জনগনের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে পারেনি দুদক: দুদক কমিশনার
২১ মার্চ ২০২৩, ০৫:৪১ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৪৬ পিএম

দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান বলেছেন, দেশের টাকা বাইরে চলে গেছে, জনগনের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়তো কাজ করতে পারেনি দুদক। পাচার করা অর্থ ফেরত আনা শুধু দুদকের কাজ নয়। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি টাকা ফিরিয়ে আনার।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
দুদকের অস্তুষ্টির জায়গা কোনটি এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে অনেক বড় বড় দুর্নীতি বিশেষ করে দেশের টাকা বাইরে চলে যাচ্ছে। অনেক দুর্নীতিবাজ দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে, ব্যবসার আড়ালে আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা বিদেশে নিয়ে গেছে। এই বিষয়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি।
দুদক কমিশনার বলেন, পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আমাদের মাত্র একটি অপরাধের এখতিয়ার আছে। বাকি ২৬টি অপরাধের বিষয়ে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের এখতিয়ার। কিন্তু জনগণের মনে এখনো ভ্রান্ত ধারণা দুদক কি কাজ করে। কিন্তু আমাদের অংশে আমরা কাজ করি ও শতভাগ সাফল্য রয়েছে।
জনগণের আস্থা প্রসঙ্গে দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান বলেন, যারা এটা বলছে, তারা কোন তথ্যের ভিত্তিতে বলেছে। আমাদের এই বার্ষিক প্রতিবেদন সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন। এখানে কোনো আবেগ নেই কিংবা অতিরঞ্জিত কিছু নাই। দুদক আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী, ভিতরে ও বাইরে এর কার্যকর ক্ষমতা অনেক বেড়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, দুদক কোনোভাবে প্রভাবিত হয়ে কাজ করবে না। আইন অনুযায়ি সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে। নির্বাচনের বছরে সকল প্রার্থীদের হলফনামা যে সম্পদ বিবরণী থাকে তা খতিয়ে দেখবে দুদক। এ বছর চোখ-কান খোলা রাখবে। আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করবো। আমাদের যতটুকু অংশ সেটুকু সমস্ত প্রভাবের মুক্ত থেকে কাজ করবো। আগামী বছরে দুদকের কাজে আরো গতিশীলতা আনার জন্য কাজ করা হচ্ছে।
ফাঁদ মামলা কেন কমেছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যতটুকু তথ্য পেয়েছি, সেই অনুসারে ফাঁদ মামলা হয়েছে। আমরা শতভাগ সফল হতে পারি নাই। বিগত পাঁচ বছরের তুলনায় গত বছর সবচেয়ে বেশি মামলা দায়ের করেছি। ওই বছর এফআরটি কম হয়েছে। মামলা বেশি হয়েছে, এফআরটি কমেছে। সাজার হার বেড়েছে। আমাদের তথ্য কথা বলবে।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

সান্দা বিশ্বকাপে স্বর্ণপদক জিতেছেন ইরানের দারিয়াই

সবুজ প্রবৃদ্ধির জন্য অংশগ্রহণমূলক বাণিজ্য ও কৌশলগত অংশীদারিত্বে জোর দিলেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে শুল্কের মাধ্যমে শেয়ার বাজারে ‘কারসাজির’ অভিযোগ

ট্রাম্পের শুল্ক নীতি স্থগিতের পরে ঘুরে দাঁড়াল এশিয়ার শেয়ার বাজার

বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় ঢাকা-মস্কো

ইসরাইলী বর্বরতার বিরেদ্ধে বরিশালে বিএনপি’র বিক্ষোভ

‘গাজা ও রাফা ইসরায়েলের নৃশংস গণহত্যা’র প্রতিবাদে গণসংহতি আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ কাল

পোল্যান্ডে বাংলাদেশের দূত সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৮

মানবাধিকার নিয়ে ইউসিবিডি আয়োজিত সেমিনারে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর গুরুত্বারোপ

ইসরাইলি নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে গাজীপুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

ফিলিস্তিনি মুসলমানদের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে যারা রুখে দাঁড়াচ্ছে না, তাদের ধ্বংস অনিবার্য : মির্জা আব্বাস

বোয়ালমারীতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত দেলোয়ার হোসেন মারা গেছেন

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল হলেও স্বাভাবিক বাংলাবান্ধা, নেপালে গেল ১৪৭ টন আলু

‘এনসিপি বাংলাদেশকে বিনিয়োগের স্বর্গরাজ্য বানাতে চায়’

সংস্কার কমিশনে ইসলামী আন্দোলনের প্রস্তাব- বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র

চা বাগানে ছিল ১৫ ফুট লম্বা অজগর, লাউয়াছড়া উদ্যানে অবমুক্ত

ট্রান্সশিপমেন্ট ইস্যুতে নিজেদের পায়ে কুড়াল মারলো ভারত! বাংলাদেশ পাল্টা যে ব্যবস্থা নিচ্ছে

মেয়ে দেখতে এসে দেওয়া টাকা না নেওয়া প্রসঙ্গে।

মুসলিম শাসকরা কি ইহুদিদের দাসে পরিণত হয়েছেন?