে দেয়ার’ হুমকি
দীর্ঘ ১৫ বছর সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে পারেনি: খোকন
'ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে অভিনেতা তারিক আনাম খানের নাটক'
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
দেশের বাজারে ফের বাড়ল সোনার দাম
সবচেয়ে কম মূল্যে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দিচ্ছে নেপাল: নেপাল রাষ্ট্রদূত