কবিতা
২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৩ এএম

রানা প্লাজা-একটি ট্রাজেডি
রবিউল মাশরাফী
বেদনার জলে ভেজা চব্বিশে এপ্রিল, দু’হাজার তেরো।
সেদিনের সূর্যটাও আলো জেলেছিল ঠিক আগের মতন
তবুও মরণ ফাঁদ লুকায়িত ছিল দিনের আলোয়।
সাভারের রানা প্লাজা বয়সের ভারে
ন্যুব্জ ছিল না মোটেই-
মিথ্যার উপরে গড়া শক্তিহীন মেরুদন্ডে ভর করে থাকা স্থুল রানা প্লাজা,
কী এমন কষ্ট নিয়ে শুয়ে পড়েছিল?
জানেন সোহেল রানা!
ইট পাথরের গায়ে সিঁদুরের মতো লেগেছিল খুন।
পিয়াসে উরস ফাটে ওষ্ঠাগত প্রাণ !
শরমের মরমের নিঃসৃত পানিতে
গলা ভেজালেন কেউ।
যে মা তার শিশুটিকে দুধ পান না করায়ে রেখে এসেছিল
সে মায়ের ইচ্ছে হয়, একবার তাকে দুধ পান করাবেন।
কিন্তু একি হলো হায়!
যমদূত কুঠার হাতে শিয়রে দাঁড়িয়ে
তাতাল আগুনে পুড়ে, নিভে গেল প্রাণ ।
রানা প্লাজার ছোবলে চিরতরে ঘুমিয়ে গেলেন এগারোশো পঁচাত্তর রক্তিম শ্রমিক
তা-বের ভাঁজে ভাঁজে ঝরা শেফালির মতো পড়েছিল অগণিত লাশ,
বাইশশোর বেশি হলো নিদারুণ পঙ্গুত্ব বরণ।
সাভারের রানা প্লাজা আজ আর নেই।
তবু নিস্তব্ধ আঁধারে শ্রমিকের লাশ এসে ভিড় করে
লাশেদের ফিসফাস! কে কাকে কি কথা বলে বুঝি অনুমানে
তারপর সারি বেঁধে দূর পথে চলে যায় বাতিহীন ঘরে।
বাতাসের ঢেউয়ে ঢেউয়ে হাজারো লাশের গন্ধ ভেসে আসে নাকে
আর কতো লাশ পেলে তৃপ্ত হবে পাষ-ের মন?
আর কত রক্ত খেয়ে শান্ত হবে ওই ব্যাঘ্র চোখ?
পিয়ানো-রিডের মতো পাঁজরের হাড় চেপে চেপে
ব্যথাতুর সুর তোলো ক্ষুধাতের প্রাণে?
বুকের কপাট খুলে, দেখো তার হৃদপিন্ডের তলে
অগণিত হাহাকার!
শতাব্দী শতাব্দী ধরে শ্রমিকের কতো স্বপ্ন, বরফের নিচে চাপা পড়ে আছে।
সময়ের মৃত্তিকায় এবারও কি তবে ঢাকা পড়ে যাবে
লাশের কফিনে লেখা দাবি আদায়ের রক্তমাখা চিঠি?
ইনকিলাব চাই ইনকিলাব
গালিব খাঁন
ইনকিলাব চাই, ইনকিলাব, মুক্ত জীবন হোক নবাব।
ভোরের দুয়ার দাও খুলে, আয়েশ-আরাম যাও ভুলে।
জাগুক আশা লক্ষ প্রাণের,
উঠুক আওয়াজ বিজয় গানের।
এসেছে নতুন জীবনের ডাক,
পৃথিবী অবাক, চেয়ে নির্বাক।
সূর্য উঠুক রক্ত-রাঙার, কাঁপন উঠুক তখ্ত ভাঙার।
ময়দানে চল, উঁচু কর শির—, ভেঙে ফেলো গোলামীর জিঞ্জির।
সমুখপানে হও আগুয়ান,
ঘুম ভাঙিয়ে জাগো হে জোয়ান।
সুরের অনুরাগ
মিয়া ইব্রাহিম
(সদ্য প্রয়াত কবি মুকুল চৌধুরী স্মরণে)
নীল দরিয়ার গোপন দুঃখ
তুমি ছাড়া জানে না কেউ
গানের পাখিরা কান্দে বসে
উজানেতে সুরমা নদীর ঢেউ।
পাখির পালক ছাড়ালো কে
মিহি আদরে ভরেছে বাসর
তোমার আগমনে হেসেছিল
বসন্ত, সাজিয়েছে নতুন ঘর।
তুমি ছড়ালে সুবাস জগতময়
কবিতার গোধূলি হাওয়া
মুকুল থেকে ফুটেছে ফুল
কতো যে আনন্দে পাওয়া।
আর হবে না দেখা, চেনা চোখে
তবু লেগে আছে স্নেহাদ্র দাগ
তোমার লেখা কবিতা আর গানে
জেগে থাকুক সুরের অনুরাগ।
ফিলিস্তিনের আর্তনাদ
হাসান মাহমুদ
তোমার বোমারু বিমান
আছে যত গোলা-বারুদ, যুদ্ধের কামান
মূল্য কী তার, একটি প্রাণের সমান?
মনে করো সেই দিন, এই ভূমি তাদের দান।
আজ তুমি মারছো মানুষ, ভুলেছো মানবতা
মনে রেখো, ইতিহাস একদিন বলবে সে কথা,
যুদ্ধে যে শিশু হারিয়েছে নিজের মাতা-পিতা
কেমন করে বুঝিবে তুমি—সে শিশুর কী ব্যথা?
বিশ্ব বিবেক চুপ করে রয়, ধ্বংস ফিলিস্তিন
কোথায় আছো, মুসলিম মুজাহিদিন?
কোথায় সেই বীরের জাতি
মরছে দেখো তোমারই জ্ঞাতি।
এসো মুসলিম সেনানী, বীরের মতো লড়ো
ভয় কিসের? মারো কিংবা মরো,
শহীদ হতে করে না যে ভয়—
একদিন হবে তাহাদেরই বিজয়।
হে খালিদের উত্তরসূরি, তুমি আজ সেনাপতি
উদ্ধার করো ফিলিস্তিনের জাতি, তোমার রক্তে আগুন জ্বালো,
ধ্বংস করো জালিমের হাত, আধারে করিতে আলো।
বিভাগ : সাহিত্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

পরিস্থিতি ঘোলাটে না করে নির্বাচনের সুর্নিদিষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন : তারেক রহমান

ঢাবির সাম্য হত্যা: তিন জনের ৬ দিনের রিমান্ডে

বিএনপি মহাসচিব সুস্থ আছেন, সেরে উঠতে সময় লাগবে : মেয়ে শামারুহ মির্জা

আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার সর্বকালের বর্বরোচিত ইতিহাস ভঙ্গ করেছিল

খুলনার সমাবেশে ধানমানব

মানবিক করিডোর নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে

হুঁকা-সিসার বিরুদ্ধে কিসের বিদ্বেষ! মূল উদ্দেশ্য কী?

সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুশইনের চেষ্টা বিএসএফের

শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড

সিন্ডিকেটের ‘মেডিকিট’ ধরা খেলো

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তোলপাড়

মাইক্রোক্রেডিটই ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ :ড. মুহাম্মদ ইউনূস

দমন হবে সন্ত্রাস?

যৌক্তিক সংস্কার নিস্পন্ন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন : বাংলাদেশ মুসলিম লীগ

ফেসবুক পোস্টে প্রতিক্রিয়া দেওয়ায় মৎস্য অধিদপ্তরের পাঁচ কর্মকর্তাকে নোটিশ

উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে সচেতনতা জরুরি

ভারতের পুশ ইন বন্ধ করতে হবে : রাশেদ প্রধান

কর সংস্কার যৌক্তিক, প্রতিবাদ দুঃখজনক

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অডিও-ভিজ্যুয়াল

জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে মমতাজ