বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসের অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী শতভাগ রোগী শনাক্ত না হওয়াই যক্ষ্মা নির্মূলে বাধা
২২ মার্চ ২০২৩, ০৮:৪৮ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৫৯ পিএম
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, যক্ষ্মা নির্মূলে কিছু ক্ষেত্রে এগোলেও শতভাগ রোগী শনাক্ত করতে না পারায় বাংলাদেশ এখনও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি। তাই সম্মিলিতভাবে কাজ করলে ২০৩৫ সালের আগেই দেশকে যক্ষ্মামুক্ত করা সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উপলক্ষে বুধবার (২২ মার্চ) এক অনুষ্ঠানে জাহিদ মালেক বলেন, ভারত-পাকিস্তানসহ উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ আটটি দেশের একটি বাংলাদেশ। এসব দেশে পৃথিবীর ৭০ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী রয়েছে। বাংলাদেশ যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে বেশ সফল হলেও কিছু ক্ষেত্রে এখনও কাজ করতে হবে। জাতীয় যক্ষ্মা নির্মূল কার্যক্রমের কারণে রোগী সুস্থ হওয়ার হার ৯৫ শতাংশ। আমরা বিনামূল্যে ওষুধ-চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। ২০১৫ সালে যেখানে প্রতি লাখে ৪৫ জন মানুষ মারা যেত, ২০২১ সালে তা ২৫ জনে নেমে এসেছে। কিন্তু শতভাগ রোগী শনাক্ত করা যাচ্ছে না জানিয়ে জাহিদ মালিক বলেন, অনেকে যক্ষ্মার লক্ষণ থাকলেও সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়ে রোগটি লুকিয়ে রাখে। এ কারণে রোগটি শতভাগ নির্মূল করা যাচ্ছে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ইউএসএআইডি ও আইসিডিডিআর,বি সম্মিলিতভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যসহ কয়েকজন সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন; এ সময় যক্ষ্মা নির্মূলে সচেতনতা তৈরিতে জনপ্রতিনিধিদের আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এদিন জাতীয় যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতি মিনিটে বাংলাদেশে অন্তত একজন লোক যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়। ২০২১ সালে সারাদেশে তিন লাখ ৭৫ হাজার এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে ও ৪২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়, যা প্রতি ১২ মিনিটে একজন। আইসিডিডিআর,বি’র নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ বলেন, যক্ষ্মা নির্মূলে বাংলাদেশের আরও অনেক কিছু করতে হবে। এই রোগ নিয়ে গবেষণায় চিকিৎসকদের আগ্রহী করে তুলতে হবে। আমরা সবাই মিলে করোনাভাইরাস জয় করেছি। যক্ষ্মাও নির্মূল করতে হবে। রোগ শনাক্তের গুরুত্ব জানিয়ে ইউএসএআইডির ড. সামিনা চৌধুরী বলেন, তিনি নিজেও ১৮ বছর বয়সে যক্ষ্মা আক্রান্ত হয়েছিলেন। আমি সঠিক সময়ে শনাক্ত করতে পেরেছিলাম বলে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছি। এজন্য রোগটি শনাক্তে জোর দিতে হবে। যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে এসেছে কিন্তু একে নির্মূল করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবীর ও পরিচালক অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।##
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বাংলাদেশিদের অবদান শান্তিরক্ষা মিশনে বিশ্ব স্বীকৃত
গাজায় যুদ্ধের প্রভাবে বেথেলহেমে খ্রিস্টানদের বড়দিনে হতাশা, নেই আনন্দ উৎসব
গণধর্ষণ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি এক যুগ পর গ্রেপ্তার
ভূঞাপুরে শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত
আমরা নির্বাচন নিয়ে ধৈর্য ধরতে প্রস্তুত: জামায়াত আমির
ভূরুঙ্গামারীতে নিজ ভটভটি উল্টে যুবকের মৃত্যু
মিজানুর রহমান আজাহারীর আগমনে পেকুয়ায় দশ লক্ষ মুসল্লি সমাগমের সম্ভাবনা
ক্ষমতা ছাড়ার আগে রাশিয়ার ওপর আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা বাইডেনের
আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনির উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
চট্টগ্রাম বোর্ডের নূরানি কেন্দ্রীয় সনদ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ : পাশের হার ৯৭.৮৮%
বিপিএলের সূচি
পিআইবির উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন করেন ডঃ মানোয়ার হোসেন মোল্লা
বিজয় দিবস হ্যান্ডবল আজ শুরু
শান্তি ও মানবতার জয়গানেই খুলনায় বড়দিন উদযাপন
চুয়াডাঙ্গায় সারাবাংলা ৮৮ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সপ্তাহ ব্যাপী কম্বল বিতরণ কার্যক্রম শুরু
কালিগঞ্জে বিভিন্ন সড়ক মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ ডাম্পার
রাজনৈতিক মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে জামির আলী মার্কেট দখলের পাঁয়তারা
দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজনৈতিক সংকট, অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন আদালতে হাজির হননি
সালথায় দু'গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫, বাড়ি-ঘর ভাঙচুর
শুধু নির্বাচনের জন্য মানুষ জীবন দেয়নি : আসিফ মাহমুদ